
যারা ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার কত দিন পর মাসিক হয় তা জানতে চাচ্ছেন তারা আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে জেনে নিন। সাধারণত ইমারজেন্সি পিল খাওয়া হয় গর্ভ ধারণ রোধ করার জন্য। তবে ইমারজেন্সি পিল খাওয়ার পর অনেকের মাসিক অনিয়মিত হয়ে যায় এবং এক্ষেত্রে আপনারা জানতে চান যে ইমারজেন্সি পিল খাওয়ার কত দিনের ভেতরে মাসিক আগের মত স্বাভাবিক হবে। নারীদের শরীর অনেক জটিলতাই পরিপূর্ণ এবং কোন একটি বিষয় যদি কোন দিক থেকে ব্যাঘাত ঘটে তাহলে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়।
শারীরিক সম্পর্ক করার পর আপনি যদি সেটার গর্ভ ধারণ রোধ করতে চান তাহলে আপনাকে হয়তো অনেক সময় ইমারজেন্সি পিল খাওয়ার জন্য অনেকেই পরামর্শ প্রদান করবে। কিন্তু ইমারজেন্সি পিল এর সাইড ইফেক্ট অনেক সময় নারীদের শরীরে ব্যাপক ইফেক্ট হয়। প্রত্যেকের বডি ফাংশন আলাদা এবং প্রত্যেকের বডি ইমিউনিটি আলাদা থাকার কারণে একেক মানুষের শরীর এক এক ভাবে পরিচালিত হয়। তবে যারা জরুরী প্রয়োজনে ইমারজেন্সি পিল খাচ্ছেন তাদের অনেক সময় দেখা দেয় যে অনেক দেরিতে মাসিক হয়।
তাই আপনাদের অনেকের মনে স্বাভাবিক প্রশ্ন জাগে যে ইমারজেন্সি পিল খাওয়ার কত দিন পর মাসিক। এক্ষেত্রে অনেকের অনেক রকম সময়ের ভিত্তিতে এই মাসিক হয়। দেখা যাচ্ছে যে ইমারজেন্সি পিল খাওয়ার ১০ থেকে ১৫ দিনের ভিতরে নিয়ম অনুসরণ করে আপনার এই মাস হতে পারে। এক্ষেত্রে আরো আগে হতে পারে অথবা কয়েকদিন দেরি লাগতে পারে। যদি সাধারণ দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা অনেক সময় নারীদের মাসিক সঠিক সময়ে হয় না।
তবে এই মাসিকের সময় এর কোন নির্দিষ্ট বিষয় নেই বলে ধৈর্য ধারণ করতে হবে এবং মাসিক হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। যদি পরপর দুই মাস কোন ভাবে একজন নারীর ইমারজেন্সি পিল খাওয়ার পর মাসিক না হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে এবং সঠিক চিকিৎসা নিতে হবে। কারণ কোন নারীর যদি এভাবে মাসিক না হয় তাহলে অনেক শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
তাই কেউ যদি ইমারজেন্সি পিল খায় তাহলে অবশ্যই তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি থাকতে হবে না হলে পরবর্তীতে সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে আপনাদের সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। তবে আপনি যদি ইমারজেন্সি পিল খেয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই ধৈর্য ধারণ করতে হবে এবং নির্দিষ্ট সময় পার না হলে আপনারা ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে পারেন।
Leave a Reply