অবসর ভাতা কত টাকা করে দেওয়া হয় সে প্রসঙ্গে যদি জানতে চান তাহলে এই পোষ্টের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গুলো ভালোমতো পড়ে নিন। বর্তমানে অনেকেই চাইলে অবসর ভাতা পাওয়ার জন্য এই সিস্টেম অনুসরণ করতে পারেন এবং ওদের ভবিষ্যতে সকলের জন্য অবসর ভাতা সিস্টেম চালু করার জন্য বাধ্যতামূলক করা হবে। তাই আপনি যদি একটা নির্দিষ্ট বয়স থেকে মাসিক ভিত্তিতে অথবা প্রবাসীরা নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর টাকা রাখতে পারেন তাহলে অবসরে যাওয়ার পর অথবা নির্দিষ্ট বয়স শেষ হলে সেই টাকা পেয়ে যাবেন। তাই অবসর ভাতা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো আপনাদের উদ্দেশ্যে আলোচনা করা হচ্ছে বলে অনেকেই জেনে নিয়ে অবসর ভাতা তৈরি করার জন্য যাবতীয় প্রসেস অনুসরণ করছেন।
বর্তমান সময়ের প্রত্যেকটা মানুষ ভবিষ্যৎ সচেতন হয়ে উঠছেন। নিজেদের জীবন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার পাশাপাশি সন্তান-সন্ততিদের জীবন যাতে সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয় তার জন্য ভবিষ্যতের কথা ভেবে অনেকে অবসর ভাতা করে থাকেন। তাছাড়া ভবিষ্যতে আপনার যখন ইনকাম বন্ধ থাকবে তখন আপনারা এই অবসর ভাতার টাকা উত্তোলন করে নিজেদের জীবনকে পরিচালনা করতে পারবেন বলে সরকারের এই সিস্টেম চালু করেছে।
যদিও বর্তমান সময়ে অবসর ভাতা প্রদান করাটা বাধ্যতামূলক নয় তারপরও আপনারা নিজেদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে যদি এখন থেকে প্রত্যেক মাসে একটা নির্দিষ্ট অ্যামাউন্ট জমা রাখতে পারেন তাহলে দেখা যাবে যে 60 বছর উত্তীর্ণ হওয়ার পর অবসর ভাতা পেয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানের নিয়ম অনুযায়ী আপনারা যদি ১৮ বছর বয়স থেকে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত প্রত্যেক মাসে এক হাজার টাকা করে জমা রাখতে পারেন তাহলে এই বয়স অতিক্রম করার পর প্রত্যেক মাসে প্রায় ৬৫ হাজার টাকার মত করে অবসর ভাতা পেয়ে যাবেন।
আর কেউ যদি ৩০ বছর বয়স থেকে এই সিস্টেম চালু করেন এবং ৬০ বছর পর্যন্ত রাখতে পারেন তাহলে প্রত্যেক মাসে প্রায় 19000 টাকার মত করে পাবেন। অর্থাৎ আপনি যে টাকা জমা রাখবেন তার ওপরে শতকরা ১০ শতাংশ মুনাফা প্রদান করা হবে এবং আট পার্সেন্ট করে গ্র্যাচুইটি প্রদান করার মাধ্যমে এই টাকার হিসাব নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। তাই অবসর ভাতা সংক্রান্ত এই প্রসেস অনুসরণ করার ক্ষেত্রে আপনারা যদি ভবিষ্যতের কথা ভেবে এটা করে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার অবসর গ্রহণ করার পর আজীবন এই টাকা পেতে থাকবেন।
অনেকেই মনে করে থাকেন যে যে ব্যক্তি অবসর ভাতার সিস্টেম চালু করল সে ব্যক্তি যদি মারা যায় তাহলে এই টাকা কারা গ্রহণ করবেন। এক্ষেত্রে আপনি যাকে নমিনি করে যাবেন সেই ব্যাক্তি ৭৫ বছর বয়স পর্যন্ত এই টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। বাংলাদেশীদের জন্য বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষের উদ্দেশ্যে প্রত্যেক মাসে এক হাজার টাকা করে এই অবসর ভাতা পাওয়ার জন্য জমা রাখতে বলা হয়েছে। নিজ উদ্যোগে এই টাকা রাখতে পারলে ভালো এবং কেউ যদি না রাখে তাহলে কোন সমস্যা নেই।
তবে অদূর ভবিষ্যতে প্রত্যেকের জন্য এই সিস্টেম চালু করাটা বাধ্যতামূলক করা হবে যাতে করে ভবিষ্যতের চিন্তা করতে না হয়। তাই ক্ষুদ্র মুদী ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে বর্তমান সময়ে বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষেরা অবসর ভাতা গ্রহণের জন্য সম্পূর্ণ আয়কর মুক্ত একটা সিস্টেম চালু করার ভিত্তিতে নির্দিষ্ট বয়স পরে এই টাকা মাসে মাসে উত্তোলন করতে পারবে। অর্থাৎ আপনি যে পেশাজীবী হয়ে থাকুন না কেন নিজেদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষার জন্য এই পরিকল্পনা করে প্রত্যেক মাসে টাকা জমা দিতে পারেন।
তবে কোন প্রবাসী যদি এই অবসর ভাতা পাওয়ার জন্য সংযুক্ত হতে চাই তাহলে তাকে সর্বোচ্চ তিন মাস পর্যন্ত টাকা প্রদান করার সুযোগ প্রদান করা হবে। অর্থাৎ তারা চাইলে তিন মাস পরপর এই টাকা দেওয়ার সুযোগ গ্রহণ করতে পারবে। তাই সরকারি চাকরিজীবীরা এই টাকা প্রদান করার পাশাপাশি যদি আপনি অন্য কোন পেশাজীবী মানুষ হয়ে থাকেন এবং আপনার যদি টাকা প্রদান করার সামর্থ্য থাকে তাহলে অবসর ভাতা পাওয়ার জন্য অবশ্যই এখন থেকে একটা অ্যাকাউন্ট তৈরি করে রাখুন।
Leave a Reply