বাচ্চাদের বুকের দুধ ছাড়ানোর উপায়

Rate this post

বিশেষজ্ঞদের ভাষায় সন্তান জন্মগ্রহণের ছয় মাস শুধু বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। ছয় মাসের পর শিশুকে বিভিন্ন ধরনের খাবারের সঙ্গে অভ্যস্ত করতে হবে। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় যে অনেক মা সন্তান বড় হয়ে যাওয়ার পরও বুকের দুধ ছাড়তে পারেন না। তাই কিভাবে কোন নিয়ম অনুসরণ করে বাচ্চাদের বুকের দুধ ছাড়তে হয় তা আজকের এই পোস্টে আলোচনা করব।

আপনি যদি একজন মা হয়ে থাকেন এবং আপনার যদি নবজাতক একজন শিশু থেকে থাকে তাহলে তাকে দিনে দিনে কোন নিয়ম অনুসরণ করে বুকের দুধ ছাড়তে হবে তা এখান থেকে জেনে নিতে পারেন। আমরা মনে করি যে আমাদের ওয়েবসাইটে যে তথ্য প্রদান করা আছে সেই তথ্যের উপর ভিত্তি করে আপনারা যদি তা অনুসরণ করতে পারেন তাহলে শিশুকে বুকের দুধ ছাড়তে কোন ধরনের সমস্যা হবে না এবং আপনার শারীরিক কোন পরিবর্তন আসবে না।

অনেক সময় দেখা যায় যে একজন মা শিশুকে বুকের দুধ ছাড়তে চাইলেও তা পারেন না। শিশু সামান্য কান্নাতেই তাকে খেতে দেন এবং পরবর্তীতে সেই শিশু এমনটাই অভ্যস্ত হয়ে পড়ে যে বুকের দুধ ছাড়া কান্না থামাতে চায়না। তবে একটা শিশুকে আপনি যদি এই বিষয়টা অভ্যস্ত হতে না দেন এবং দিনে দিনে বিষয়টা যদি এড়িয়ে চলতে পারেন তাহলে দেখা যাবে যে আপনার শারীরিক পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে অথবা আপনি এ বিষয়ে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন। একটা শিশু যখন ছয় মাসের বড় হবে তখন তাকে হালকা খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে এবং ডাক্তারি ভাষায় নরম খিচুড়ি খাওয়ালে তার শারীরিক বিভিন্ন ধরনের চাহিদা পূরণ হবে।

শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় মা যা খাবেন না

বুকের দুধ বৃদ্ধির ট্যাবলেট নাম কি, বুকের দুধ বৃদ্ধির দোয়া

বাচ্চাদের বুকের দুধ ছাড়ানোর উপায়

তবে অনেক মা মনে করেন হঠাৎ করে শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো ছেড়ে দিলেই তিনি হয়তো স্বস্তির নিশ্বাস ফেলবেন অথবা এ বিষয়টা থেকে মুক্তি পাবেন। কিন্তু হঠাৎ করে একটি শিশুকে যদি বুকের দুধ ছাড়িয়ে নিতে চেষ্টা করেন তাহলে দেখা যাবে যে সেই শিশু এই পরিবর্তন যেমন মানতে পারবে না তেমনি ভাবে আপনার শরীরেও বিভিন্ন ধরনের প্রদাহ সৃষ্টি হবে। অর্থাৎ বুকের দুধ না খাওয়ানোর কারণে আপনার মায়টিসিস গ্রন্থি বৃদ্ধি পেয়ে যাবে এবং সেখানে ব্যথা অনুভূত হওয়ার পাশাপাশি ফুসকুড়ির মত বিষয় গুলো দেখা দিতে পারে। তাই আপনার শরীরের দিকেও যেন ক্ষতি না হয় এবং একটা শিশু যেন এ বিষয়ে হঠাৎ করে বাদ দিয়ে মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তার জন্য নিচের নিয়ম অনুসরণ করুন।

সাধারণত একটা শিশুর প্রত্যেক দিনের ভেতরে দিনের শুরু এবং দিনের শেষ ভাগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। তাকে যদি বুকের দুধ আসলেই খাওয়াতে বাদ দিতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে বলব যে আপনি দিনের মধ্যভাগের সময়টি তাকে দুধ খাওয়া থেকে বিরত রাখতে পারেন। এক্ষেত্রে সেই শিশুকে অবশ্যই অন্যান্য কাজে ব্যস্ত রাখতে পারেন। তার ভিতরে জিদ অথবা কান্নাকাটির প্রভাব লক্ষ্য করা গেলে বিভিন্ন ধরনের খেলনা অথবা আশেপাশে নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর মানসিকতা রাখতে হবে।

অর্থাৎ একটা শিশুকে যদি প্রফুল্লতার মধ্যে রাখতে পারেন এবং মাতৃস্নেহ ভালবাসা দিয়ে বড় করতে পারেন তাহলে এই বিষয়গুলো আস্তে আস্তে বাদ দিতে হবে। মনে রাখতে হবে হঠাৎ করে বাদ দিলে সেটা দুজনের জন্যই ক্ষতিকর। তাই যে কোন জিনিস অভ্যস্ততার মধ্যে আনতে হলে এটা হঠাৎ করে শুরু না করে ধীরে ধীরে করুন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button