
আপনি কি দুবাইয়ের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৪ সংগ্রহ করতে চাচ্ছেন বা ইফতার ও সেহেরী কোন সময় শুরু হবে, শেষ হবে সেই সম্পর্কে ধারণা নিতে চাচ্ছেন? তাহলে বলবো আমাদের আজকের আর্টিকেলটি মূলত আপনার জন্য লিখা হয়েছে। কেননা এই আর্টিকেলটিতে দুবাই দেশটির সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি।
আশা করি এখান থেকে আপনি খুব সহজে দুবাইয়ের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি সংগ্রহ করে নিতে পারবেন। আর এজন্য আপনাকে আমাদের আজকের আর্টিকেলটা সুন্দর ভাবে দেখতে হবে। কেননা আপনি যদি আর্টিকেলটা সুন্দরভাবে না দেখেন তাহলে ইফতার ও সেহরির সময়সূচি সম্পর্কে আপনি সঠিকভাবে ধারণা অর্জন নাও করতে পারেন। এজন্য আপনাকে এই আর্টিকেলটি পড়তে হবে। আশা করি এখান থেকে আপনি উপকৃত হবেন এবং দুবাইয়ের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৪ খুব সহজেই সংগ্রহ করে নিতে পারবেন।
আমরা জানি রমজান মাস একটি আরবি মাস এবং মুসলমান ব্যক্তিগণ এই মাসে অনেক বেশি আল্লাহর ইবাদতে বন্দেগী থাকে। সাধারণত আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি লাভের জন্য রমজান মাসে মুসলমান ব্যক্তিগণ সিয়াম সাধনা করে বা রোজা রাখে। সাধারণত সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি লাভের আশায় সকল প্রকার পানাহার ও নিদ্রা থেকে সঠিক নিয়তের সাথে বিরত থাকাকে সিয়াম বা রোজা বলে।
রোজা আরবি শব্দ নয়, রোজা হচ্ছে ফারসি শব্দ। আর এই রোজা রাখার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার ইবাদত করা হয় এবং আল্লাহ তাআলার রহমত বর্ষিত হয়। এজন্য প্রত্যেকটি মুসলমান ব্যক্তি রমজান মাসে রোজা রাখে। তাছাড়া এই রমজান মাসের ইবাদত অন্যান্য মাসের তুলনায় অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই রমজান মাসের ইবাদত অন্যান্য মাসের ইবাদতের চেয়ে অনেক বেশি মর্যাদা পূর্ণ।
আবার রমজান মাসে যে শুধু বড়রায় রোজা রাখে এমনটা নয়, মুসলিম পরিবারে দেখা যায় যে ছোট-বড় সবাই রমজান মাসে রোজা রাখে বা সিয়াম সাধনা করে। এর ফলে ছোটদের মধ্যেও আল্লাহর ভয় সৃষ্টি হয়। মুসলমান ব্যক্তিরা চাইলেই চুপিচুপি কোন খাবার গ্রহণ করতে পারে কিন্তু তারা সকল প্রকার খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকে শুধুমাত্র আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি লাভের আশায়, আল্লাহ পাকের তাকওয়ার জন্য। এর মাধ্যমে মুসলিম ব্যক্তির আল্লাহর প্রতি তাকওয়া সৃষ্টি হয়। আর আল্লাহ তায়ালাও মুসলিমদের উপর অনেক বেশি রহমত বর্ষণ করেন।
আবার পরিবারের ছোট ছোট সদস্যরাও রমজানের রোজা পালন করার মাধ্যমে তাদের মধ্যে তাকওয়া তৈরি করে। আর তারা আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা তৈরি করে নিতে পারে। আবার অন্যের দুঃখ-কষ্ট গুলো তারা বুঝতে পারে এবং অভাবী মানুষগুলো না খেয়ে কত কষ্ট করে থাকে সেগুলো তারা অনুভব করতে পারে। এর ফলে তাদের মাঝে সহানুভুতি ও মহানুভবতা তৈরি হয়।
তবে দুবাই দেশটির মুসলমান ব্যক্তিগণ বা প্রবাসী মুসলমান গণ সঠিক সময়ে সেহরি ও ইফতার করার জন্য রমজান মাসে সেহরি ও ইফতারের সময় গুলো সম্পর্কে জানতে চাই। আবার দুবাই দেশটির ও ইফতারের সময় অন্যান্য দেশের সময়ের সাথে মিলে না। কেননা ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে একটি দেশের অবস্থান অন্যান্য দেশের চাইতে আলাদা। ফলে প্রত্যেকটা দেশেরই আলাদা আলাদা সময় অর্থাৎ একটি দেশে যখন ইফতারের সময় অন্য দেশে তখন ইফতার বা সেহেরির সময় নাও হতে পারে।
এজন্য দুবাই দেশটির সেহরি বা ইফতারের সময়ের সাথে অন্যান্য দেশের সেহরি ও ইফতারের সময়ের মিল থাকবে না এটাই স্বাভাবিক। আর এজন্য দুবাই দেশটির আলাদা সেহরি ও ইফতারের সময় তৈরি করা হয়েছে। এজন্য যে সকল মুসলিম ব্যক্তিগণ দুবাই দেশটির সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি সম্পর্কে জানতে চান বা নিজের সংগ্রহে নিতে চান আজকের আর্টিকেলটি মূলত তাদের জন্য উপকারী হবে। আর তারা খুব সহজে আর্টিকেলটি থেকে দুবাই দেশটির সেহেরি ও ইফতারের সময়সূচি সংগ্রহ করে নিতে পারবেন বলে আশা করছি।
Leave a Reply