
আপনি যদি সুষম খাবারের উপাদান সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পোষ্টের মাধ্যমে এই উপাদান সম্পর্কিত তথ্য গুলো জেনে নিতে পারেন। তাছাড়া খাদ্য পিরামিডের মাধ্যমে কোন উপাদান থেকে কতটুকু খাদ্য গ্রহণ করা উচিত অথবা একজন সুস্থ শরীর মানুষের শরীরে এই খাবার কতটা ভূমিকা পালন করে সে বিষয়েও আপনাদেরকে কিছু ধারণা প্রদান করার চেষ্টা করব। দৈনন্দিন জীবনে আমাদের শারীরিক সুস্থতা অর্জন করার জন্য এবং শারীরিক ঘাটতি পূরণ করার জন্য সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। বিভিন্ন ধরনের সুষম খাদ্য আমরা যদি খাদ্য পিরামিড অনুযায়ী গ্রহণ করতে পারি তাহলে আমাদের শরীরের প্রত্যেকটি ঘাটতি এবং চাহিদা পূরণ হওয়ার পাশাপাশি আমরা কাজের জন্য নতুন উদ্যোগে প্রত্যেকটি কাজ মানসিকভাবে এবং শারীরিকভাবে গ্রহণ করতে পারি এবং তা শেষ করতে পারি।
সাধারণত আমরা যখন প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করে থাকি তখন থেকে আমাদেরকে সুষম খাদ্যের বিষয়ে সঠিক ধারণা প্রদান করা হয়ে থাকে এবং মানবদেহের পুষ্টি চাহিদা সঠিকভাবে পূরণ করার জন্য এই সুষম খাদ্য যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তা কোন ধরনের খাবার ঘাটতি হলেই বোঝা যায়। তাই দৈনন্দিন জীবনে আমাদের সুষম খাদ্য গ্রহণ করার ব্যাপারে সচেতন ভূমিকা পালন করতে হবে এবং যেকোনো ধরনের খাবার গ্রহণ করার ব্যাপারে যেন সেখানে জাঙ্ক ফুড জড়িত না থাকে সে বিষয়টা আমাদেরকে নিশ্চিত করতে হবে। কারণ মুখের সাথে আপনি জাঙ্ক ফুড গ্রহণ করে থাকলেও পরবর্তীতে তা আপনার শরীরের ওজন বৃদ্ধি করার পাশাপাশি রক্তে চর্বির পরিমাণ বৃদ্ধি করবে এবং বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি করবে।
আমরা যদি আমাদের শরীরের শক্তি উৎপাদন থেকে শুরু করে শরীরের ঘাটতি পূরণ করতে চাই অথবা শরীরের বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে চাই অথবা বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে চাই তাহলে বিভিন্ন ধরনের খাদ্য আমাদেরকে সেই ধরনের সুযোগ-সুবিধা পেতে সাহায্য করে থাকে। যেমন শক্তির উৎপন্ন করার জন্য আমরা শর্করা জাতীয় বা অন্য জাতীয় খাবার গ্রহণ করে থাকে তেমনি ভাবে অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের খাদ্য উপাদান রয়েছে যেগুলো শরীরের কোন না কোন কাজে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই আপনারা যারা সুষম খাদ্যের উপাদান সম্পর্কে জানতে এসেছিলেন তাদেরকে এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা এগুলো জানিয়ে দিলে আপনারা সঠিকভাবে জানতে পারবেন এবং বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর প্রদান করার ক্ষেত্রেও সঠিক উত্তর দিতে পারবেন।
এখন আপনাদেরকে সুষম খাদ্যের উপাদান সম্পর্কে অবগত করা হবে এবং আমরা সকলেই জানি যে সুষম খাদ্যের উপাদান হলো ছয়টি। এখন আপনারা যারা এই সুষম খাদ্যের ছয়টি উপাদানের নাম বিস্তারিতভাবে জানতে চাচ্ছেন তাদেরকে বলব যে শর্করা আমিষ এবং স্নেহ জাতীয় খাদ্য রয়েছে। তাছাড়া দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন অথবা খাদ্য প্রাণ আমাদের সুষম খাদ্যের তালিকায় পড়ে। বিভিন্ন ধরনের খনিজ লবণ অথবা পানি আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বলে এগুলো সুষম খাদ্যের আওতাধীন। আশা করছি যে এই পোস্টের মাধ্যমে আপনারা সুষম খাদ্যের তালিকা সম্পর্কে অবগত হতে পেরেছেন।
এছাড়াও আপনারা যদি এখন মেনে চলতে পারেন যে দৈনন্দিন জীবনে সুষম খাদ্যটা গ্রহণ করা জরুরী তাহলে আপনারা উচ্চ কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার বাদ দিয়ে সুষম খাদ্য গ্রহণ করার ব্যাপারে সচেতন ভূমিকা পালন করতে পারবেন। সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে পারলে সেটা আপনার জন্য অনেক ভালো হবে এবং সুষম খাদ্যের মাধ্যমে আপনি শারীরিক সুস্থতা অর্জন করার পাশাপাশি শরীরের শক্তি উৎপাদন যেমন করতে পারবেন তেমনিভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারবেন। যেহেতু প্রত্যেকেই শারীরিক সুস্থতা চাই সেহেতু সকলের যদি সুস্থতার জন্য সুষমা খাদ্য গ্রহণ করতে চাই তাহলে অবশ্যই নির্দিষ্ট খাদ্য পিরামিড অথবা খাদ্য দল থেকে খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। তাহলে একজন মানুষ শারীরিক অনুশীলন এবং সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে পারলে সুন্দরভাবে জীবন যাপন করতে পারবে।

Leave a Reply