জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর কারণ হলো আপনি যে মানুষটিকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন সে যেন সবসময় সুস্থ থাকে এবং ভালো থাকে এইটা চেয়ে প্রার্থনা করা। আমরা সেই মানুষটিকে শুভকামনা জানিয়ে থাকি যেন সে ভবিষ্যতের দিন গুলো খুব সুন্দর ভাবে কাটাতে পারে। কিন্তু এর বাইরেও আমরা বন্ধু অথবা বান্ধবীদের মজা করে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে পারি। কিভাবে বন্ধু-বান্ধবীকে মজা করে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো যায় তা নিয়েই কথা বলব পুরোটা সময়।
একটু সময় নিয়ে আজকের পুরো লেখাটি পড়ে ফেলুন কারণ শেষ পর্যন্ত পড়ার পর আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন এই আর্টিকেলটা আপনার জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। এর আগে আপনারা অনেকেই আমাদের কাছে জানতে চেয়েছিলেন বান্ধবীকে হাস্যকর জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর উপায় কি হতে পারে অথবা এমন কোন কবিতা কিংবা ছন্দ সংগ্রহ করা যায় কিনা যা বেশ হাস্যকর হবে এবং বান্ধবীর জন্মদিনের শুভেচ্ছা হিসেবে এগুলো ব্যবহার করা যাবে। আমরা বেশ কিছু কবিতা ও ছন্দ নিয়ে আর চলে এসেছি যেগুলো বেশ হাস্যকর। আপনি যদি বান্ধবীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে চান তবে এই ছন্দ গুলো ব্যবহার করতে পারেন।
তাক ধিনা ধিন ধিন
আজকে তোমার জন্মদিন
সকাল সন্ধ্যা দুপুর রাত,
খাওয়াবো তোমায় দুধ ভাত।
উইশ হবে গিফট হবে
আনন্দে মন ভরে রবে।
এক দুই তিন
আজকে তোমার জন্মদিন।
আপনার বান্ধবীর জন্মদিন উপলক্ষে এমন কিছু কবিতা লিখে ফেলতে পারেন যে কবিতাগুলো শোনার সাথে সাথে আপনার বান্ধবী হাসতে হাসতে পেট ব্যথা করে ফেলবে। যদিও এমন কবিতা লিখতে প্রথম দিকে আপনি ব্যর্থ হবেন কিন্তু বেশ কিছুক্ষণ ধরে চেষ্টা করলে অনেক কবিতা লেখা সম্ভব।
আমাদের আজকের আর্টিকেলে আমরা যে ছন্দ গুলো যুক্ত করেছি সেগুলো কয়েকবার পড়লে ঠিক এমন ভাবেই আপনারা চেষ্টা করলেই অনেক ছন্দ লিখে ফেলতে পারবেন। আপনারা যদি ছন্দ লিখতে না পারেন তবে এর মধ্য থেকে যে কোন একটি বেছে নিয়ে বান্ধবীর কাছে পাঠিয়ে দিতে পারেন। যেহেতু এই আর্টিকেলটি অনেকজন পড়বে এবং ছন্দ গুলোও অনেক জনের কাছেই থাকবে তাই সবচেয়ে ভালো হবে আপনি নিজে যদি ছন্দ লিখে ফেলতে পারেন। যেমন ধরেন,
A তে Apple,B তে Bean
এলো তোমার জন্মদিন।
কেমন হবে উদযাপন?
থাকবে না আজ কিছু গোপন।
থাকবে অনেক বড় পার্টি?
খাওয়া হবে ফাটাফাটি।
তোমার কি গো বড্ড তারা?
কেটোনা কেক আমায় ছাড়া।
এক দুই তিন চার,
কি পেয়েছো উপহার?
পূরণ হোক মনের ইচ্ছা,
জন্মদিনে তোমায় জানাই অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
আপনি যদি মজা করে কোন কবিতা লিখতে চান তবে সেখানে যে খুব কঠিন কঠিন শব্দ ব্যবহার করতে হবে এমনটা নয়। এমন কিছু শব্দ ব্যবহার করতে হবে যেগুলো বেশ হাসির খোরাক যোগাবে। এক্ষেত্রে আপনি সম্পূর্ণ নিজের মতো করে লিখে ফেলতে পারেন কিংবা আঞ্চলিক যে কোন শব্দ ব্যবহার করতে পারেন। কিছু ক্ষেত্রে শুধু ছন্দের মিলের জন্য আমরা এমন কোন শব্দ ব্যবহার করতে পারি যেগুলোর শক্ত কোন অর্থ থাকতে হবে এমনটা নয়। এই ধরনের কবিতা গুলো শোনার পর এমনিতেই যে কেউ না হেসে থাকতে পারবেনা।
পয়দা দিবস আজকে তোমার
পালা এবার ট্রিট দেবার।
এমন একটি খুশির দিনে,
কেমনে চলে মিষ্টি বিনে?
দোয়া করি মনে মনে
সমৃদ্ধ হও ধনে জ্ঞানে।
হাজার ছেলের হয়ো মা
ভুল করলে করে দিও ক্ষমা।
সয়ো অনেক জ্বালাতন
হাসিমুখে কইরো দুঃখকে বরণ।
আশা করি আমাদের আজকের আর্টিকেলটি পড়ার পর আপনারা বুঝতে পেরেছেন কিভাবে বান্ধবীর জন্মদিনে হাস্যকর পোস্ট লেখা সম্ভব। এমন আরো সুন্দর সুন্দর ও হাস্যকর পোস্ট পেতে সব সময় আমাদের সাথে থাকুন। আশা করি সামনের দিনগুলোতে আমরা অনেক মজার মজার স্ট্যাটাস আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারব।
Leave a Reply