যে সকল মা গর্ভবতী হয়ে আছেন এবং যাদের বয়স 20 থেকে 35 এর ভেতরে রয়েছে তারা অবশ্যই সরকারি ভাতা ২০২৩ সালে পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মাধ্যমে এই আবেদন কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে আপনাদের গর্বের সন্তানের বয়স যদি চার থেকে ছয় মাস হয়ে থাকে তাহলে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করে এই ভাতা পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারেন। তাই যারা পারিবারিকভাবে অসচ্ছল অথবা সন্তানের লালন-পালন করার ক্ষেত্রে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা থেকে বিরত আছেন তারা এই ভাতার টাকা পেয়ে থাকলে অনেকটাই সচ্ছলতা অবলম্বন করতে পারবেন।
বর্তমান সময়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মাধ্যমে নারীদের এই ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। একটি নারী যখন গর্ভবতী হয়ে থাকে তখন তার পেটের সন্তানকে মানুষ করার জন্য অথবা সন্তানকে সঠিকভাবে পুষ্টি প্রদান করার জন্য ভালো ভালো খাবার দাবার গ্রহণ করার প্রয়োজন হয়। তাছাড়া সঠিকভাবে স্বাস্থ্য পরিচর্যা করার মাধ্যমে একজন মা বিভিন্ন ধরনের দিকনির্দেশনা পেয়ে যান এবং সন্তানের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি নিজের যত্ন নিতে পারেন।
তাই একজন মা যখন সঠিকভাবে প্রত্যেকটি ধাপ অনুসরণ করতে চাইবেন তখন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর থেকে আঞ্চলিক যে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে থাকে সেখানে অবশ্যই অংশগ্রহণ করবেন। তাছাড়া পারিভাবিকভাবে অসচ্ছল হয়ে থাকলে সেই অসলচ্ছলতা দূর করার জন্য আপনারা চাইলেই আবেদন করে গর্ভবতী ভাতা পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন। তাই গর্ভবতী ভাতা পাওয়ার জন্য বেশ কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হবে অথবা অনলাইনে মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।
এক্ষেত্রে প্রত্যেকটি একটি এলাকায় যে সকল মহিলা কাউন্সিলর রয়েছেন সেই সকল কাউন্সিলরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারলে এবং পরিবারের আর্থিক অবস্থা তুলে ধরতে পারলে তারা আপনাদেরকে বিষয়ে সাহায্য করবে। তাই যে সকল মায়ের বয়স ২০ থেকে ৩৫ বছর অথবা এর চাইতে কম না অথবা বেশিও না তারাই এখানে আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করার ক্ষেত্রে অনলাইন সার্ভিসের দোকান থেকে আবেদন করার সুযোগ নেই বরং উপজেলা যে ডিজিটাল সেবা কেন্দ্র রয়েছে সেখান থেকে আবেদন করতে হবে।
অনেক মহিলা এই স্থানগুলো চেনেন না বলে সেই ক্ষেত্রে প্রতিনিধি হিসেবে অন্য কেউ এই কাজগুলো করে দেন। তাই আপনার গর্ভে যদি সন্তান থেকে থাকে এবং তার বয়স যদি চার থেকে ছয় মাস হয়ে থাকে তাহলে আপনারা আবেদন করার ভিত্তিতে পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারেন। তাই অনলাইনে আবেদন করার ক্ষেত্রে আপনাদেরকে এনআইডি কার্ড এর তথ্য প্রদান করতে হবে এবং এনআইডি কার্ড অনুযায়ী যদি বয়স ঠিকঠাক মত পাওয়া যায় তাহলে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদন করার ক্ষেত্রে অন্যান্য আরো বেশ কিছু শর্ত রয়েছে এবং এই শর্তগুলো পূরণ করতে হবে। গর্ভে যে সন্তান ধারণ করেছেন সেই সন্তান যদি প্রথমবারের মতো হয়ে থাকে অথবা দ্বিতীয়বারের মতো হয়ে থাকে তাহলে আবেদন করার সুযোগ দেওয়া হবে। অর্থাৎ অধিক সন্তান ও তৃতীয় চতুর্থ সন্তানের ক্ষেত্রে এ ধরনের কোনো সুযোগ নেই। তাছাড়া যে মহিলা আবেদন করছেন তার পরিবারের আর্থিক অবস্থা যদি খারাপ হয় অথবা সেই পরিবারের মাসিক ইনকাম যদি 8000 টাকার মধ্যে না হয় তাহলে তারা আবেদন করার সুযোগ পাবে।
তাই এ সকল শর্তগুলো মেনে নিয়ে আপনারা যখন ২০১৩ সালে আবেদন করবেন তখন আবেদন অনুযায়ী যোগ্য বলে বিবেচিত হলে এবং ভাতা পাওয়ার জন্য মনোনীত হলে প্রতি ছয় মাস পরপরই টাকা পেয়ে যাবেন। সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী প্রত্যেক মাসে ৮০০ টাকা করে অর্থাৎ ছয় মাস অন্তর অন্তর 4800 করে পাবেন। তাছাড়া আপনাদের জন্য এই ভাতা ৩৬ মাস মেয়াদী করা হয়েছে যাতে করে আপনারা তিন বছর এই ভাতার টাকা দিয়ে সন্তান লালন পালন করতে পারেন। এ প্রসঙ্গে কারো কোন কিছু জানার থাকলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে লিখে জানাতে পারেন।
Leave a Reply