আপনারা কি জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করতে চান? ঘরে বসেই আপনারা অনলাইনের মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে পারবেন। এখন অনেকেই হয়তো অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম জানেন না। সেজন্য আমাদের ওয়েবসাইটে অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম নিয়ে বিস্তারিত ভাবে বলা হয়েছে।
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার ক্ষেত্রে যে কোনো ধরনের পরিবর্তন আপনারা করতে পারবেন এবং সেই নিয়ম আমাদের ওয়েবসাইটের নিচের দিকে উল্লেখ করা হয়েছে। যেহেতু এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সেহেতু আমাদের উচিত হবে অবহেলা না করে যত দ্রুত সম্ভব তা সংশোধন করে নেওয়া। অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম নিচে দেখানো হলো।
অনলাইনে NID সংশোধনের নিয়ম
আপনারা গুগল ক্রোমে গিয়ে অথবা যে কোন সার্চ ইঞ্জিনে গিয়ে ইংরেজিতে লিখবেন এনআইডি। প্রথমে যে ওয়েবসাইট প্রদর্শিত হবে সেই ওয়েবসাইটে আপনারা প্রবেশ করবেন। সেখানে আপনাদের সামনে একটি ইন্টারফেস চলে আসবে। সেই ইন্টারফেসে আপনাদের সঠিক তথ্য প্রদান করবেন।
মোবাইল নাম্বার দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার বের করার নিয়ম
ভোটার নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড বের করার নিয়ম
ইন্টারফেস আপনাদের জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর এবং জন্মতারিখ বসাবেন। তবে এক্ষেত্রে আপনাদের যদি আগে থেকে এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে অনলাইন কপি ডাউনলোড করা থাকে তাহলে আপনাদের হয়তো আইডি ডাউনলোড করার জন্য রেজিস্টার করা আছে। আর যদি রেজিস্টার করা না থাকে তাহলে আপনাদের নতুনভাবে একাউন্ট খুলতে হবে। এই একাউন্টে আপনাদের বর্তমান ঠিকানা, এনআইডি কার্ডের নাম্বার, পিন নাম্বার, জন্ম তারিখ এবং অন্যান্য তথ্য দিয়ে রেজিস্টার করতে হবে।
পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড – পুরাতন আইডি কার্ড কিভাবে দেখব
আর রেজিস্ট্রেশন করা থাকলে আপনারা জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার এবং একটি ক্যাপচা পুরন করে দিয়ে পরবর্তী ঘরে যাবেন। সেখানে আপনাদের আইডি কার্ড এর যাবতীয় তথ্য চলে আসবে। সেই তথ্য নিচে আপনারা পরবর্তী নামক একটি অপশন পাবেন এবং সেই অপশনে চলে যাবেন। পরবর্তী ঘরে গেলে আপনারা আপনাদের প্রোফাইল পিকচার সহ অন্যান্য চারটি অপশন পাবেন না। এই চারটি অপশন এর ভেতরে আপনারা প্রোফাইল নামক অপশন থেকে চলে যাবেন। সেখানে গিয়ে আপনারা এনআইডি কার্ড সংশোধনের জন্য অপশন পাবেন।
জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনের অপশনে গিয়ে আপনারা কি কি তথ্য পরিবর্তন করতে চান তা আপনাদের থেকে জানতে চাওয়া হবে। আপনি এখানে তথ্য পরিবর্তনের ক্ষেত্রে তিনটি অপশন পাবেন। এই অপশন গুলো হলো ব্যক্তিগত তথ্য, অন্যান্য তথ্য এবং ঠিকানা। আপনার যেই তথ্য পরিবর্তন করা লাগবে সেই তথ্যর অপশনে ক্লিক করবেন এবং সেখানে গিয়ে সঠিক তথ্য পূরণ করতে পারবেন। সঠিক তথ্য প্রেরণের জন্য আপনারা ধীরে ধীরে সকল ঘরের কাজ সম্পন্ন করবেন।
নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম ২০২১
সঠিকভাবে সকল ঘরের তথ্য যদি আপনার পূরণ হয়ে যায় তাহলে আপনারা পরবর্তী ঘরে যাবেন। সেখানে গিয়ে আপনারা যে তথ্য পরিবর্তন করতে চান সেই পরিবর্তন অনুসারে টাকা পেমেন্ট করতে হবে। টাকা পেমেন্ট এর অপশন টি খুবি সহজ একটি প্রসেস এবং খুব সহজেই আপনি টাকা পেমেন্ট করতে পারবেন। টাকা পেমেন্ট করতে হলে আপনারা বিকাশ এপস এর চলে যাবেন এবং সেখান থেকে পে বিল নামক অপশনে যাবেন। সেখানে গিয়ে আপনারা এনআইডি সার্ভিস নামক অপশনটিতে প্রবেশ করবেন এবং সেখানে এনআইডি কার্ডের নাম্বার দিবেন। আর যে অপশনটি আপনারা পূরণ করতে চান অর্থাৎ পরিবর্তন করতে চান সেই অপশন অর্থাৎ প্রথম ঘরটি সিলেক্ট করবেন।
তারপরে আপ্নারা টাকা পাঠিয়ে দিবেন এবং আবার আগের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবেন। টাকা প্রদানের ফলে আপনারা এখানে দেখবেন যে আপনাদের টাকা প্রদান করা সম্পন্ন হয়েছে। তারপরে আপ্নারা যে তথ্য পূরণ করতে চান সেই তথ্য পূরণের জন্য যথেষ্ট পরিমান প্রমাণ দেখাতে হবে। যদি জন্ম তারিখ পরিবর্তন করতে চান তাহলে জন্ম নিবন্ধন কার্ডের ছবি তুলে আপলোড করতে হবে। মা অথবা বাবার নাম পরিবর্তন করতে চাইলে তাদের এনআইডি কার্ডের ছবি তুলে আপলোড করতে হবে। এভাবে আপনি যা পরিবর্তন করতে চান তার তথ্য আপনাকে ছবি তুলে আপলোড করতে হবে।
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত দিন লাগে
এভাবে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য সংশোধন করতে পারবেন। আশা করছি যে এটা খুবই সহজ একটি প্রসেস এবং আপনারা মোবাইল অথবা কম্পিউটার এর মাধ্যমে পরিবর্তন করতে পারবেন। এ বিষয়ে যদি আপনাদের কোন প্রশ্ন থেকে থাকে অবশ্যই তা আমাদের জানাবেন। আপনার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে গেলে কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। পরবর্তীতে আপনার নিকটস্থ নির্বাচন কমিশন অফিস থেকে আপনাকে এসএমএস এর মাধ্যমে এনআইডি কার্ড সংগ্রহ করার জন্য বলা হবে।
Leave a Reply