বিদায় হজ্জের ভাষণ পিডিএফ

Rate this post

আমাদের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব এবং ইসলামের শেষ নবী ও রাসূল হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হজ পালন করার সময় আরাফার ময়দানে খুতবা অথবা ভাষণ প্রদান করেছিলেন। এই খুতবা অথবা ভাষণ প্রদান করার মাধ্যমে মুসলিম জাতির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কথা বলা হয়েছিল। আর আরাফার ময়দানে ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে যখন হজ পালন করা অবস্থায় হযরত

মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই খুতবা অথবা ভাষণ প্রদান করে তখন এটাকেই বিদায় হজের ভাষণ নামে আমরা চিনে থাকি। তাই এটিকে বিদায় হজের ভাষণ হিসেবে আখ্যায়িত করার জন্য এবং এটার তাৎপর্য অনেক বেশি হয়ে থাকার কারণে অবশ্যই আমরা এটা চাইলে পড়ে দেখতে পারি। তাছাড়া এই ভাষণে কি কি গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে অথবা ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে কি তথ্য বহন করছে সেগুলো যদি আমরা জানতে চাই তাহলে অবশ্যই বিদায় হজের ভাষণ আমাদেরকে পড়তে হবে।

আর সেইজন্য আপনারা যদি বিদায় হজের ভাষণ পড়তে চান অথবা জানতে চান তাহলে এটা আপনাদের উদ্দেশ্যে পিডিএফআই আকারে প্রদান করা আছে বলে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করে নিতে পারেন। ৬৩২ খ্রিস্টাব্দের দশম হিজরীতে এই ভাষণ প্রদান করা হয় বলে এবং আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই ভাষণ প্রদান করেন বলে বিদায় হজ্জের ভাষণ নামে আমরা তা জেনে থাকি। সারা জাহানের মুসলিম জাতির জন্য এই ভাষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যবহুল হওয়ার কারণে আমরা মুসলমান হিসেবে যদি এই ভাষণ অথবা তথ্য গুলো পড়ে থাকি তাহলে মুসলমান ধর্ম সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নিতে পারব অথবা অনেক কিছু দিকনির্দেশনা মেনে চলতে পারব।

তাই বিদায় হজের ভাষণ একটা গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা অথবা গুরুত্বপূর্ণ ভাসন হওয়ার কারণে এখানে অনেকগুলো তথ্য রয়েছে এবং অনেক লেখা আছে। তাই আপনাদের উদ্দেশ্যে যদি এটা আমরা প্রদান করে থাকি তাহলে আপনারা খুব সহজেই পিডিএফ এর আকারে ডাউনলোড করে নিয়ে নিজেদের কাছে রাখতে পারবেন এবং প্রত্যেকটি শব্দের অর্থ বুঝে বুঝে পড়লে এবং মেনে চললে সেটা আপনার জীবনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর জীবনের শেষ ভাষণ এটি হওয়ার কারণে আমরা বিদায় হজের ভাষণ নামে এটাকে চিনে থাকি এবং এই ভাষণের মধ্য দিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ মেসেজ আমরা জানতে পারি।

প্রকৃতপক্ষে এই ভাষণ সম্পর্কে যদি আমরা জানতে চাই তাহলে বলবো যে ইসলামের প্রকৃত মূল্যবোধের কথা এখানে উল্লেখ করা রয়েছে এবং এর প্রকৃত মূল্যবোধ যদি একজন মুসলমান তার জীবনে করণীয় কর্তব্য হিসেবে পালন করে থাকে তাহলে অবশ্যই তার জন্য তা মঙ্গলজনক হবে।ইসলাম ধর্মের প্রকৃত মূল্যবোধ সম্পর্কিত এই তথ্যগুলো আমরা বিদায়ী হাজের ভাষণ হিসেবে জেনে থাকি এবং এটাতে বিভিন্ন ধরনের চূড়ান্ত দিক নির্দেশনা প্রদান করা ছিল বলে অবশ্যই তা আমরা মেনে চলবো। যদিও এই ভাষণ পূর্ণাঙ্গ রূপে সংরক্ষিত করা হয়নি তারপরও বিভিন্ন হাদিসে অথবা বিভিন্ন তাফসীরে আমরা খন্ড খন্ড অংশ হিসেবে এটাকে পেয়েছি এবং পরবর্তীতে তার সংরক্ষণ করার মধ্য দিয়ে বর্তমান সময় পর্যন্ত আমাদের মাঝে তা আছে।

ইসলাম ধর্ম প্রতিষ্ঠা করার সময় হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম যতটা পরিশ্রম এবং যতটা ত্যাগ স্বীকার করেছেন সেই ত্যাগ স্বীকার করার মধ্য দিয়ে আস্তে আস্তে এই ধর্ম উচ্চাসনে অধিষ্ঠিত হতে পেরেছে। তাই ইসলাম ধর্ম ধাপে ধাপে যে সকল পূর্ণতা পেয়েছে তার চূড়ান্ত ঘোষণা ছিল এই ভাষণের মধ্য দিয়ে এবং এই ভাষণের মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের দ্বীনকে পূর্ণ করার সুযোগ পেয়েছি। তাই আল্লাহর প্রতি আনুগত্য যেমন মেনে চলতে হবে তেমনি ভাবে মানবজাতির ভেতরে ঐক্য সাধন করার জন্য এবং আধ্যাত্মিক ভ্রাতৃত্ব ধরে রাখার জন্য এই ভাষণ আমাদের গুরুত্বপূর্ণ মেসেজ প্রদান করে। তাই বিদায় হজের ভাষণ যদি আমরা পড়ি তাহলে এখানকার মহত্ব বুঝতে পারবে এবং প্রত্যেকটি মেসেজ সম্পর্কে জেনে নিতে পারবো।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button