আমাদের দেশের অনেক মানুষ রয়েছেন যারা দেশের ভেতরে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারছেন না অথবা বিদেশে গিয়ে অধিক টাকা কামাতে চাইছেন। আমাদের বাংলাদেশে অনেক মানুষ রয়েছেন যারা খুব সহজেই দেশের বাইরে গিয়ে বিভিন্ন কাজের সঙ্গে নিজেকে জড়িত করার মাধ্যমে দেশের ভেতরে প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা পাঠাতে পারছেন।
দেশের বাইরে গিয়ে যদি আপনার টাকা ইনকাম করার ইচ্ছা থাকে অথবা দেশের বাইরে গিয়ে যদি আপনি অল্পতে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে আমরা বিভিন্ন দেশের কথা সাজেস্ট করে থাকি। তবে আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী আপনি যখন বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে যেতে চাইবেন এবং এই ক্ষেত্রে কত টাকা খরচ পড়বে তা যদি জানতে চান তাহলে অবশ্যই সঠিক তথ্য দিয়ে আপনাদেরকে এ বিষয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে।
কিছুদিন আগে একটা সার্ভে রিপোর্ট অনুযায়ী আমরা জানতে পেরেছি যে বাংলাদেশের প্রায় 26 লক্ষ 50 হাজার শিক্ষিত বেকার যুবক রয়েছে। তাই বাংলাদেশের বেকারত্বের হার অনেক বেশি থাকার কারণে অনেকেই এখান থেকে হতাশাগ্রস্ত হচ্ছে এবং প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের খারাপ কাজের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছেন। আবার অনেকেই এই ক্ষেত্রে ধ্বংস হয়ে তাদের পরিবারের জন্য কাল হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
তাই বর্তমান সময়ের সিচুয়েশন অনুযায়ী আমরা যদি অল্পতেই পারিবারিক অবস্থা অনুযায়ী বিদেশে যেতে পারে তাহলে দেখা যাবে যে আমাদের এই বেকারত্ব থাকছে না এবং পড়ালেখা শেষ হতে হতে আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে পারছেন। তাই আপনার যদি কুয়েতে যাওয়ার ইচ্ছা থেকে থাকে তাহলে সেখানে আপনারা নিশ্চিন্তে যেতে পারেন এবং কাজ সম্পর্কে জেনে যদি যেতে পারেন তাহলে সবচাইতে ভালো হবে।
সাধারণত লেখাপড়া করে আপনি যে খুব ভালোভাবে টেবিলে কাজ করবেন বর্তমান সময়ে সেরকম সিচুয়েশনের নেই। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেলস রিপ্রেসেন্টেটিভ হিসেবে কাজ করতে হচ্ছে অথবা এনজিও ক্ষেত্রে আপনাদেরকে কাজের সুযোগ অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রদান করা হচ্ছে। সরকারি চাকরির সার্কুলার অনুযায়ী আপনারা যদি সেটার অপেক্ষায় বসে থাকেন তাহলে দেখা যাবে যে আপনার আগে থেকে অনেকে বসে আছে এবং তাদের প্রিপারেশন অনেক দুর্দান্ত।
আপনার প্রিপারেশন যদিও অনেক ভালো হয়ে থাকে তারপরও এখানে এতটাই পরিমাণ প্রতিযোগিতা যে দিনশেষে আপনাকে হয়তো খুশির সংবাদ নিয়ে ফিরতে হবে অথবা শূন্য হাতে ফিরতে হবে। তবে এ সকল বিষয়ে আপনি মাথায় না নিয়ে যদি দেশের বাইরে যেতে চান এবং কাজ করতে চান তাহলে বলব যে টাকা ইনকামের কোন বিকল্প নেই।
সৎ পথে আপনি যদি কাজ করতে পারেন তাহলে সেটা যে কোন পেশার ক্ষেত্রে সম্মানজনক। যেখানে সে দেশের শিক্ষিত বেকার যুবকেরা চাকরি হন্যে হয়ে খুঁজবে সেখানে আপনি সেই বয়সে এসে অনেক টাকার মালিক হবেন এবং দেশের ভেতরে আপনার অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন করতে পারবেন।
তাই পারিবারিক সম্মতি এবং নিজের ইচ্ছার উপর নির্ভর করে এবং আর্থিক স্থিতিশীলতার উপর নির্ভর করে আপনার যদি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা খরচ করতে পারেন তাহলে অভিজ্ঞ লোক দ্বারা বিদেশে যেতে পারেন। তবে যে কোন কাজে যোগদানের পূর্বেই আপনাকে সেই কাজ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে এবং পরিচিত লোকের মাধ্যমে যদি যান তাহলে আরো ভালো হবে।
আর এক্ষেত্রে আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে যেতে চান তাহলে বর্তমান সময়ের বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে ফি নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। বিভিন্ন এজেন্সি আপনাদের থেকে বিভিন্ন এমাউন্টের টাকা দাবি করবে এবং এক্ষেত্রে আপনারা বিশ্বস্ত এজেন্সি ছাড়া অথবা আপনার এলাকার কোন ব্যক্তি যদি আপনাকে মাধ্যম দিয়ে নিয়ে যেতে চায় তাহলে তাদের পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন।
যদিও কুয়েতের ভিসার মূল্য আনুমানিকভাবে ৫০ হাজার টাকার মতো নির্ধারণ করা হয়ে থাকে তারপরও এক্ষেত্রে বিভিন্ন এজেন্সি তাদের কাজের দ্রুততার উপর নির্ভর করে ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকার মত দাবী করে। আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে যেতে চান তাহলে আপনার সর্বমোট ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকা খরচ হবে।
Leave a Reply