পরিবার যখন রাজি হয়ে না থাকে এবং পরিবারের সম্মতি না নিয়ে যখন আপনারা কোর্ট ম্যারেজ করতে চান তখন হয়তো বেকারত্বের জীবনে অনেকের কাছেই প্রশ্ন উঠে আসে কোর্ট ম্যারেজ করতে কত টাকা লাগে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে আপনি যদি কর্মজীবী হয়ে থাকেন তাহলে হয়তো কোর্ট ম্যারেজ করার সময় আপনার এই টাকার অংক মাথায় আসবে না। কিন্তু ভালবাসাকে বিয়েতে রূপান্তরিত করার জন্য যখন আপনারা কোর্ট ম্যারেজ করতে চাইবেন তখন হয়তো আপনার
বেকারত্বের জীবনের সেই সামান্য টাকা অনেক বেশি পরিমাণ হয়ে যাবে। তাই এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে কোর্ট ম্যারেজ করার ক্ষেত্রে কত টাকা লাগতে পারে সে বিষয়ে সঠিক ধারণা প্রদান করব। তাই কোর্ট ম্যারেজ করার জন্য কত টাকা লাগবে এখান থেকে সঠিক ধারণা অর্জন করতে পারলে অনেকেই হয়তো আপনার ভালোবাসার মানুষকে নিজের কাছে আজীবনের জন্য পেয়ে যাবেন এবং তাকে আপনি ভালোবাসার বাস্তব রূপ প্রদান করতে পারবেন।
সাধারণত যারা কোর্ট ম্যারেজ করতে চান তারা হয়তো ভাবেন এটা কোর্টে গিয়ে করতে হবে এবং সেখানে গিয়ে হয়তো অনেক টাকা খরচ করতে হবে। বিভিন্ন জায়গায় একজন উকিল এবং নোটারি পাবলিক ও প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতির মাধ্যমে কোর্ট ম্যারেজের সাজেশন প্রদান করা হয়ে থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে এই ধারণা ঠিক নয়। তবে কোর্টে যদি কাজী থাকে তাহলে তিনি অবশ্যই কাবিননামা তৈরি করতে পারবেন এবং সেখান থেকে আপনারা কোর্ট ম্যানেজ করতে পারবেন। তবে কোর্ট ম্যারেজ করার চাইতে আপনারা যদি কোন কাজীর কাছে গিয়ে আপনাদের ডকুমেন্টস এবং সাক্ষী প্রদান করে থাকেন তাহলে সেখানেই আপনাদের বিয়ে দেওয়া সম্ভব হবে।
বর্তমানের নিয়ম অনুযায়ী আপনি যদি মেয়েকে সাথে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন তাহলে মেয়ের বয়স অবশ্যই ১৮ হতে হবে এবং ছেলের বয়স ২১ হতে হবে। তবে উভয় পক্ষের অভিভাবক যদি উপস্থিত থাকে এবং সাক্ষী যদি উপস্থিত থাকে তাহলে অনেক সময় মেয়ের বয়সের ক্ষেত্রে শিথিলতা আনা হয়। তাই আপনারা যখন কোর্ট ম্যারেজ করতে চাইবেন তখন অবশ্যই আপনাদেরকে বলব যে কোর্ট ম্যারেজ করার চাইতে একজন কাজের কাছে গিয়ে যদি আপনারা বিয়ে নিবন্ধন করে থাকেন তাহলে সেটা সবচাইতে ভালো হবে। এক্ষেত্রে আপনারা যখন বিয়ে নিবন্ধনের কাজগুলো করবেন তখন প্রতি হাজারের জন্য কাবিননামা হিসেবে ১২ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।
অর্থাৎ আপনি যদি চার লক্ষ টাকা পর্যন্ত কাবিননামা তৈরি করেন তাহলে আপনাকে 5000 টাকা খরচ দিতে হবে এবং যদি আপনি পরবর্তীতে প্রত্যেক লাভ করে বৃদ্ধি করেন তাহলে তার জন্য অতিরিক্ত ১০০ টাকা করে লাখ-প্রতি বৃদ্ধি পাবে। তাই এই বিষয়গুলো আপনাদেরকে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে আপনার কথা বুঝতে পারছেন এবং খুব সহজেই এ বিষয়ে ধারণা অর্জন করতে পারছেন। একজন কাজের কাছে গিয়ে যদি আপনারা এই কাজগুলো করেন তাহলে কাজের রেজিস্ট্রেশন ফি এবং অন্যান্য কিছু খরচ সংযুক্ত হবে।
অর্থাৎ মোটামুটি ভাবে আপনার ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা কোর্ট ম্যারেজ করতে অথবা কাজীর কাছে গিয়ে বিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে খরচ হবে। অর্থাৎ এখান থেকে আমরা এটা বুঝতে পারলাম যে কোর্টে গিয়ে কোন ম্যারেজ হয় না এবং এই ম্যারেজ বা বিবাহ নিবন্ধন করতে হলে আপনাকে অবশ্যই কাজের কাছে যেতে হবে এবং তারাই আপনাদের বিয়ের রেজিস্ট্রেশন করবে। তবে পরিবারের অসম্মতিতে কেউ বিয়ে করবেন না এবং আপনার পিতা মাতা আপনাকে অনেক কষ্ট করে বড়
করেছেন বলে অবশ্যই তাদের ভালো মন্দ চাওয়া পাওয়ার ভিত্তিতে জীবন সঙ্গিনীকে বেছে নিতে পারলে অনেক ভালো থাকবেন। আর যদি ভালোবাসাকে বাস্তব জীবনে রূপ দিতে চান তাহলে কোর্ট মেরেজ করার ক্ষেত্রে আপনাদের এই টাকা খরচ করতে হবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোর্ট ম্যারেজ করার পর আপনি যখন বাড়িতে উঠতে পারবেন না তখন আপনার সংসার জীবন আপনাকে পরিচালনা করতে হবে এবং এক্ষেত্রে অনেক টাকা পয়সার দরকার রয়েছে।
Leave a Reply