অধিকাংশ মায়ের ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় তার পেটে সন্তান নয় মাসের মতো থাকে এবং সেই ৯ মাসের সময়ে বাচ্চার পজিশন বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পজিশনে থাকতে পারে। আগের দিনে এত অত্যাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা ছিল না তারপরও পেটে থাকা সন্তানের সঠিক সুস্থতা এবং সঠিক পজিশন নির্ধারণে কিছু পদ্ধতি রয়েছে। সেই পদ্ধতিগুলো সম্পর্কে আজকে জানবো।
সাধারণত গর্ভে যে সন্তানি থাকুক না কেন সেটা বাবা-মার জন্য আশীর্বাদস্বরূপ এবং তাই এখানে যাচাই-বাছার করার কোন প্রয়োজন নেই বাচ্চাটি ছেলে বা মেয়ে কোনটা। তারপরও যদি বাচ্চার সুস্থতার জন্য এবং আপনার কৌতূহলবশত আপনি কোন ধরনের পরীক্ষা ছাড়া সেটা জানতে চান আপনার গর্ভে থাকা সন্তানটি ছেলে না মেয়ে কিভাবে বুঝবেন তাহলে আজকে আমরা আপনাদের কিছু ধারনা দেব।
এই ধারণা অনুযায়ী আপনারা একেবারে ১০০% কনফার্ম হতে পারবেন না বাচ্চাটি ছেলে না মেয়ে তবে হালকা ধারণা পেতে পারেন এবং আংশিকভাবে শিওর হতে পারেন বাচ্চাটি ছেলে না মেয়ে। ছেলে বাচ্চা মূলত কোন পজিশনে থাকে সেটা জানার চেষ্টা করব আজকের এই আর্টিকেল থেকে। আশা করছি আপনারা আমাদের সঙ্গে থাকবেন।
ছেলে সন্তান পেটের কোন দিকে থাকে
অনেক মা বিভিন্ন কমেন্টের মাধ্যমে জানতে চাই তার গর্ভের সন্তান ছেলে হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু এবং সেটা দেখে কিভাবে বুঝবেন। বাচ্চার পজিশন অনুযায়ী কিছুটা বোঝা যায় যে ছেলে বাচ্চা না মেয়ে বাচ্চা তাই ছেলে বাচ্চার পজিশন গুলো আজকে জানবো এবং গর্ভাবস্থায় ছেলে বাচ্চা বিভিন্ন সময় কোন পজিশনে থাকতে পারে সেটা জানবো। তাই যারা গর্ভাবস্থায় ছেলে বাচ্চার পজিশন সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাদেরকে বলব একটু ধৈর্য সহকারে সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ুন।
সাধারণত যদি আমরা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বিশ বছর আগের কথা বলি তখন আল্টাসনোগ্রাফি এতটা এভেলেবল ছিল না যার কারণে আমরা জানতে পারছিলাম না গর্ভে থাকা সন্তান ছেলে না মেয়ে। তখন কিছু জিনিস এপ্লাই করা হতো যে জিনিসগুলোর মাধ্যমে আমরা সহজে অবগত হতে পারতাম গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে সে সম্পর্কে।
গর্ভাবস্থায় গর্ভে থাকা সন্তান এর পেট যদি নিচু পেট হয় তাহলে এখানে আংশিকভাবে ধারণা করা হয় যে গর্ভে থাকা সেই সন্তান হচ্ছে ছেলে। তবে অনেকে মনে করেন যে গর্ভবতী নারীর পেট যদি নিচু হয় তাহলে ছেলে সন্তান হবে। আমরা আপনাদের এই ভ্রান্ত ধারণা দূর করতে যাচ্ছি তবে বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণ পাওয়া গেছে যে দ্বিতীয়বার এবং দ্বিতীয়বার গর্ভধারণের ক্ষেত্রে পেট স্বাভাবিকভাবে নিচু হতে পারে এবং প্রথম সন্তানের ক্ষেত্রে বেশি উঁচু হয়।
সাধারণত ছেলে বাচ্চারা একটু বেশি চঞ্চল হয় এবং সেই চঞ্চল বাচ্চারা যখন মায়ের গর্ভে থাকে তখনও অনেক চঞ্চল হয়ে থাকে। সেই হিসেব করে গর্ভাবস্থায় যে বাচ্চাটি বেশি নড়াচড়া করবে সেটা দেখে অনেকে ধারণা করতে পারেন যে গর্ভাবস্থায় ছেলে সন্তান বেশি নড়াচড়া করছে।
গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে কিভাবে বুঝবেন
গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে বোঝার বেশ কয়েকটি সহজ উপায় আছে যার মাধ্যমে আপনি কোন ধরনের পরীক্ষা ছাড়াই সেটা বুঝতে পারবেন। সাধারণত আলট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে সেটা দেখা এক ধরনের অপরাধ এবং সেই অপরাধ থেকে যদি নিজেকে দূরে রাখতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে এই পদ্ধতি গুলো জানতে হবে।
এটা নির্ভর করে গর্ভে থাকা সন্তান মায়ের গর্ভে কেমন আছে এবং কি পরিবেসে আছে সেটার ওপর। ২০০৯ সালে চীনের একটি শহরে ৭ বছর ধরে একটি গবেষণা পরিচালনা করা হয় এবং সেই গবেষণায় ৩৩৭৫ জন গর্ভবতী মহিলার উপর পরীক্ষা করেছে এই গবেষক দল। তাদের মধ্যে ১৬৯২ জনের রক্তচাপ কোলেস্টরেল ও অন্যান্য মূল্যায়ন করা হয় এর পাশাপাশি 739 জনের ছেলে ও ৬২৭ জনের মেয়ে হয়। এখানে যে জিনিসগুলো তারা লক্ষ্য করেছে সেটা হচ্ছে।
যদি প্রসবের আগ মুহূর্তে গর্ভবতী মহিলার রক্তচাপ অনেক বেশি কমে যায় তাহলে তিনি কন্যা সন্তান জন্ম দিচ্ছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আবদার রক্তচাপ অনেক বেড়ে যায় তাহলে তিনি পুত্র সন্তান জন্ম দিচ্ছেন এটা ধারণা করা হয়
Leave a Reply