আমাদের ওয়েবসাইটে আপনারা পিতার নাম সংশোধনের জন্য আবেদন পত্র পাবেন। যাদের সার্টিফিকেট এর পিতার নাম ভুল রয়েছে তাদের সার্টিফিকেট নাম সংশোধন করতে হবে। পিতার নামে যদি ভুল থেকে যায় তাহলে সেটি থেকে আপনার জীবনে অনেক ধরনের ঝামেলার সৃষ্টি হতে পারে। তাই নিজের সার্টিফিকেটে যদি পিতার নাম ভুল থেকে থাকে অর্থাৎ পিতার ভোটার আইডি কার্ডের সঙ্গে যদি আপনার সার্টিফিকেট নামের অমিল থেকে থাকে তাহলে আপনাকে অতিশীঘ্রই তা সংশোধন করতে হবে।
তবে যারা পিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন এবং সেই সার্টিফিকেটের নাম ভুল রয়েছে সেই আবেদন সম্পর্কে আজকে আপনাদের জানিয়ে দেবো। আবার যারা এসএসসি এবং এইচএসসি পর্যায়ের লক্ষ্য করেছেন যে আপনাদের পিতার নাম ভুল এসেছে তাদের ক্ষেত্রেও কি করা উচিত তা জানিয়ে দেবো। যারা এ ধরনের সমস্যা ফেস করছেন তারা আমাদের ওয়েবসাইটের এই পোস্ট প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়বেন। পরবর্তীতে আপনি যখন কর্মজীবনে প্রবেশ করবেন তখন তাহলে আর কোন সমস্যা হবে না।
প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থীর বিভিন্ন বোর্ড পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে এবং তারা সেই পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করে সার্টিফিকেট পাই। কিন্তু রেজিস্ট্রেশন এর সময় কোন কারণে যদি ভুল হয়ে থাকে তাহলে সেই ভুল সার্টিফিকেটে চলে আসে। একজন শিক্ষার্থীর যখন রেজিস্ট্রেশন করা হয় তখন তাকে নামগুলো প্রদানের ক্ষেত্রে সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে।
তেমনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যে সকল শিক্ষক রেজিস্ট্রেশন এর সঙ্গে জড়িত রয়েছেন তাদের কেউ এ বিষয়ে সতর্ক হতে হবে। তবে মানুষ মাত্রই ভুল হয়ে থাকে। এই কথাটি মেনে নিতে হবে এবং যাদের সার্টিফিকেটে ইতোমধ্যে পিতার নাম ভুল চলে এসেছে তাদেরকে নিচের দেওয়া নিয়মগুলো অনুসরণ করতে হবে। যারা প্রাইমারিতে পিএসসি পরীক্ষার সার্টিফিকেটের নাম ভুল পেয়েছেন তারাও দেখবেন এবং যারা এসএসসি এবং এইচএসসি পর্যায়ে পিতার নাম সার্টিফিকেটে ভুল পেয়েছেন তারাও দেখবেন।
পি এস সি সার্টিফিকেটের যদি পিতার নাম ভুল আছে তাহলে সেটি পরিবর্তন করা খুবই সহজ একটি প্রক্রিয়া বলে মনে করি। এ সি সার্টিফিকেট এর পিতার নাম পরিবর্তন করতে হলে আপনারা এই কাজ সম্পন্ন অফলাইনে করতে পারবেন বা নিজের হাতে করতে পারবেন। প্রথমে আপনারা একটি আবেদন পত্র লিখবেন এবং আবেদন পত্রের ভাষা হবে শিক্ষার্থীর ভাষায়। একজন শিক্ষার্থীর সচরাচর প্রধান শিক্ষকের কাছে বিভিন্ন সাহায্য চেয়ে যে ধরনের আবেদন পত্র লেখা এখানে ঠিক একইভাবে আবেদনপত্র লিখতে হবে।
তারপরে শিক্ষার্থীর পিতার নামের বানানে ভুল এসেছে এবং সেটিই সংশোধন করা প্রয়োজন বলে সার্টিফিকেটে উল্লেখ করতে হবে। তাহলে একজন শিক্ষার্থীকে অথবা শিক্ষার্থীর অভিভাবক কে এই আবেদন পত্র স্বহস্তে লিখতে হবে অথবা কম্পিউটারে টাইপ করে লিখলে হয়ে যাবে।
আবেদনপত্রের ভেতরে কোন তথ্যটি ভুল দেয়া হয়েছে এবং ভুল তথ্যের সঠিক সমাধান কি তা উল্লেখ করতে হবে। আবেদন পত্র লেখা হয়ে গেলে আপনারা উপস্থিত হবেন প্রধান শিক্ষক বা শিক্ষিকার কাছে। যেহেতু সার্টিফিকেটে পিতার বানান ভুল এসেছে তাই পিতার ভোটার আইডি কার্ড এর অরিজিনাল কপি এবং ফটোকপি নিয়ে যেতে হবে। তাছাড়া শিক্ষার্থীর জন্ম সনদ নিয়ে যেতে হবে।
প্রধান শিক্ষকের কাছে এ বিষয়গুলো খুলে বললে তিনি আপনাদের আবেদনপত্রটি বিবেচনা করে দেখবেন এবং সেখানে সঠিক তথ্যের জন্য তিনি স্বাক্ষর করে দিবেন এবং সুপারিশ করে দেবেন। তারপরে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি নিয়ে আপনারা উপস্থিত হবেন উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে এবং তাকে আবেদন করলেই আপনারা এই সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবেন। এক্ষেত্রে আপনাদের বেশি সমস্যা দেখি না।
তবে যারা এসএসসি অথবা এইচএসসি পর্যায়ের সার্টিফিকেট এর পিতার নাম ভুল পেয়েছেন এবং এই ভুল যদি সংশোধন করতে চান তাহলে আপনাদের একটি দীর্ঘমেয়াদী কাজ করতে হবে। এসএসসি এবং এইচএসসি সার্টিফিকেট পরিবর্তনের ক্ষেত্রে আপনাদের প্রায় তিন হাজার টাকার মতো খরচ হয়ে যেতে পারে। সর্ব প্রথমে আপনাদের কোন জায়গায় যাওয়ার আগে পত্রিকা অফিসে একটি এড দিতে হবে এবং নোটারি পাবলিক করতে হবে।
অর্থাৎ আপনি যদি নিকটস্থ অ্যাডভোকেটর সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং সার্টিফিকেট সংশোধনের কথা বলেন তাহলে তিনি আপনাদের সকল কাজ সমাধা করে দেবেন। তারপরে আপ্নারা পত্রিকায় একটি এড দিবেন এবং সেই অ্যাড এ সকল তথ্য দেওয়া থাকবে। পত্রিকায় পরের দিন এক বের হলে সেই একটি কাটিং করে নিয়ে আপনারা চলে যাবেন যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে উত্তীর্ণ হয়েছেন সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের সঙ্গে কথা বললে আপনারা এই সমস্যার সমাধান পাবেন। যদিও অনেকে বলে থাকেন যে অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসে সার্টিফিকেট সংশোধন করা যায়, তারা কিঞ্চিৎ পরিমাণ মিথ্যার কথা বলেছেন। অনলাইনের মাধ্যমে করা যায় ঠিকই কিন্তু আপনাদের কাগজপত্র জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে এবং আবেদন করার ক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষকের সহায়তা গ্রহণ করতে হবে এবং শিক্ষা বোর্ডে উপস্থিত হতে হবে।
তাহলে আপনারা নোটারি পাবলিক এবং পত্রিকার কাটিং, পিতার ভোটার আইডি কার্ড এবং শিক্ষার্থীর অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে উপস্থিত হতে হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সেখানে আপনারা যদি এ বিষয়ে খুলে বলেন তাহলে তার প্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন নাম্বার দিয়ে জাতীয় শিক্ষা বোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে আপনার এই সমস্যার সমাধান করার জন্য আবেদন করে দিবেন।
সে ক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কম্পিউটার অপারেটর ইআইআইএন নাম্বার ব্যবহার করে যেতে শিক্ষা বোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবেন এবং সেখানে সকল প্রয়োজনীয় তথ্য শিক্ষার্থী থেকে অথবা শিক্ষার্থীর অভিভাবক থেকে নিয়ে পূরণ করবেন। নোটারি পাবলিক এবং পত্রিকার কাটিং এর যে কাগজ নিয়ে গেছেন সেটা তাঁরাই স্ক্যান করে দিবেন এবং যে সকল তথ্য চাওয়া হবে সেগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্ক্যান মেশিন থেকে স্ক্যান করে আবেদনটি করে দিবেন। আবেদন করা হয়ে গেলে আপনারা দেখতে পারবেন যে আপনাদের সেই অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে একটি আইডি খোলা হয়ে গেছে এবং এই আইডিতে আপনারা যে নাম্বার পাবেন সেই নাম্বার ধরে সোনালী ব্যাংকে গিয়ে উপরে উল্লেখিত টাকা জমা দিতে হবে।
টাকা জমাদানের পরে আপনারা পেমেন্ট স্লিপ সংগ্রহ করবেন এবং পরবর্তীতে অপেক্ষা করতে হবে। পরবর্তীতে আপনাদের ফোনে এসএমএস আসবে এবং সে এসএমএস এর মাধ্যমে আপনারা জাতীয় শিক্ষা বোর্ড এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে লগইন করবেন এবং সেই একাউন্টের মাধ্যমে আপনারা যে সংশোধনের জন্য আবেদন করেছেন তার কতটা উন্নতি হয়েছে তা দেখতে পারবেন। যদি আপনাদের সেই কাজ সম্পূর্ণভাবে হয়ে যায় অর্থাৎ নাম সংশোধন হয়ে যায় তাহলে আপনারা সেখানে সার্টিফিকেটের অনলাইন কপি পেয়ে যাবেন এবং সেই অনলাইন কত সেখান থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
অনলাইন কপি ডাউনলোড করবে আরো পরে আপনারা যদি অনলাইন কপিটির হার্ড কপি পেতে চান তাহলে আপনাদের আগের সেই নাম্বারে আবার সোনালী ব্যাংকে গিয়ে নির্ধারিত পরিমাণ টাকা জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে বোর্ড অনুযায়ী টাকার পরিমাণ কিছুটা কম বেশি হতে পারে। সেখানে আপনারা সকল পেমেন্ট স্লিপ এর রশিদ নিয়ে যাবেন এবং শিক্ষার্থীর যাবতীয় তথ্যাদি এবং পিতার নামের পরিবর্তনের জন্য পিতার জন্ম নিবন্ধন কার্ড ও ভোটার আইডি কার্ড অরিজিনাল কপি ফটোকপি নিয়ে যাবেন। তারপরে সেখানে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে আপনারা কাগজপত্র জমা দিয়ে আসবেন এবং খুব অল্প সময়ের মধ্যে আপনাদের সার্টিফিকেটের অরিজিনাল কপি দিয়ে দিবে। এক্ষেত্রে দুই থেকে তিন দিন সময় লাগতে পারে বা তার বেশি সময় কিছুটা লাগতে পারে।
এভাবে যদি আপনারা সার্টিফিকেটের নাম সংশোধন করেন তাহলে বেশি টাকা খরচ হবে না এবং বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করতে হবে না। কারণ আপনি যদি দালাল ধরে কাজ করতে চান তাহলে টাকার পরিমাণও বেশি লাগবে এবং দালাল কাজটি ঢিলেঢালাভাবে করার কারণে আপনার সময় অনেক বেশি লাগবে।
তাই নিজের কাজ নিজে করা শ্রেয়। যারা নিজেদের সার্টিফিকেটের নিজেদের নাম মাতার নাম ইত্যাদি পরিবর্তন করতে চান তারা উপরে উল্লেখিত নিয়ম অনুসরণ করলেই করতে পারবেন। সার্টিফিকেটে নাম পরিবর্তন সংক্রান্ত কোনো তথ্য যদি আপনাদের জানার থেকে থাকে অথবা এ বিষয়ে কোনো যদি প্রশ্ন করার থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের মন্তব্য বক্সে তা লিখে জানিয়ে দেবেন। সকলের সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ কামনা করছি।
Leave a Reply