মুসলমানদের একটি অন্যতম খুঁটি হিসেবে বিবেচিত হলো হজ্জ। তাই আপনি যদি আপনার জীবনকালে হজ করার জন্য প্রয়োজনীয় টাকা পয়সা সঞ্চয় করতে পারেন এবং হজে যাওয়ার পর পরিবারের ভরণ পোষণ বহন করতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে হজে যেতে হবে। সাধারণত আমরা বড় হজ বলতে গেলে কোরবানির ঈদের সময় যে হজ পালন করা হয়ে থাকে সেটা জেনে থাকবো এবং ছোট হজ হিসেবে ওমরা হজকে জেনে থাকি। তাই আপনারা যারা বড় হজ করতে চান এবং বড় হজ করার ক্ষেত্রে কত টাকা খরচ হতে পারে তা জানতে চান তা অবশ্যই এই পোষ্টের মাধ্যমে জানিয়ে দিলে অনেক মধ্যবিত্ত পরিবার আস্তে আস্তে টাকা সঞ্চয় করে পরবর্তী বছরে হয়তো যাওয়ার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারবেন।
আমরা মুসলিম হিসেবে আমাদের জীবনে অনেক দায়িত্ব রয়েছে এবং মহান আল্লাহ পাককে রাজি খুশি করানোর জন্য আমরা ইবাদত ও বন্দেগি করব। আল্লাহপাক আমাদের জন্য এই পৃথিবীতে যত ধরনের নিয়ামত চালু রেখেছেন অথবা যত ধরনের নিয়ম এদের মাধ্যমে আমরা বেঁচে রয়েছি তাতে করে আল্লাহ পাকের সন্তুষ্ট করার জন্য খুব বেশি কিছু করার প্রয়োজন নেই। যদি আল্লাহ পাকের দেখানো পথে আমরা নিজেদের জীবনকে পরিচালনা করতে পারি এবং সকল ধরনের মানবিকতাকে প্রাধান্য দিতে পারি তাহলে দেখা যাবে যে তিনি আমাদের প্রতি খুশি হয়েছেন এবং আমাদের সোয়াবের খাতা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তাই আল্লাহ পাক আমাদের যে সকল নির্দেশিত পথে চলতে বলেছেন অথবা যে সকল কাজের ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ দিয়ে দিয়েছেন সেগুলো অবশ্যই আমরা মেনে চলবো। আপনারা যখন হজ করার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন তখন ইসলামের অন্যান্য বিষয়গুলো পালন করা হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে। অর্থাৎ হজ করার জন্য যে প্রচুর পরিমাণে টাকা লাগে সেই টাকা অবশ্যই সৎ পথে উপার্জিত হতে হবে এবং সেই টাকা যেন কারো হক মেরে না হয় সে বিষয়টিও আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে। তাই হজ পালন করার সময় আপনারা যদি মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষজন হয়ে থাকেন তাহলে হয়তো এত টাকা খরচ বহন করা অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয় না। তাই আপনারা হয়তো হজ পালন করার ক্ষেত্রে তো কত টাকা খরচ হতে পারে এ বিষয়ে জেনে নিয়ে দিনে দিনে আপনাদের সঞ্চয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি করে একটা সময় হাত পালন করতে পারেন।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা অনুযায়ী ২০২৩ সালের মার্চ মাসের ৭ তারিখ পর্যন্ত হজের নিবন্ধনের কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছিল। অর্থাৎ ২০২৩ সালের হজ কার্যক্রম এখন পর্যন্ত চালু রয়েছে এবং আপনারা যদি হজ করতে চান তাহলে আপনাদেরকে ২০২৪ সালের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। সরকারি উদ্যোগে আপনারা যদি হজ পালনের জন্য যেতে চান তাহলে আপনাদেরকে ৬ লক্ষ ৮৩ হাজার টাকা প্রদান করতে হবে এবং যদি বেসরকারি কোন এজেন্সির মাধ্যমে যেতে চান তাহলে 6 লক্ষ 72 হাজার টাকা আপনাদেরকে হজের জন্য প্রদান করা লাগবে।
তাই বড় হজ করতে কত টাকা খরচ হতে পারে তা আপনারা এখানে জানতে পারলেন এবং সরকারি ও বেসরকারি সহ প্রত্যেকটি মাধ্যমে কত টাকা করে খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে তাও জানিয়ে দেওয়া হলো। তবে আগামী বছর আসতে আসতে এই টাকা কিছুটা বৃদ্ধি পাবে এবং এটা আপনাদেরকে আগে থেকেই বলে দেওয়া হলো। তাই আপনারা যখন হজ পালন করবেন তখন অবশ্যই প্রয়োজনীয় টাকা অফিশিয়াল ভাবে ফিস প্রদান করবেন এবং আপনাদের সেখানে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের খরচ রয়েছে বলে বেশ কিছু টাকা হাতে করে নিয়ে যেতে হবে। অর্থাৎ সেখানে গিয়ে থাকা খাওয়া থেকে শুরু করে যদি মনে করেন অন্যান্য কোন কাজ করবে অথবা পবিত্র কোন জিনিস কিনবেন তাহলে সেটা আপনার একান্তই ব্যক্তিগত খরচ হিসেবে বিবেচিত হবে।
Leave a Reply