
রমজান মাসের জন্য প্রতিটি মুসলমানের জন্য বিশেষ একটি নামাজের নাম হল তারাবির নামাজ। যেই নামাজ টি রমজানের সারা মাস জুড়ে পালন করে থাকে মুসলমানরা। যেহেতু এক বছর পর পর তারাবির নামাজ আদায় করতে হয় তাই প্রতিটি মুসলমানের কাছে এই নামাজটি অধিক গুরুত্বের। তাই তারাবির নামাজ নিয়ে আমাদের অনেকেরই অনেক প্রশ্নের উত্তর জানা থাকে।
আমরা অনেকেই তারাবির নামাজের প্রতি ৪ রাকাত পর পর একটি দোয়া পড়ে থাকি। কিন্তু অনেকে আমরা জানিনা আসলে কি দোয়া পড়তে হয় বা দোয়া পড়ার বিধান কি। অনেকে মনে করেন প্রতি ৪ রাকাত পর হামদ ও ছানা সংবলিত ওই দোয়াটি পড়া জরুরি। আবার কেউ কেউ বলেন এটা একে বারেই ভিত্তিহীন। এ নিয়ে অনেক সময় মুসুল্লিদের মধ্যে এক ধরনের দ্বিমত হয়ে থাকে।
তাই চলুন জানা যাক তারাবির নামাজের চার রাকাতের পর কি দোয়া পাঠ করতে হয়।
তারাবির নামাজ আদায় করার ক্ষেত্রে অন্য সাধারণ নামাজের মত নয় এই নামাজ পড়ার ক্ষেত্রে বিশ্রাম নিয়ে নামাজ পড়ার কথা বলা হয়েছে। তাই তারাবির নামাজ আদায় করার ক্ষেত্রে প্রত্যেক দুই রাকাত পর পর সালাম ফিরিয়ে আস্তাগফিরুল্লাহ পড়ে দুরুদ পাঠ করতে হয়। এবং মহান আল্লাহতালার স্মরণে জিকির পাঠ করতে হয়। তারপর চার রাকাত পূর্ণ হলে দোয়া পাঠ করার কথা বলা হয়েছে।
তারাবিহ নামাজে প্রতি ৪ রাকাত পর পর যখন বিশ্রাম নেওয়া হয় তখন বেশি বেশি আস্তাগফিরুল্লাহ, দরুদ শরীফ ও অন্যান্য দোয়া কালাম পাঠ করা হয়। আমাদের দেশে একটি দোয়া প্রচলিত রয়েছে যা প্রতি ৪ রাকাত পর পর পড়া হয়। তারাবির নামাজ যেহেতু রাতের নামাজ তাই এই নামাজ অতি দীর্ঘ সময় ধরে পরের কথা বলা হয়েছে কিন্তু আমরা অনেকেই তারাবির নামাজ আদায় করার ক্ষেত্রে তাড়াহুড়া করি বা দ্রুত নামাজ আদায় করি এই বিষয়টি করা যাবে না।
আমরা অনেকেই তারাবির নামাজ আদায় করার ক্ষেত্রে প্রতি চার রাকাত পর পর মূলত দোয়া করে থাকি। মূলত পবিত্র রমজান মাসের প্রতিটি রোজা রাখার ক্ষেত্রে আমাদের তারাবির নামাজ অধিক গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। আর এই তারাবি নামাজ আদায় করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদের তারাবিহ নামাজের ৪ রাকাতের পর দোয়া পাঠ করতে হবে। তারাবির নামাজ আমরা দশ সালামের মূলত বিশ রাকাত নামাজ আদায় করে থাকি। এতে প্রতি চার রাকাত পর পর আমরা এই নামাজের জন্য বিরতি দিয়ে থাকি। কিন্তু এই বিরতির সময় বা বিশ্রামের সময় আমরা অনেকে দোয়া পাঠ করি আবার অনেকে দোয়া পাঠ করি না। তাই আমরা যারা দোয়া পাঠ করি না অবশ্যই দোয়া পাঠ করব এমনটাই নির্দেশ এসেছে হাদিসে। আমরা অনেকেই আরো একটি বিষয় জানি না আর তা হলো ঠিক কোন সময় তারাবির নামাজের দোয়া পড়তে হয় তা অনেকেই জানিনা।
প্রতিটি ইবাদতের ক্ষেত্রে দোয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম মূলত প্রতিটি ইবাদতের ক্ষেত্রে তিনি নিজে দোয়া পাঠ করেছেন এবং তার সাহাবায়ে কেরামদের দোয়া পাঠ করার জন্য নির্দেশ দিতেন। মানুষের সমস্ত ইবাদতের মূল বিষয় হচ্ছে দোয়া আল্লাহর নিকট তার বিনয় ও আনুগত্য প্রকাশ করা। আর প্রয়োজনের সময় বান্দা যখন আল্লাহর কাছে দোয়া করে তখন সে আল্লাহকে খুব কাছে অনুভব করে থাকে। তাই মহান আল্লাহর কাছে প্রিয় একটি ইবাদত হচ্ছে তাঁর কাছে দোয়া করা।
যারা আল্লাহর কাছে দোয়া চায় আল্লাহ তাদের ভালোবাসেন। তারপরেও অনেক মানুষ এমন রয়েছে যাদের দোয়া আল্লাহ তাআলা কবুল করেন না। কারণ দোয়া কবুল হওয়ার ক্ষেত্রেও বিশেষ কিছু শর্ত রয়েছে। তাই আমরা প্রতিটি ইবাদতের ন্যায় রমজানের বিশেষ নামাজ তারাবির নামাজের ক্ষেত্রে বেশি বেশি করে দোয়া পাঠ করবো কারণ দোয়াতে রয়েছে অশেষ ফজিলত ও বরকত। তাই আমরা আপনাদের কে আজকে জানিয়ে দিলাম তারাবির নামাজের চার রাকাত পর যে দোয়া পাঠ করতে হয় সেই প্রসঙ্গে। যেটা জেনে রাখা অত্যন্ত জরুরী।
Leave a Reply