ইসলাম ধর্মাবলম্বী প্রতিটি মানুষ রমজান মাসের রোজা পালনের পাশাপাশি রমজান মাস উপলক্ষে বিশেষ নামাজ তারাবির নামাজ আদায় করে থাকে। এশার ফরজ ও সুন্নত নামাজ আদায় করার পর সারা রমজান মাস জুড়ে প্রতিটি মুসলমান ব্যক্তিকে তারাবির নামাজ আদায় করতে হয়। আর তারাবির নামাজের ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু বিষয় মাথায় রেখে তারাবির নামাজ আদায় করতে হয়।
তারাবির নামাজ আদায় করার ক্ষেত্রে অন্য সাধারণ নামাজের মত আদায় করা যায় না। এই নামাজ আদায় করার ক্ষেত্রে প্রতি দুই রাকাত পর পর বিভিন্ন দোয়া পাঠ করতে হয় যে সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। তাই আমরা অনেকে জানতে আগ্রহী তারাবির নামাজের দুই রাকাতের পর দোয়া সম্পর্কে। শুধু তারাবির নামাজ আদায় করলে হবে না সঠিক নিয়ম অনুসরণ করে নামাজ আদায় না করলে মহান আল্লাহতালার কাছে সেই নামাজের কোন মূল্য নেই। চলুন তাহলে জানা যাক তারাবির নামাজের দুই রাকাত পর দোয়া সম্পর্কে।
তারাবির নামাজের ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বের কথা বলা হয়েছে ইসলামে। নবী করীম সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম তিনি নিজে তারাবির নামাজ আদায় করেছেন এবং তার সাহাবায়ে কেরামদের এই নামাজ আদায় করার জন্য নির্দেশ দিতেন। আর তারাবির নামাজ প্রতিটি মুসলমান নর-নারীর জন্য মূলত সুন্নতে মুয়াক্কাদা। বিশেষ করে জামায়াতের সাথে তারাবির নামাজ আদায় করা অনেক ফজিলত রয়েছে।
তারাবির নামাজ হলো গুনাহ মাফের ক্ষেত্রে অন্যতম একটি মাধ্যম। রমজান মাসের তারাবির নামাজ বা এই নামাজের দোয়ার মাধ্যমে নামাজ পড়লে তার বিগত জীবনের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়। এই নামাজের বিশেষ দোয়ার মাধ্যমে রয়েছে মহান আল্লাহ তাআলার কাছে মাফ চাওয়ার আবেদন। তাই আমরা তারাবির নামাজ আদায় করার ক্ষেত্রে প্রতি দুই রাকাত পর পর সালাম ফিরিয়ে বেশি বেশি করে দোয়া পাঠ করব এবং মহান আল্লাহতালার কাছে মাফ চাইবো কারণ তারাবির নামাজটি হল রমজান মাসের জন্য নির্ধারিত নামাজ যেটার ফজিলত ও বরকত অনেক বেশি।
ইসলাম ধর্মের বিধান অনুযায়ী প্রতিটি মুসলমান ব্যক্তিকে তারাবির নামাজ আদায় করতে হলে দুই রাকাত দুই রাকাত করে বিশেষ এই নামাজটি আদায় করতে হবে। আর দুই রাকাত করে নামাজ আদায় করার পরে সামান্য বিশ্রাম নেয়ার সময় প্রতিটি মুসলমান ব্যক্তিকে দোয়া পাঠ করতে হবে এমনটাই নির্দেশ রয়েছে ইসলামে। তারাবি নামাজ দুই দুই রাকাত করে পড়তে হয়। দুই রাকাত নামাজ আদায় করে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করা।
এভাবে ৪ রাকাত আদায় করার পর একটু বিশ্রাম নেওয়া। এবং সেই সময় দোয়া পাঠ করা। তাসবিহ-তাহলিল পড়া বা কিছু সময় বিরতি নেওয়া উত্তম। বিশ্রামের সময় তাসবিহ তাহলিল পড়া, দোয়া-দরূদ ও জিকির আজকার করা। এরপর আবার দুই দুই রাকাত করে আলাদা আলাদা নিয়তে তারাবি আদায় করা। এবং দুই রাকাত শেষে বেশি বেশি করে দোয়া পাঠ করা।
মূলত তারাবির নামাজের ক্ষেত্রে দোয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তবে এমন নয় যে, এ দোয়া না জানলে বা তারাবি নামাজে পড়লে নামাজ হবে না। বরং যে কোনো দোয়াই পড়া যাবে। তবে এ দোয়া কুরআন-সুন্নাহর দোয়া হতে হবে। তা না হলে কোন ব্যক্তি যদি তারাবির নামাজের দোয়া না জানে তাওবা ইসতেগফার এ গুলো পড়াই উত্তম। নবীজি তারাবির নামাজের মধ্যবর্তী সময়ে দোয়া পাঠ করতেন আবার অনেক সময় দুই রাকাত নামাজ আদায় করার পর দোয়া পাঠ করতেন।
তাই তার উম্মত হিসেবে আমাদের দোয়া পাঠ করাটা জরুরী যেহেতু নবী নিজে তারাবির নামাজ আদায় করার ক্ষেত্রে দোয়া পাঠ করেছেন। তাই আমরা যারা তারাবির নামাজের নির্দিষ্ট দোয়াটি জানিনা। তারা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার ক্ষেত্রে যে সকল দোয়া গুলো পাঠ করে থাকি সে দোয়াগুলো পাঠ করলে কোন ক্ষতি নেই। তবে এই নামাজের ক্ষেত্রে দোয়া পাঠ করাটা জরুরি। দোয়া এমন একটি ইবাদত যা মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে অধিক পছন্দের। তাই নবীজি সময় পেলে শুধু নামাজে নয় যেকোনো সময় দোয়া করেছেন।
Leave a Reply