সাধারণত আমরা যারা ডিগ্রী অথবা অনার্সে পড়াশোনা করে থাকি তাদের এই সার্টিফিকেট অথবা পড়াশোনার সিলেবাস থেকে শুরু করে পরীক্ষা নেওয়ার যাবতীয় ধাপ সম্পন্ন করে থাকেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাই আপনি যখন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রী অথবা অনার্স সম্পূর্ণ করার পর মাস্টার্সে ভর্তি হতে চাইবেন তখন অবশ্যই আপনাকে খরচের ব্যাপারে আগে থেকে জানতে হবে।
তাই আপনাদের এই তথ্যের জন্য আমরা অবশ্যই সঠিকভাবে বিষয়গুলো উপস্থাপন করব যাতে করে আপনারা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা আগে থেকে সংগ্রহ করে রাখতে পারেন এবং মাস্টার্সে ভর্তি হতে পারেন। যারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এই মাস্টার্স কোর্স সম্পূর্ণ করবেন তারা অবশ্যই সঠিকভাবে অ্যাপ্লিকেশন ফরম পূরণ করবেন এবং নির্দিষ্ট কলেজ চয়েজ প্রদান করবেন।
সাধারণত সকল কলেজের ডিগ্রী অথবা অনার্স কোর্স চালু করা হয়ে থাকলেও মাস্টার্স কোর্স সকল কলেজে থাকে না। আর এই ক্ষেত্রে অনার্স এবং ডিগ্রিতে ভর্তি হওয়ার জন্য যত সকল শিক্ষার্থী আবেদন করে থাকে তত শিক্ষার্থী মাস্টার্সে আর এপ্লিকেশন করে না। তাই অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসন সংখ্যা ফাঁকা থেকে যায় এবং শিক্ষার্থীরা চাইলেই আবেদন করে সেখানে এসে ভর্তি হতে পারে।
তাই মাস্টার্সে ভর্তি হওয়ার জন্য যদি আপনারা দেশ ছাড়া কলেজগুলোতে চয়েজ প্রদান করেন তাহলে অবশ্যই একটু ফলাফলের দিকে তাকাবেন। যদি ফলাফল ভালো থাকে তাহলে কোন সমস্যা নেই এবং আপনারা খুব সহজেই মাস্টার্সে আপনাদের কাঙ্খিত কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন।
অধিকাংশ শিক্ষার্থী আছে যারা অনার্স পাস করে বিভিন্ন কোম্পানির চাকরি অথবা বিভিন্ন সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনেক কলেজে মাস্টার্সের ক্লাস করার করাকরি নিয়ম থেকে থাকলেও অনেক কলেজে আছে যারা মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের ক্লাস করার প্রতি খুব একটা জবরদস্তি করে না অথবা সেরকম কড়া নিয়ম নেই।
তাই চাকরির প্রস্তুতি গ্রহণ থেকে শুরু করে অন্যান্য যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করার জন্য আপনারা হয়তো চাইছেন এমন একটা কলেজ যেখানে ক্লাস করার বাধ্যবাধকতা নেই এবং চাইলে শুধু পরীক্ষার সময় আপনারা পরীক্ষা দিতে পারেন। সেই হিসেবে আপনাদেরকে খোঁজ নিতে হবে আপনি আশেপাশের অথবা আপনার সুবিধা অনুযায়ী কোন কলেজে মাস্টার্স কোর্স করতে ইচ্ছুক।
যখন আপনার কলেজ নির্বাচন করা হবে অথবা আপনার ফলাফল অনুযায়ী আপনি যখন নিশ্চিত হবে সেই সকল কলেজে এডমিশন পাবেন তখন আপনার মনে হয়তো প্রশ্ন জাগবে যে আপনি কত টাকা খরচ করার মাধ্যমে মাস্টার্স কোর্সে ভর্তি হতে পারবেন।
কারণ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ এমাউন্ট নির্ধারণ করে দেওয়া হয়ে থাকলেও অনেক সময় কলেজ ভেদে এটার পরিমাণ কম বেশি হয়ে থাকে। বিভিন্ন কলেজে বিভিন্ন ধরনের খরচ থাকে অথবা যানবাহন খরচ থেকে শুরু করে অন্যান্য যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদান করার কারণে এই খরচ বৃদ্ধি পেয়ে যাই। তাই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জেপি নির্ধারণ করা হয়ে থাকে তার থেকে প্রত্যেকটা কলেজে কমপক্ষে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা ভর্তি ফি বেশি গ্রহণ করা হয়।
তাই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যারা মাস্টার্স করছে কোন নির্দিষ্ট কলেজে ভর্তি হতে চাইবেন তাদেরকে কমপক্ষে বর্তমান সময়ের নিয়ম অনুযায়ী ৬০০০ টাকা ধরে রাখতে হবে। যাদের কোনো প্র্যাকটিক্যাল নেই অথবা শুধু লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে মাস্টার্স কোর্স সম্পূর্ণ করতে পারবেন তাদের ক্ষেত্রে ৫ থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা খরচ হতে পারে।
আর যে সকল সাবজেক্টে মাস্টার্স করলে প্রাকটিক্যাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয় সেসকল কলেজে মাস্টার্স করার জন্য আপনার সাড়ে ছয় হাজার টাকার মত লাগবে। বর্তমান সময়ে প্রত্যেকটা জিনিসের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে অথবা পরীক্ষার আনুষঙ্গিক বিষয়গুলোর দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে এই খরচ কমপক্ষে 500 থেকে 1000 টাকা বেশি ধরে রাখতে হবে। আমরা মনে করি যে এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা মাস্টার্সে ভর্তি হওয়ার জন্য কত টাকা খরচ হতে পারে সে সম্পর্কে ধারণা অর্জন করতে পেরেছেন।
Leave a Reply