
আপনারা যারা ফ্রি ফায়ার গেম খেলেন তাদেরকে আজকে আমাদের ওয়েবসাইট এ ফ্রি ফায়ার গেম খেললে কি ধরনের ক্ষতি হতে পারে তা জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। প্রকৃতপক্ষে যারা ফ্রি ফায়ার গেম খেলে থাকেন তারা হয়তো এই যুক্তিগুলো মানবেন না অথবা এই যুক্তিগুলো মানার পরেও ফ্রি ফায়ার গেম এর কাছে আবেগের জন্য আপনারা হয়তো হার মানবেন।
কিন্তু যে সকল অভিভাবক আজকের এই পোস্ট করবেন তাদেরকে বলব যে আপনারা আপনাদের সন্তানদেরকে ফ্রি ফায়ার গেম এর কুফলতা যদি তুলে ধরতে পারেন তাহলে তারা হয়তো বুঝবে অথবা আপনারা তাদেরকে চাইলে বোঝানোর চেষ্টা করতে পারেন। তাই আপনারা অবশ্যই সঠিক তথ্য জানার জন্য ফ্রি ফায়ার গেমের এ বিষয়গুলো জানুন এবং নিজেদের সন্তানদেরকে নির্দিষ্ট কোনো একটি কাজে মনোনিবেশ করার জন্য সহযোগিতা করুন।
প্রকৃতপক্ষে শিক্ষার্থীদের হাতে ফোন চলে এসেছে করোনা কালীন সময়ে অনলাইন ক্লাস করার জন্য। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনলাইনের মাধ্যমে ক্লাস ব্যবস্থা পরিচালনা করার জন্য শিক্ষার্থীরা তাদের অভিভাবকের কাছে থেকে ফোন কিনে নিয়েছে এবং সেই ফোন দিয়ে তারা বর্তমান সময়ে পড়াশোনার পাশাপাশি অনেকেই ফ্রি ফায়ার গেমের প্রতি আসক্ত হয়ে গিয়েছে। প্রকৃতপক্ষে ফ্রী ফায়ার গেম এর যে ফিচার অথবা এখানকার যে গ্রাফিক্স তা একজন মানুষকে খুব সহজেই মোহিত করতে পারে। তাই কেউ একজন ফ্রী ফায়ার গেম খেলা শুরু করলে সেই গেমটি আস্তে আস্তে তার কাছে উপভোগ্য বলে মনে হয় এবং এই গেমটির নেশা আর তাকে ছাড়ানো সম্ভব হয় না। যদি বিবেক বুদ্ধি জাগ্রত হয় তাহলে সেই ব্যক্তি নিজের থেকেই এই গেম খেলা ছেড়ে দিবে।
কিন্তু আপনার সন্তান যদি দিনে দিনে ফ্রি ফায়ার গেম এর প্রতি আসক্ত হয়ে ওঠে তাহলে অবশ্যই তাকে এই আসক্তি কাটানোর জন্য সঠিক দিক নির্দেশনা প্রদান করতে হবে। কারণ হয়তো আপনার সন্তান এখন প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে এবং পরবর্তীতে এই গেমগুলো তার কাছে উপভোগ্য বলে মনে হলে এই গেমের আসক্তি তার থেকে কাটানো অনেক কঠিন হয়ে যাবে। বর্তমান সময়ে পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী এমনকি অনেক ছোট বয়সী শিক্ষার্থী ফ্রি ফায়ার গেম অনায়াসে খেলছে। প্রকৃতপক্ষে এটা একটা বিনোদনের মাধ্যম বলে অনেকেই খুব সহজে গেমটাকে উপভোগ করতে পারছে এবং পড়ালেখার বিষয়ে তারা দিনের দিন পিছিয়ে চলে যাচ্ছে।
একজন শিক্ষার্থী যদি ঠিকভাবে পড়াশোনা না করে অথবা শুধু পরীক্ষায় পাশ করার জন্য কোন রকম ভাবে যদি পড়ে তাহলে সে কখনোই ভালো কিছু করতে পারবে না অথবা নতুন কিছু শিখতে পারবে না। আর এই ক্ষেত্রে পাঠ্য বই বিমুখ হয়ে যাওয়ার কারণে ফ্রি ফায়ার গেম খুবই মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।
তাই একজন অভিভাবক হিসেবে অথবা একজন ফ্রি ফায়ার গেমে আসক্ত ব্যক্তি হিসেবে আপনারা অবশ্যই জেনে থাকবেন যে ফ্রী ফায়ার গেম এর ভেতরে যে ধরনের সাউন্ড কোয়ালিটি অথবা যে ধরনের গ্রাফিক্স ব্যবহার করা হচ্ছে তাতে করে আপনার মস্তিষ্কের ভেতরে বিভিন্ন ধরনের হরমোন উৎপাদন এর ক্ষেত্রে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। এতে করে আপনি ফ্রি ফায়ার গেমে সব সময় বোধ হয়ে থাকছেন এবং নতুন কিছু শিখতে গেলে আপনার মাথায় শুধু ফ্রী ফায়ার গেম এর বিভিন্ন গ্রাফিক্সের কথা মনে পড়ছে।
তাছাড়া আপনি যখন ফ্রি ফায়ার গেম কমগত খেলতে থাকবেন তখন দেখা যাবে যে এটা আপনার ঘাড়ের যেমন সমস্যা করবে তেমনি ভাবে চোখের দৃষ্টি শক্তি আস্তে আস্তে কমতে শুরু করবে। তাছাড়া এখানকার সাউন্ড কোয়ালিটি আপনাকে কখনোই কোন কাজে মনোযোগই করতে দিবে না এবং আপনি মনোযোগ দিয়ে কোন কাজ ঠিকভাবে করতে পারবেন না।
তাই নিজেদের ভেতরের ডোপামিনের পরিমাণ ঠিক রাখার জন্য এবং কোন কাজে সঠিকভাবে মনোনিবেশ করে বাস্তবিক জীবনে উপকার পাওয়ার জন্য এই ধরনের বিনোদন থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে। বিনোদনের আরো অনেক মাধ্যম রয়েছে এবং সেই মাধ্যমগুলো আপনারা কাজে লাগাতে পারলে এবং ফ্রী ফায়ার গেমের আসক্তি কাটাতে পারলে জীবন হয়ে উঠবে সুন্দর এবং চমৎকার।

Leave a Reply