
আপনারা যারা জোকস পড়তে ভালোবাসেন তাদেরকে আমাদের নতুন আর্টিকেলে স্বাগতম জানাচ্ছি। আনন্দের খবর হলো এই যে কৌতুকপ্রেমীদের জন্য আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে বেশ কিছু নতুন পোস্ট করতে চলেছি যেগুলোতে মজার মজার অনেক কৌতুক থাকবে। তাই কৌতুকপ্রেমীরা অন্য কোথাও না গিয়ে সরাসরি চলে আসবেন আমাদের ওয়েবসাইটে।
যেহেতু শীতের সময় চলে এসেছে আর এ সময়গুলোতে শীতের জোকস ছাড়া অন্যান্য জোকস শুনতে খুব একটা ভালো লাগবে না। শীতের সময়ের কথা ভেবেই আমরা শীত নিয়ে মজার মজার জোকস সংগ্রহ করেছি। এইসব জোক্স গুলো শুধুমাত্র আপনাদের জন্যই শেয়ার করা হবে।
শীতের সময় হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় মানুষ খুব একটা বাইরে বের হতে পারে না। শীতের সময় প্রচন্ড ঠান্ডায় মানুষের সাথে মজার মজার ঘটনা ঘটে। মজার মজার এসব ঘটনা নিয়েই অসংখ্য জোকস তৈরি করা যায়।
শীত নিয়ে দম ফাটানো কৌতুক
- শীতের জড়তা বড়ই মায়াবী। সুমধুর, অলসতায় শীতের ভোরবেলা যেন এক আদরিনী মেয়ে।
- শীতের সকালে শিশিরে পা রেখে চলার আছে এক রমণীয় অনুভূতি।
- শীতের উজ্জ্বল মধুরিমা গায়ে মেখে প্রকৃতি অপরূপা হয়ে ওঠে; শুধু সুন্দর নয় বড় স্নিগ্ধ লাগে তাকে।
- শীতের দিনের উষ্ণতার সন্ধানে গৃহস্থলিতে দেখা যায় গরম বস্ত্রের আধিক্য,
দরিদ্র সমাজের ভরসা কেবল অগ্নি স্থলই।
নিষ্ঠুর প্রকৃতি নয়; সমাজ ই নির্মম । - শীতের দিনের রুপোলি রোদে অবগাহন করতে করতে গ্রাম্য পথে আপন মনে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা অনির্বচনীয়।
- অমলিন ও পরিচ্ছন্ন শীতকাল যেমন উপভোগ্য তেমনই স্বাস্থ্যকর।
শীত নিয়ে কিছু কিছু কৌতুক রয়েছে যেগুলো শুনলে হাসতে হাসতে দম আটকে যাবে। আপনারা যারা শীত ঋতু পছন্দ করেন তাদের জন্য এই কৌতুকগুলো অনেক আনন্দদায়ক হবে। বাংলাদেশে প্রায় কয়েক মাস শীত থাকে। শীতের সময় গুলোতে মানুষ ঠান্ডায় কাঁপতে থাকে। এ সময় অনেকেই নিয়মিত গোসল করেন না ঠান্ডা থেকে বাঁচার জন্য। গোসল না করার জন্য তাদের নিয়ে অনেকেই মজা করে থাকে। শীতের সময় গোসল নিয়ে অনেক মজার মজার কৌতুক রয়েছে যেগুলো আপনাদের জন্য আমাদের পোস্টগুলোতে দেওয়া হবে।
হাসতে হাসতে পেট ব্যথা হওয়া শীতের কৌতুক
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত-
কোন বাথরুমে বলতো জল সকল বাথরুমের চেয়ে ঠান্ডা কোন বাথরুমে গায়ে পড়লে জল ইচ্ছে হয় ধরে দিই ডান্ডা?
মার্ক্স- শীতকালে পুরুষদের হারাবার কিছুই নেই, স্নান করার ইচ্ছেটি ছাড়া। জয় করার জন্য পড়ে আছে পুরো লেপের তলা।
লেনিন- শীতকালে স্নান হচ্ছে অত্যাচারের চরম পর্যায়।
মাও- জ্যাকেট, সোয়েটার ও মাফলার দিয়ে শরীর ঘেরো। এটাই প্রতিক্রিয়াশীল শীতকে পরাজিত করার একমাত্র উপায়।
গান্ধী- শীতকালে স্নান না করা পরম ধর্ম।
নেতাজী- তোমরা যদি আমার স্নানের বালতিতে ঠান্ডা জল দাও
, আমি তোমায় তেড়ে গালাগাল দেবো।
যুক্তিবাদী প্রবীর ঘোষ- শীতে স্নান হচ্ছে ক্যানসারের চেয়েও মারাত্মক।
পারমানবিক বোমার চেয়েও ধ্বংসকারী।
একে জয় করতে না পারলে পুরুষদের শীতে আরামের স্বপ্ন অধরাই থাকবে।
শীতের সময় অনেক মানুষ কাজকর্ম ফেলে রেখে সারাদিন কম্বলের নিচে শুয়ে থাকে। এইসব মানুষকে নিয়ে মজার মজার কৌতুক রয়েছে। শীত সহ্য করতে না পেরে অনেকে সারাদিন আগুনের আঁচে বসে থাকে। ঘুমকাতুরে মানুষদের নিয়ে শীতের অনেক পেট ব্যথা করার মত কৌতুক রয়েছে।
গোপাল ভাঁড়ের শীতের কৌতুক
শীতের বর্ষার রিমিঝিমি কান্না নেই
নেই রুদ্র বিশ্বের দুঃসহ জ্বালা
কিংবা বাসন্তী প্রকৃতির আবরণ বাহুল্য।
শীত প্রকৃতি স্বল্প আভরণে এক সুস্মিতা কান্তা।
তাই তো সে বড় কাছের; এত আপন মনে হয়।”
”শীতের আকাশে লাল রবি ওঠে
ভোরের আলো ফোটে
বনে বনে পাখি ডাকে
রবির কিরণে সারাদিন ধরে আলো করে ঝলমল মানুষের মন তাই হয়ে ওঠে প্রাণচঞ্চল
প্রকৃতির নিয়মে এই খেলা
যুগ যুগ ধরে তাই চলেছে।..
আপনারা গোপাল ভাঁড়ের অসংখ্য কৌতুক শুনেছেন। শীত নিয়ে গোপাল ভাঁড় অনেক মজার মজার ঘটনা ঘটিয়েছেন। শীতের সময় সঠিক সময়ে রাজপ্রাসাদে না আসায় রাজা গোপাল ভারকে শাস্তি দিয়েছেন কিন্তু গোপাল ভাঁড় কৌশলে সেই শাস্তি থেকে রেহাই পেয়ে গেছেন এমন অনেক মজার ঘটনা রয়েছে।
একবার রাজা গোপাল ভার কে পরীক্ষা করার জন্য প্রচন্ড ঠান্ডায় সারারাত পুকুরে থাকতে বলেন। রাজা ঘোষণা দেন সারারাত পুকুরে থাকতে পারলে গোপাল ভার কে পুরস্কৃত করা হবে। গোপাল ভাড় ও রাজার কথা মত সারারাত পুকুরে ছিলেন। কিন্তু পুকুরের পাশে মশাল জ্বালিয়ে আলো দেওয়া হয়েছিল। গোপাল ভার সারারাত প্রচন্ড ঠান্ডায় পুকুরে থাকলেও রাজা তাকে পুরস্কৃত করেননি। রাজামশাই বলেছিলেন পুকুরের পাশে জালানো মশালের আগুনের তাপের কারণেই গোপাল ভার সারারাত প্রচন্ড ঠান্ডায় পুকুরে থাকতে পেরেছে।
আপনারা নিশ্চয়ই এই কৌতুকটি শুনেছেন। এরপর গোপাল ভার ও মনে মনে সিদ্ধান্ত নেয় রাজা মশাই কে উচিত শিক্ষা দেবার। তিনিও একদিন রাজাকে নিমন্ত্রণ করেন। নিচে আগুন জ্বালিয়ে অনেক উঁচুতে ভাতের হাড়ি বসান গোপাল ভার। সারাদিন গেলেও রান্না শেষ হয় না। শেষমেষ ধৈর্য ধরতে না পেরে রাজা গোপাল ভার কে বলেন এত উঁচুতে ভাতের হাড়ি থাকলে কিভাবে রান্না শেষ হবে। গোপাল ভার উত্তরে বলেন যদি মশালের আলোয় পুকুরের পানি গরম হতে পারে তাহলে এত উঁচুতে থাকা ভাতের হাড়িও গরম হওয়া সম্ভব। রাজা তখন নিজের ভুল বুঝতে পারেন।
এটি আপনাদের অনেক পরিচিত কৌতুক হলেও এমন অসংখ্য কৌতুক যা আপনার আগে কখনো পড়েননি তা এখন পড়তে পারবেন। হাসি ছাড়াও এই গল্পগুলোতে শিক্ষনীয় অনেক বিষয় রয়েছে।
স্বামী স্ত্রীর শীতের মজার কৌতুক
শীতের সময় স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে অনেক সময় ঝগড়া হতে দেখা যায় সংসারের কাজ নিয়ে। স্বামী অথবা স্ত্রীর মধ্যে একজন অলস হলে কে কোন কাজ করবে এটি নিয়ে নানান মজার মজার ঘটনা ঘটে। স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে অসংখ্য মজার ঘটনা নিয়ে তৈরি করা কৌতুক গুলো আপনারা পড়তে পারবেন।
Leave a Reply