কেউ যদি স্বপ্নের দেশে ইতালিতে যেতে চান এবং সেখানে গিয়ে কাজ করতে চান তাহলে আপনাদের উদ্দেশ্যে অবশ্যই ইতালিতে যেতে কত টাকা খরচ হতে পারে এ প্রশ্নটি বারবার উঠে আসবে। তাই ইতালি যাওয়ার ক্ষেত্রে কত টাকা খরচ রয়েছে অথবা ওয়ার্ড পারভিন ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে কত টাকা লাগতে পারে সে বিষয়ে সঠিক ধারণা প্রদান করাই হবে আজকের প্রধান কাজ। তাই আপনারা এখান থেকে ইতালি যেতে কত টাকা লাগে সে বিষয়ে সঠিক ধারণা অর্জন করুন
এবং আমরা আপনাদের উদ্দেশ্যে বিস্তারিত বিষয়গুলো আলোচনা করছি বলে আপনারা অবশ্যই সঠিকভাবে প্রত্যেকটি তথ্য জেনে নিন। ইতালিতে যাওয়ার ক্ষেত্রে কত টাকা খরচ হতে পারে সে বিষয়ে জেনে নিতে পারলে অনেক মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তানের জন্য এই টাকাটা যোগাড় করা অনেক সহজ হবে।বর্তমানে চাকরির বাজারের যে অবস্থা তাতে করে অনেকেই যোগ্য প্রার্থীর পরিবর্তে অযোগ্যদের টাকা দিয়ে ঘুষের মাধ্যমে ঢুকিয়ে নিচ্ছেন। তাই হয়তো আপনি লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করার মাধ্যমে সরকারি চাকরি নিতে পারেন অথবা সেই টাকা দিয়ে ব্যবসা করতে পারেন।
কেউ যদি বিদেশ যেতে চান এবং সেই ক্ষেত্রে ইতালি দেশকে বেছে নেন তাহলে বলবো যে সেখানে যাওয়ার ক্ষেত্রে আপনাকে সর্ব প্রথমে যাওয়ার নির্দেশনা আছে কিনা তা জানতে হবে। বর্তমানে ইউরোপ মহাদেশের যে সকল দেশগুলোতে প্রত্যেক বছর লোক নেয়া হয় সে সকল দেশগুলোতে লোক নেওয়ার ভিসা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।তাই আপনারা যখন ইতালিতে যাওয়ার ক্ষেত্রে সুযোগ গ্রহণ করতে যাবেন তখন আপনাকে সর্ব প্রথমে ভারতের মাধ্যমে যেতে পারলে সবচাইতে ভালো হয়।
এক্ষেত্রে আপনি সরাসরি ইতালিতে না যেতে পারলেও রোমানিয়া থেকে শুরু করে পর্তুগাল অথবা আশেপাশের দেশগুলোতে যেতে পারবেন। সেখানে যাওয়ার পর আপনারা পরবর্তীতে কয়েক বছর থাকার মাধ্যমে ইতালিতে যাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারলে সেই অনুযায়ী ভিসা পেয়ে গেলে যেতে পারবেন। অর্থাৎ এখানকার এই তথ্যের মাধ্যমে আমরা জানতে পারলাম যে বাংলাদেশ থেকে ইতালিতে যাওয়ার ক্ষেত্রে সরাসরি কোন ভিসা কার্যক্রম নেই এবং এই ক্ষেত্রে আপনাকে নির্দিষ্ট কোন যে দেশে যেতে হবে। এদেশে কিছু কাজ করার পর অথবা কয়েক মাস কাজ করার পর আপনারা ইতালিতে যাওয়ার জন্য ভিসা প্রসেসিং এর অথবা অন্যান্য কাজগুলো করতে পারবেন।
তবে ইতালিতে যাওয়ার ক্ষেত্রে বর্তমান সময়ে দুই ধরনের ভেসে পাওয়া যাই। একটি হলো সিজনাল ভিসা এবং উন্নতি হল নন সিজনাল ভিসা। আপনি যদি সিগনাল ভিসা তে যেতে চান তাহলে বর্তমান সময়ের বাজারদর অনুযায়ী পাঁচ থেকে ছয় লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হবে। আর যদি নন সিজনাল ভিসা দেই ইতালিতে যেতে চান তাহলে আপনার কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকা খরচ হবে। তাই ইতালি যাওয়ার ক্ষেত্রে এই খরচ আপনাদের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে বলে আপনারা তা বুঝতে পারছেন এবং আপনারা খুব সহজভাবে ইতালিতে যাওয়ার বিষয়ে সঠিক তথ্য জেনে নিতে পারছেন। তাই ইতালিতে যাওয়ার ক্ষেত্রে কত টাকা খরচ হতে পারে এটা জেনে নিয়ে টাকা জোগাড় করাটা আপনার জন্য সহজ হবে বলে জানিয়ে দিলাম।
যারা পড়াশোনা কম করেছেন অথবা পারিবারিকভাবে বিদেশে গিয়ে টাকা পয়সা ইনকাম করছেন তারা হয়তো সেখানে গিয়ে কাজ করার প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করবেন। তাই যারা বিদেশে যেতে চান অথবা বিদেশে গিয়ে নিজেদের ভাগ্যের চাকাকে সুপ্রশন্ন করতে চান তারা হয়তো ইতালি দেশকে বেছে নিয়েছেন। কিন্তু সেরকম কোন সিস্টেম না থাকার কারণে আপনাদেরকে নির্দিষ্ট একটা দেশে যেতে হবে এবং সেখান থেকে ইতালিতে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। দৈনন্দিন জীবনে পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্রে প্রবাসী হিসেবে কাজ করার উদ্দেশ্যেই যেতে হলে আপনাদের দক্ষতার কথা বারবার বলে দেওয়া হচ্ছে। তাই নিজেদের দক্ষতা অনুযায়ী আপনারা যখন ইতালিতে যাবেন অথবা অন্য কোন দেশে যাবেন তখন অবশ্যই টাকা পয়সার ব্যাপারে এবং খরচের ব্যাপারে সঠিক মাধ্যম ব্যবহার করবেন।
Leave a Reply