দোয়া কবুল হওয়ার আমল

দোয়া কবুল হওয়ার আমল

মহান আল্লাহ পাকের দরবারে যখন আমরা কোন কিছু চেয়ে দোয়া করি অথবা ফরিয়াদ জানাই তখন হয়তো তিনি আমাদেরকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেন না এবং আমাদের মনের বাসনা গুলো পূরণ করে দেন। আবার অনেক সময় দেখা যায় যে অনেক মানুষ দীর্ঘদিন ধরে মহান আল্লাহ পাকের কাছে কোন কিছু চেয়েও পেয়ে থাকেন না। তাই যখন দোয়া করবেন তখন সেই দুয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু আমল রয়েছে অথবা বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে সেগুলো যদি আপনার অনুসরণ করতে চলে যেতে পারেন তাহলে দেখা যাবে যে আপনাদের দোয়া মহান আল্লাহ পাক কবুল করে নিয়েছেন।

তাই যাদের কোন কিছুর প্রয়োজন তারা যদি মহান আল্লাহপাকের কাছে চেয়ে থাকেন তাহলে সেটা অবশ্যই দোয়ার মাধ্যমে চাইতে হবে এবং দোয়া করার ক্ষেত্রে যে আমলগুলো রয়েছে সেগুলো যদি আপনারা মেনে চলতে পারেন তাহলে দেখা যাবে যে আপনাদের দোয়া কবুল হয়ে গিয়েছে এবং কাঙ্খিত বস্তুটি আপনারা পেয়ে গিয়েছেন।

দৈনন্দিন জীবনে চলাফেরা করতে গিয়ে আমাদের যেমন বস্তুগত জিনিস প্রয়োজন হয় তেমনিভাবে অবস্তুগত জিনিসের প্রয়োজন হয়। সাধারণত আমরা যখন নামাজ পড়ি তখন নামাজের পরে মোনাজাতে আমরা দোয়া করে যেন আমরা সেই আমাদের কাঙ্ক্ষিত বস্তুটি পেয়ে যাই।

তবে কোন বস্তু অর্জনের জন্য মহান আল্লাহ পাকের কাছে যারা দোয়া করেন এবং এই দোয়ার মাধ্যমেও যখন আপনাদের কার্যসিদ্ধি হয় না তখন হয়তো আপনারা ভাবেন যে আল্লাহ পাক আপনাদের প্রতি নিরাশ হয়েছেন অথবা এই দোয়া কবুল করছে না। তাই দোয়া কবুল হওয়া প্রসঙ্গে নিচে বেশ কিছু আলোচনা তুলে ধরা হলো যেটার মাধ্যমে খুব সহজেই আপনারা দোয়া করলে মহান আল্লাহ পাক সেটা গ্রহণ করবেন এবং আপনাদের মনের আশা পূরণ করে দেবেন।

এই দোয়া কবুলের জন্য সর্ব প্রথমে আপনাদেরকে যেটা করতে হবে সেটা হলো যে আপনি যদি পবিত্রতা অর্জন করে মহান আল্লাহ পাকের কাছে দোয়া করেন এবং খাস দিলে দোয়া করেন তাহলে আল্লাহ পাক অবশ্যই আপনাদের কথা শুনবেন। আল্লাহপাকের কাছে দোয়া করার পূর্বে সর্ব প্রথমে আপনাদেরকে অবশ্যই পবিত্রতা অর্জন করতে হবে এবং শরীরের পবিত্রতার পাশাপাশি মনের পবিত্রতা অর্জন করতে হবে। যখন আপনারা দোয়া করবেন তখন এটা তাড়াহুড়া করে না করে যদি বিনয়ের সঙ্গে ধীরে সুস্থে মহান আল্লাহ পাককে বুঝিয়ে বলেন তাহলে অবশ্যই তিনি বুঝবেন এবং আপনার মনের আকাঙ্ক্ষা বুঝতে পারবেন।

দোয়া করার সময় অবশ্যই আপনারা বিনয়ের সঙ্গে দোয়া করবেন এবং বিনয়ের সঙ্গে দোয়া করলে আল্লাহ পাক একজন বিনয় কারী হিসেবে আপনার এই দোয়া অবশ্যই কবুল করে নিবেন। দোয়া করার সময় আপনারা যদি মহান আল্লাহপাকের কাছে মিনতি ভরা কন্ঠে দোয়া করতে পারেন এবং আপনাদের মনের অবস্থাটা খুব সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে বলতে পারেন তাহলে দেখা যাবে যে আল্লাহ পাক সকল গুণের অধিকারী হওয়ার কারণে আপনাদের বিষয়গুলো বুঝতে পারবেন এবং আপনাদের দোয়া কবুল করে নিবেন। তাই আল্লাহপাকের কাছে কোন দোয়া করতে হলে অবশ্যই দুই হাত তুলে দোয়া করতে হবে এবং আপনি যখন দোয়া করবেন তখন মন স্থির করে দোয়া করলে সেটা আল্লাহপাক অবশ্যই বুঝবেন।

আল্লাহপাক যে সকল নামে নিজেকে গুণান্বিত করেছেন অথবা তার গুণাবলী দেখে আমরা তাকে যে সকল নামে গুণান্বিত করি সেই সকল নাম ধরে যদি আমরা ডাকতে পারি তাহলে আল্লাহ পাক এই প্রশংসার জন্য অবশ্যই খুশি হবেন। যখন আমরা দরুদ শরীফ পাঠ করার মাধ্যমে আল্লাহ পাকের কাছে কোন কিছু চাইবো তখন আমাদেরকে তিনি খালি হাতে ফিরিয়ে দেবেন না এবং আমাদের মনের আশা আকাঙ্ক্ষা তিনি বুঝতে পারবেন।

তাছাড়া আপনারা দোয়া করার সময় অবশ্যই সেটা বিশ্বাসের সঙ্গে করবেন এবং আল্লাহ পাক যে আপনাদের এই দোয়া কবুল করে তা পূরণ করবেন এই বিশ্বাস আপনাদেরকে মনে ধারণ করতে হবে। জীবনে চলার ক্ষেত্রে এই সকল দোয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এবং এটি যেমন আপনার নিজের জন্য করতে পারবেন তেমনি ভাবে অন্য কারো জন্য আপনি দোয়া করতে পারবেন।

About শাহরিয়ার হোসেন 4780 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*