বিয়ের কথাবার্তা যখন করা হয় তখন অনেকের মধ্যে যাবতীয় বিষয়ে সমঝোতা চলে আসলে অনেক সময় দেনমোহর নিয়ে সমঝোতা আসে না। কারণ বর্তমান বাজার মূল্যের সঙ্গে জিনিসপত্রের দাম নির্ধারণ করে দেনমোহরের বিষয়গুলো অনেকে নির্ধারণ করে থাকেন এবং এক্ষেত্রে বিবাহ পরবর্তী জীবনে স্ত্রীকে যাতে বর পক্ষ তালাক দিতে না পারে তার জন্য অধিক পরিমাণে দেনমোহন ধার্য করা হয়ে থাকে।
দেনমোহর ধার্য করলে তা পরিশোধ করতে হবে এবং এই নিয়ম যদি আমরা মেনে চলি তাহলে দেখা যাবে যে পরবর্তীতে দেনমোহর নিয়ে কোন ধরনের ঝামেলা হবে না। তবে আপনারা অনেকেই আছেন যারা দেনমোহর পরিষদের নিয়ম জানেন না এবং তাদের জন্য আজকে আমাদের ওয়েবসাইটে এই পোস্ট লেখা হয়েছে। দেনমোহর অনেক সময় দেখা যায় যে অর্থের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয় এবং সেই অর্থের পরিবর্তে অনেক সময় সরাসরি অর্থ যেমন দেওয়া হয় তেমনি ভাবে বিশেষ কোনো সম্পত্তি অথবা অলংকারের মাধ্যমে তা পরিশোধ করা হয়।
আমরা বিভিন্ন হাদিস থেকে অথবা বিভিন্ন ধরনের ইসলামিক ঘটনা থেকে দেখলে বুঝতে পারে যে দেনমোহন নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে কতটা কম পরিমাণে নির্ধারণ করা যায় সে ধরনের উদাহরণ রয়েছে। অর্থাৎ আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী আপনি যদি বিবাহের অনুষ্ঠানে দেনমোহর প্রদান করে থাকেন তাহলে সেটা হবে সবচাইতে বুদ্ধিমানের কাজ এবং এর মাধ্যমে আপনি স্ত্রীর প্রতি হক আদায় করতে পারলেন।
এক্ষেত্রে আপনারা যে পরিমাণ দেনমোহর নির্ধারণ করবেন তা বিয়ের অনুষ্ঠানেই প্রদান করবেন এবং এর মাধ্যমে স্ত্রীকে যথার্থ প্রাপ্য সম্মান প্রদর্শনের ভিত্তিতে তাকে আপনি ঘরে তুলতে পারবেন এবং তার সঙ্গে যে সকল শারীরিক সম্পর্ক রয়েছে সেগুলো আপনারা বৈধতার সঙ্গে করতে পারবেন। এতে করে স্ত্রীর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা হবে এবং সৃষ্টিকর্তার নিকট থেকে সরাসরি এই বিবাহের সম্পর্কে বরকত নেমে আসবে।
তাই যারা দেনমোহর পরিষদ করবেন তারা অবশ্যই কম দেনমোহর নির্ধারণ করার চেষ্টা করবেন এবং এক্ষেত্রে আপনি যদি বেশি দেনমোহর নির্ধারণ করেন তাহলে আপনার সামর্থের দিকে দেখতে হবে। আপনার সামর্থ্য যদি হয় তাহলে নির্দিষ্ট পরিমাণ দেনমোহর প্রদান করার ভিত্তিতে এবং স্বর্ণালঙ্কার প্রদান করার ভিত্তিতে দেনমোহ পরিশোধ করতে পারেন এবং এই ক্ষেত্রে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যখন প্রত্যেকটি তথ্য রেজিস্ট্রেশন করা হবে তখন আপনারা এই দেনমোহরের তথ্যটি উল্লেখ করবেন এবং সেটি যেন বিবাহের অনুষ্ঠানে পাঠ করে সকলকে জানিয়ে দেওয়া হয়।
তবে অনেককে দেখা যায় যে দেনমোহর পরিষদের ক্ষেত্রে বিলম্বিত দেনমোহরের দিকে চলে যান এবং সেই ক্ষেত্রে পরবর্তীতে স্ত্রীকে দেনমোহর পরিশোধ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। অবশ্যই আপনাদের এই ক্ষেত্রে দেনমোহর পরিশোধ করতে হবে এবং স্ত্রীকে যদি ছেড়ে দেওয়ার মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তাহলে অবশ্যই তাকে দেনমোহর প্রদান করার মাধ্যমে এবং তালাকের যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করার মাধ্যমে সরকারি খাতায় তালাক রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে। তবে তালাকের সঙ্গে দেনমোহরের কোন সম্পর্ক নেই এবং বিবাহের বিলম্বিত দেনমোহরের দিকে গেলে অবশ্যই আপনাকে তালাকের সময় প্রদান করতে হবে এবং এর মাধ্যমে যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করতে হবে।
Leave a Reply