আপনি যদি ফেরাউন কত বছর বেঁচে ছিল এই সংক্রান্ত তথ্য জানতে চান তাহলে এখান থেকে এই তথ্যগুলো জেনে নিতে পারেন। ফেরাউন বেঁচে থাকার বয়স এবং ফেরাউনের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আজকের এই পোস্টটি আপনাদেরকে সহজ ভাবে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া আপনারা যারা এতদিন ফেরাউন শব্দটি শুনে এসেছেন এবং এটার সঠিক তথ্য জানেন না তারা এখান থেকে এই সংক্রান্ত তথ্যগুলো জেনে নিতে পারবেন।
পরীক্ষায় আসার ক্ষেত্রে এবং নিজেদের সাধারণ জ্ঞান বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে আপনারা এই তথ্যগুলো জেনে নিতে পারেন। আপনাদের তথ্য জানার উপরে নির্ভর করে আমরা নিয়মিতভাবে এ ধরনের পোস্ট করে থাকি। মনে করি যে আমাদের ওয়েবসাইটে যে সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করা আছে সেগুলো আপনাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজে আসবে।
আপনারা হয়তো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ধর্মীয় বইয়ে ফেরাউন সম্পর্কে ধারণা অর্জন করে থাকবেন। অথবা বাড়ির বয়োজ্যেষ্ঠদের কাছে আপনারা এ সংক্রান্ত তথ্য জেনে থাকবেন। তৎকালীন মিশরে যারা নিজেদের ক্ষমতা অন্যের কাছে জাহির করত এবং অন্যায় ভাবে কাউকে কষ্ট দিত তাদেরকে আমরা ফেরাউন রাজা হিসেবে জানতাম। তাছাড়া ফেরাউন নামক যে ব্যক্তিটিকে আমরা চিনে থাকি তার ভেতরে এক ধরনের অলৌকিক শক্তি থাকার কারণে সেই ব্যক্তি নিজেকে মহান সৃষ্টিকর্তা বলে ভাবতে শুরু করে।
তার দৈহিক উচ্চতা এবং ক্ষমতা এবং অলৌকিক শক্তির কারণে তার ভেতরে যে ভুল ধারণা ছিল তা সকলেই ভেঙে দেন। একটা সময় তার পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়। আপনারা হয়তো এ পর্যন্ত জেনে থাকবেন যে ফেরাউন নামক কোন এক ব্যক্তি প্রাচীন মিশরে অন্যায় ভাবে নিজেকে সৃষ্টি করতে দাবী করে সকলের উপরে জুলুম ছাপিয়ে দেওয়া একজন ব্যক্তি।
কিন্তু আপনাদের এই প্রশ্নের উত্তরে বলতে চাই যে ফেরাউন মূলত কোন একক ব্যক্তির নাম নয়। আমরা যারা ফেরাউন শব্দটি শুনে আসছি তারা জেনে থাকবে যে এটি বনী ইসরাঈলের যুগের ধর্মযাজক বা ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব ধরনের মানুষ। তাছাড়া তৎকালীন মিশরে বনি ইসরাঈলের বংশের শাসকদের কেউ পরিপূর্ণভাবে ফেরাউন বলা হতো। কম দামে জিনিস কিনে এনে বেশি দামে বিক্রি করা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের দুর্নাম তাদের রয়েছিল। এছাড়াও অন্যায় ভাবে মানুষদের প্রতি বিভিন্ন বিষয় চাপিয়ে দেওয়া হতো এবং কেউ যদি তাদের উপাসনা না করে তাহলে তাদেরকে কষ্ট দেয়া হতো।
প্রকৃতপক্ষে ইহুদি বংশের এই লোকেরা সকলেই ফেরাউন নামে পরিচিত। তবে আমরা প্রাচীন মিশরের সর্বশেষ ফেরাউনকে চিনে থাকি এবং তার গল্পই হয়তো পড়ে থাকি। এই ফেরাউন কত বছর বেঁচে ছিল তা আপনারা হয়তো জানতে চান এবং সেই জন্য আজকের এই পোস্ট করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন তথ্য থাকলেও আমরা একটি জায়গা থেকে জানতে পারি যে প্রাচীন মিশরের ফেরাউন ৪ শত বছরের অধিক বেঁচে ছিল। হযরত মূসা আলাইহিস সালামের যুগের ফেরাউনের নাম ছিল অলিদ ইবনে মাসআদ ইবনে রাইয়ান। এই ফেরাউন ৪ শত বছরের সময় ধরে বেঁচে ছিল এবং ইসলাম ধর্মকে এই হেয় প্রতিপন্ন করে গিয়েছে। আশা করি এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা উত্তর পেয়ে গিয়েছেন।
Leave a Reply