
সরকারি মাধ্যমে সারা দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের থেকে এবং শিক্ষক ও কর্মচারীদের থেকে সরকারি অনুদান প্রদান করার জন্য আবেদন আহবান করা যাচ্ছে। বর্তমান সময় থেকে আগামী ১২০ দিনের ভেতরে আপনাদের আবেদন করার জন্য নির্দিষ্ট অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে এবং সেখানে গিয়ে আবেদন করতে হবে। আবেদন করার প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে এবং প্রাতিষ্ঠানিক অনেক তথ্য প্রদান করার ক্ষেত্রে আপনারা যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং এই অনুদান পাওয়ার জন্য তাদের থেকে কোনো প্রত্যয়ন পত্র সংগ্রহ করে ওয়েবসাইটে আপলোড করতে পারেন তাহলে খুব সহজেই এই বৃত্তি বা অনুদানের টাকা পাওয়া সম্ভব। তাছাড়াও আবেদন করার পরে বিভিন্নভাবে যাচাই বাছাই করা হবে এবং যারা অনুদান পাওয়ার যোগ্য তাদেরকেই এই অনুদান প্রদান করা হবে। তাই সরকারি অনুদান ১০ হাজার টাকা কিভাবে পাবেন তা এই পোষ্টের মাধ্যমে জেনে নিতে পারেন।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে এবং উপবৃত্তির পাশাপাশি বৃত্তি পরীক্ষার মাধ্যমে বৃত্তি প্রদান করে আসছে।তারপরেও অনেক শিক্ষার্থীর পরিবারের কথা ভেবে যাদের আর্থিক দুরবস্থা রয়েছে তাদের সেই অবস্থাকে লাঘব করার জন্য সরকারি অনুদান হিসেবে এককালীন ১০ হাজার টাকা করে প্রদান করা হবে বলে আমরা জানতে পেরেছি। তাই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আপনার পরিবারের অভিভাবক যদি সংসার চালাতে হিমশিম খাই অথবা আপনার লেখাপড়ার দৈনন্দিন জীবনের খরচ গুলো বহন করার জন্য তার জন্য অনেক কষ্টকর হয়ে যায় তাহলে অবশ্যই আপনাকে এই আবেদন করতে হবে।
এক্ষেত্রে সরকারি আবেদন করার জন্য আপনাদেরকে নির্দিষ্ট একটা ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে এবং সরাসরি আপনারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এই আবেদনগুলো করলে কম্পিউটার অপারেটর প্রত্যেকের মুখমন্ডল সরাসরি চিনে থাকে বলে সেই অনুযায়ী আবেদন করে দিবে। তাই আবেদন করার সময় ছবি সহকারে ডিজিটাল পদ্ধতিতে আপনার তথ্যগুলো যদি ওয়েবসাইট সংরক্ষণ করা থাকে তাহলে অবশ্যই আপনারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার অপারেটরের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। এক্ষেত্রে কোন তথ্য যদি বুঝতে সমস্যা হয় অথবা আপনারা যদি নিজেরাই ঘরে বসে আবেদন করতে চান তাহলে সরকারি অনুদানের যে অফিশিয়াল ওয়েবসাইট রয়েছে সেখানে প্রবেশ করে আপনাদের কেউ সঠিক তথ্য দিয়ে আবেদন করতে হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে থেকে শুরু করে মাধ্যমিক পর্যায়ে এবং উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে যারা পড়াশোনা করেন তাদেরকে এই বৃত্তি বা অনুদানের টাকা প্রদান করা হবে।
এছাড়াও যারা অনার্সে অধ্যায়নরত রয়েছেন অথবা মাস্টার্স পড়াশোনা করছেন তাদের কেউ এই বৃত্তির টাকা বা অনুদানের টাকা পাওয়ার জন্য আবেদন করতে বলেছেন। কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকের যদি আর্থিক অবস্থা খারাপ থাকে অথবা কোন কারনে টাকা পয়সার খুব প্রয়োজন হয় তাহলে যুক্তিসঙ্গত কারণ দেখে এবং একই ক্ষেত্রে অন্যান্য কর্মচারীবৃন্দ কারণ দেখিয়ে অনুদানের জন্য আবেদন করতে পারবে। তাই সরকারি কর্মচারী থেকে শুরু করে যখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোন শিক্ষক আবেদন করবেন অথবা শিক্ষার্থীর আবেদন করতে চাইবেন তখন সকলকে একই নিয়ম অনুসরণ করতে হবে এবং নিজেদের অবস্থান অনুযায়ী যদি আবেদন করতে পারেন তাহলে যাচাই-বাছাই শেষে এই অনুদান পেয়ে যাবেন।
সরকারি অনুদান ১০ হাজার টাকা পাওয়ার জন্য সকলেই যে আবেদন করলে পাবে বিষয়টা এমন নয়। তাই আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে সরকারি অনুদান পাওয়ার ক্ষেত্রে আপনাদেরকে সঠিক নিয়ম অনুসরণ করে আবেদন করার কথা বলবো এবং যে সকল তথ্য যা হবে সেগুলো অবশ্যই সঠিকতা যাচাই করে প্রদান করবেন। তাহলে সঠিকভাবে সরকারি অনুদানের কাজগুলো করতে পারবেন এবং আপনার যাচাই-বাছাই শেষে এই বৃত্তির টাকা মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে প্রদান করা হবে বলে এমন একটা নাম্বার ব্যবহার করবেন যে এটার মাধ্যমে আপনাদের টাকা উত্তোলন করার সুবিধা যেন হয়। তাই আর্থিক অবস্থা অনুযায়ী সরকারি অনুদান পাওয়ার জন্য আবেদন করুন এবং আর্থিক অবস্থা ভালো থাকলে অন্য মেধাবী গরিব মানুষকে এই টাকা বা অনুদান পাওয়ার জন্য সহায়তা করুন।
Leave a Reply