
অভিযোগ দরখাস্ত বিভিন্ন বিষয়ের উপর হতে পারে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অভিযোগ দরখাস্তের খুব একটা প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে এই দুর্নীতিগ্রস্ত বিশ্বে সমাধানের জন্য নিজের আওয়াজ উঠানোর একটি মাধ্যম হলো অভিযোগ দরখাস্ত। অভিযোগ দরখাস্ত বলতে কি বোঝায় অনেকের ধারণা নেই। আমাদের কোন বন্ধু যদি অভিযোগ দরখাস্ত সম্পর্কে ধারণা জানতে চান তাহলে নিশ্চয়ই আপনি আমাদের এই পুরো আর্টিকেলটি স্টার্টিং থেকে এন্ড পর্যন্ত পড়বেন। আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি বুঝতে পারবেন অভিযোগ দরখাস্ত কাকে বলে। এবং অভিযোগ দরখাস্ত কি?
আমাদের কর্মজীবনে অথবা সামাজিক উন্নয়ন জাতীয় কর্মসংস্থানে বিভিন্ন কারণে জনগণের কল্যাণের জন্য বরাদ্দকৃত কর্য সম্পদনে দুর্নীতি লক্ষ্য করা যায়। ভারপ্রাপ্ত কর্মচারীরা তাদের স্বার্থপরতার জন্য অনেক সময় দুর্নীতির আশ্রয় নেয়। এবং জনগণের সুযোগ-সুবিধায় ব্যাঘাত ঘটে। এরকম অবস্থার সৃষ্টি হলে জনগণ তাদের উক্ত সমস্যার সমাধানের জন্য প্রধান কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ দরখাস্ত লিখতে পারে। কারণ তথ্য অধিকার সকলের রয়েছে। তথ্য দেওয়া এবং তথ্য নেওয়া আমাদের রাষ্ট্রীয় অধিকার। সুতরাং অভিযোগ দরখাস্ত হলো কোন অস্বাভাবিক পরিস্থিতির সমাধানের প্রার্থনা করে আইনের কাছে অভিযোগ দরখাস্ত লেখা।
শুধু রাষ্ট্রীয় জীবনেই নয়, কর্মজীবন এবং ছাত্রজীবনেও অভিযোগ দরখাস্ত লিখতে দেখা যায়। কর্মজীবনে কোন কর্মচারীর ব্যবহার বা কোন কর্মচারীর আচার বিচার স্বাভাবিক নিয়মের চেয়ে অস্বাভাবিক হলে অন্য কর্মচারী তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দরখাস্ত করতে পারেন। অভিযোগ দরখাস্ত করার অধিকার আমাদের সকলের রয়েছে। কারণ অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া এবং অন্যায় করার মধ্যে বেশি পার্থক্য নেই। আপনি যদি আপনার কর্মজীবনে উক্ত পরিস্থিতির শিকার হন,? তাহলে আপনি নিশ্চয় আমাদের ওয়েবসাইট থেকে জেনে নিতে পারেন অভিযোগ দরখাস্ত কিভাবে লিখতে হয়।
ছাত্র জীবনে ও অভিযোগ দরখাস্ত লেখার নিয়ম রয়েছে। আমরা আমাদের সহপাঠী দের বিরুদ্ধে অভিযোগ দরখাস্ত লিখে প্রধান শিক্ষকের কাছে পেশ করতে পারি। অনেক সময় কোন ছাত্রের আচরণ অস্বাভাবিক হলে শিক্ষকগণ উক্ত ছাত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ দরখাস্ত লিখে বিদ্যালয় কর্মকর্তার নিকট পাঠান। আমরা আমাদের সহপাঠী অথবা আমাদের বিদ্যালয়ের অন্য ছাত্রছাত্রীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দরখাস্ত পেশ করতে পারি । কোন ছাত্র-ছাত্রী যদি গুরুতর অন্যায় করে অথবা কোন ছাত্রের সঙ্গে খারাপ আচরণ যাকে ইভটিজিং বলা হয়। এরকম ছাত্রের বিরুদ্ধে স্কুল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ দরখাস্ত লিখতে পারেন।
কোন সমস্যা সমাধানের জন্য অভিযোগ দরখাস্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম । আমরা অনেকে অভিযোগ দরখাস্ত লেখার নিয়ম সম্পর্কে অব্যাহত নয়। আমরা অনেকে অভিযোগ দরখাস্ত সম্পর্কে জানিনা। আশা করি আমাদের এই আর্টিকেলটি অনেকের উপকারে আসবে।
আমাদের সমাজে যে কোন ক্ষেত্রে অপরাধ এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ জানিয়ে অন্যায়ের প্রতিকার করতে হবে। অন্যায় এবং দুর্নীতি কে বিলুপ্ত করে একটি স্বাধীন এবং সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে হবে আমাদের দেশকে। আমরা সব সময় অন্যায়ের প্রতিবাদ করব। অন্যায়কে প্রশ্রয় দেবো না। কোন অন্যায় অথবা দুর্নীতি মূলক কার্যক্রম দেখলে সকলের ঐক্য প্রতিবাদ প্রদর্শন করব। অন্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে সেটার সমাধান লাভ করা যায়।
সামাজিক জীবনে, রাষ্ট্রীয় জীবনে ছাত্র, জীবনে কর্মজীবনে, আইন বিভাগ এবং শাসন বিভাগ একটি দেশের সকল ক্ষেত্রে দুর্নীতি এবং অন্যায় মূলক কাজের কোন অভাব নেই। বিশেষ করে রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম পরিচালনায় সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ তাদের স্বার্থপরতার পরিচয় দেয়। জনগণ অধিকার কে তারা আত্মসাৎ করে নেয়। সরকার কর্তৃক বিভিন্ন ধরনের সেবামূলক সুযোগ-সুবিধা থেকে জনগণকে বঞ্চিত করে স্বার্থপরতার পরিচয় দেন সরকারি কর্মকর্তারা। এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে জনগণ ঐক্যভাবে অভিযোগ করে এর সমাধান করে নিতে পারে। উক্ত সমস্যার সমাধানের একটি সহজ মাধ্যম হলো অভিযোগ দরখাস্ত। সুতরাং একটি সুন্দর সামাজিক জীবন গঠনে অভিযোগ দরখাস্ত গুরুত্ব অপরিসীম।
জনগণ তাদের ব্যক্তিগত জীবনে সম্পূর্ণ ঘটনা যাচাই বিচার করে কারো বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দরখাস্ত লিখতে পারেন।
অভিযোগ পত্র যেহেতু ব্যবহারিক দিক থেকে বেশ গুরুগম্ভীর একটি কাগজ,তাই ছেলেমানুষী পরিহার করে যথেষ্ট গুরুত্বের সাথে অভিযোগ সম্পর্কিত তথ্য যাচাইয়ের পরেই অভিযোগ পত্র লেখার সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত বলে আমি মনে করি।কেননা,এর সাথে জড়িয়ে থাকবে কোন ব্যক্তির ব্যক্তি জীবন,ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সুনাম প্রভৃতি।
Leave a Reply