দোয়া হলো একজন মুমিনের হাতিয়ার এবং দোয়া করার মাধ্যমে একজন মুমিন তার দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন চাহিদা মহান আল্লাহ পাকের নিকট থেকে পূরণ করে থাকেন। যেহেতু মহান আল্লাহ পাক আমাদের জীবনকে খুব সুন্দরভাবে পরিচালনা করছেন এবং তার দেওয়া রিজিক এবং রোজগারের মাধ্যমে আমরা আমাদের জীবনকে পরিচালিত করতে পারছি সেহেতু সব সময় তার প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। জীবনের সন্নিকট অবস্থায় আমরা যদি মহান আল্লাহ পাকের কাছে হাত তুলে দোয়া করে থাকে তাহলে অবশ্যই তিনি আমাদের দোয়া কবুল করবেন।
তবে আমরা বর্তমান সময়ে মুসলমান হয়েও অনেকেই এগুলো মানতে চাই না এবং সব সময় কর্মের ওপরে নিজেদের পূর্ণ আস্থা রাখতে চাই। কিন্তু মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের এই ক্ষেত্রে যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং আমাদের দোয়ার মাধ্যমে আমাদের চাহিদাগুলো কত সুন্দর ভাবে পূরণ করে দেন তা যদি আমরা সরে জমিনে দেখতে পারতাম তাহলে কখনোই তা অস্বীকার করতাম না। তাই আপনারা যারা দোয়া কবুলের আমল জানতে চান তারা অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটের এই পোস্ট পড়ে নিবেন।
জীবনের বিভিন্ন সন্নিকট মুহূর্তে আমরা যদি দোয়া করি তাহলে আল্লাহ পাক আমাদের দোয়া কবুল করে নেন। আমরা যদি দোয়া কবুল করাতে চাই তাহলে অবশ্যই আমাদের এই দোয়া করার ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হবে এবং মনের ভেতরে পূর্ণ আস্থা রাখতে হবে। অনেক সময় দিনের পর দিন দোয়া করার পরও যখন আমাদের দোয়া কবুল হয় না তখন হয়তো আমরা ভাবি যে মহান আল্লাহ পাক আমাদেরকে নিরাশ করছেন। এক্ষেত্রে অনেকের হয়তো আল্লাহ পাকের প্রতি আস্থা চলে যায় এবং অনেকেই হয়তো অবিশ্বাস করতে শুরু করেন। তবে এটা কখনোই করা যাবে না এবং দোয়া করার জন্য অবশ্যই আপনাকে যাবতীয় নিয়ম-কানুন জেনে নিয়ে দোয়া করতে হবে যাতে করে মহান আল্লাহ পাক আপনাকে নিরাশ না করেন।
আপনি যখন দোয়া করবেন এবং আপনার দোয়া যখন কবুল হবে না তখন আপনাকে অবশ্যই সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পড়ে দোয়া করতে হবে। সূরা ফাতিহা এবং সূরা বাকারার শেষ দুটো আয়াত পড়ে আপনি যখন মহান আল্লাহ পাকের কাছে পূর্ণ বিশ্বাস নিয়ে কিছু চাইবেন এবং নির্দিষ্ট সময় গুলোতে যখন চাইবেন তখন আল্লাহ পাক আপনার এই দোয়া কবুল করে নিবেন। সাধারণত দোয়া কবুল হয় না এক্ষেত্রে যে সকল কারণগুলো গুরুত্বপূর্ণ নেতিবাচক প্রভাব ফেলে সেগুলো আপনাদেরকে জানিয়ে দেবো। এতে করে আপনারা ওই সকল ভুল ভ্রান্তি সংশোধন করে নিয়ে পূর্ণ আস্থা নিয়ে দোয়া করলে আল্লাহ পাক আপনাদেরকে কখনোই খালি হাতে ফিরিয়ে দেবেন না।
দোয়া করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাদেরকে আহ্বান আল্লাহ পাকের প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে। এক্ষেত্রে আল্লাহপাক আপনার দোয়া কবুল করবেন কি করবেন না অথবা আপনাদের সেই কাজটি হবে কি হবে না এই ধরনের দোলাচলে না চলে আপনারা পূর্ণ আস্থা নিয়ে কাজটি করবেন এবং নিরাশ হওয়া যাবেনা। তাছাড়া আপনারা অবশ্যই হারাম থেকে বেঁচে থাকবেন এবং সুস্থসম্মত ও হালাল জীবন যাপন করে যখন দোয়া করবেন তখন অবশ্যই আল্লাহ পাক আপনাদের কথা শুনবেন। আপনি শুধু দোয়া করছেন কিন্তু মহান আল্লাহ পাকের অন্যান্য দায়িত্ব গুলো পালন করছেন না অথবা অন্যান্য এবাদত করছেন না তাহলে আপনার দোয়া কবুল হবে না।
তাই আপনার দোয়া কবুল হওয়ার জন্য অবশ্যই আল্লাহ প্রদত্ত দায়িত্ব গুলো পালন করতে হবে এবং হালাল জীবন যাপন করতে হবে। সবদিক ঠিকঠাক রেখেও আপনি যখন নিজের আত্মীয়দের সঙ্গে অর্থের জোরে অথবা অন্য কোন কারণে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছেন তখন আল্লাহ পাক এটা খুবই অপরাধের দৃষ্টিতে দেখছেন। কারণ আল্লাহপাক আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্নকারীকে পছন্দ করেন না এবং এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই আত্মীয়তার সম্পর্ক সুদৃঢ় করার মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাকের কাছে দোয়া করতে হবে।
তাছাড়া যখন দোয়া করবেন তখন সেখানে পূর্ণ মনোযোগ থাকতে হবে এবং পূর্ণ বিশ্বাস স্থাপনের মাধ্যমে যখন আল্লাহ পাকের কাছ থেকে কিছু চাইবেন তখন আপনাদের দোয়া অবশ্যই কবুল হবে এবং দোয়া অনুযায়ী সেই কাজগুলো অবশ্যই সম্পন্ন হয়ে যাবে।
Leave a Reply