আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম । আজকে আমাদের আর্টিকেলটিতে আলোচনা করা হয়েছে কিভাবে স্কুলের বেতন মওকুফের জন্য দরখাস্ত বা আবেদন পত্র লিখতে হবে এ বিষয়টি সম্পর্কে । আপনি কি এ বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন বা কিভাবে দরখাস্তটি লিখলে দরখাস্তটি বেশি গ্রহণযোগ্য হবে সে সম্পর্কে আপনি ধারণা অর্জন করতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসে পৌঁছেছেন আর এই আর্টিকেলটি মূলত আপনার জন্যই লিখা হয়েছে। তাই আর দেরি না করে আপনি যদি এ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা অর্জন করতে চান , তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি পড়তে পারেন। আশা করি এখান থেকে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যটি পেয়ে যাবেন আর এখান থেকে আপনি উপকৃত হবেন।
বিভিন্ন সময় আমাদের বিভিন্ন প্রয়োজনে দরখাস্ত লিখতে হয়। এ জন্য প্রত্যেকটি মানুষের উচিত দরখাস্ত লিখার সঠিক নিয়ম গুলো জেনে রাখা যেন আমরা প্রয়োজনের সময় দরখাস্ত গুলো সঠিকভাবে লিখতে পারি এবং উপস্থাপন করতে পারি । যে সকল ব্যক্তির দরখাস্ত লিখতে সমস্যা হয় বা দরখাস্ত লিখতে সঠিকভাবে জানে না , মূলত তাদের জন্যই আজকের আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে যেন তারা খুব সহজে এখান থেকে দরখাস্ত লিখা সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণ অর্জন করতে পারে । যে কোন বিষয়ে খুব সহজে দরখাস্ত লিখে উপস্থাপন করতে পারে। আশা করি এই আর্টিকেলটি যদি আপনি পড়েন তাহলে দরখাস্ত লেখার ব্যাপারে আপনার একটি পরিষ্কার ধারণা হয়ে যাবে। আর দরখাস্ত লিখতে আপনার কোন সমস্যা থাকবে না।
স্কুলে পড়াকালীন সময়ে কোন শিক্ষার্থীর যদি আর্থিক কোন সমস্যা হয় বা পরিবারে আর্থিক সমস্যা থেকে থাকে , তাহলে সে শিক্ষার্থীর উচিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের নিকট তার পড়াশোনার বেতন মওকুফের জন্য দরখাস্ত বা আবেদন পত্র জমা দেওয়া । শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান যদি সে দরখাস্তটি পাওয়ার পর মনে করে যে আসলে শিক্ষার্থীটি বিনা বেতনে অধ্যয়নের জন্য বা বেতন মওকুফের জন্য যোগ্য , তাহলে সে শিক্ষার্থীর বেতন মওকুফ করে তাকে পড়াশোনা করার সুযোগ তৈরি করে দিবেন । আর এজন্য অবশ্যই একটি সুন্দর দরখাস্ত শিক্ষকের নিকট লিখে পাঠাতে হবে। যদি সুন্দরভাবে দরখাস্ত বা আবেদন পত্র লিখে পাঠানো না যায় , তাহলে সে দরখাস্তটি শিক্ষক গ্রহণ নাও করতে পারে । আর বেতন মওকুফ নাও করে দিতে পারে। এই বিষয়টি মাথায় রেখে একটি সুন্দর দরখাস্ত লিখে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিকট পাঠানো উচিত।
বেতন মওকুফের জন্য দরখাস্ত লিখতে হলে অবশ্যই কি কারণে বেতন মওকুফ করা প্রয়োজন , সে বিষয়গুলো সুন্দরভাবে সে দরখাস্তের মধ্যে উপস্থাপন করতে হবে । কেননা যদি বেতন মওকুফের মূল কারণটি দরখাস্তের মধ্যে উপস্থাপন করা না হয় , তাহলে শিক্ষক বুঝতে পারবে না যে আসলে সেই শিক্ষার্থীর বেতন করা প্রয়োজন এবং সেই শিক্ষার্থীর জন্য বিনা বেতনে অধ্যায়নের জন্য সুযোগও তৈরি করে দিতে পারবেন না। তাই দরখাস্ত লেখার সময় অবশ্যই ঠান্ডা মাথায় দরখাস্তটি লিখতে হবে আর বিনা বেতনে অধ্যয়নের মূল কারণটি বা বেতন মওকুফের মূল কারণটি এখানে সুস্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করতে হবে ।
তাছাড়া পরিবারের আর্থিক সমস্যা থাকলে সেই কারণটিও উল্লেখ করতে হবে। আর কি ধরনের সমস্যাগুলো হচ্ছে সেই সমস্যাগুলো উল্লেখ করা যেতে পারে। তবে দরখাস্তটি বেশি বড় না করে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো এখানে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করতে হবে । অপ্রয়োজনীয় তথ্যগুলো এখান থেকে বাদ দিতে হবে । কারণ অপ্রয়োজনীয় তথ্যগুলো দিলে দরখাস্তটি অনেক বড় হয়ে যাবে ।আর প্রয়োজনীয় তথ্যটি শিক্ষকের নজরে নাও আসতে পারে এটি মাথায় রাখতে হবে।
তাছাড়া দরখাস্তটির শেষে বা নিচে অবশ্যই নিজের পরিচয় দিতে হবে । অর্থাৎ নিজের নাম, ঠিকানা , শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম , শ্রেণী , রুল নম্বর এ বিষয়গুলো সুন্দরভাবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তাহলে সেই দরখাস্তটা একটি সুন্দর দরখাস্ত হিসেবে পরিগণিত হবে এবং শিক্ষকও দরখাস্তটি গ্রহণ করবেন।
Leave a Reply