জুমার দিনের বিশেষ 6 টি আমল

জুমার দিনের বিশেষ 6 টি আমল

প্রত্যেকটি মুসলমানের দিন শুক্রবার অর্থাৎ জুমার দিন একটি বিশেষ দিন। বাংলাদেশ একটি মুসলিম প্রধান দেশ হওয়ার কারণে এখানে প্রতি শুক্রবার ছুটি রাখা হয় এবং সরকারি এই ছুটির দিনে প্রত্যেকটি কর্মজীবী মানুষ জুমার নামাজে একত্রিত হওয়ার সুযোগ পেয়ে থাকে। যেহেতু মানসিক বিশ্রাম এবং অন্যান্য দিক থেকে এই দিনটিকে নির্ধারণ করা হয়েছে সেহেতু আমরা পরিবারের সঙ্গে এই বিশেষ দিনটি কাটানোর পাশাপাশি জুমার নামাজ একসঙ্গে আদায় করার জন্য যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করব।

তবে আপনি যখন জুমার নামাজ পড়ার জন্য মনের দিক থেকে স্থির হবেন তখন অবশ্যই আপনাকে এই জুমার দিনের বিশেষ কিছু আমল করতে হবে। তাই আপনাদের সুবিধার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটের এই পোষ্টের মাধ্যমে সালাতুল জুমা অথবা জুমার নামাজের জন্য কোন কোন ধরনের আমল রয়েছে সেগুলো জানিয়ে দেওয়া হবে।

আমাদের মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে জুমার দিন একটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ দিন এবং এই তাৎপর্য দিন অবশ্যই আমাদেরকে পালন করার জন্য যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করে নির্দিষ্ট সময়ে জামাতে নামাজ আদায় করতে হবে। ইহুদি এবং নাসারারা বিভিন্ন সময়ে তাদের বিশেষ দিনগুলো পালন করত এবং এই ক্ষেত্রে আমরা নির্ধারণ করে থাকি যে শুক্রবার হবে আমাদের জন্য বিশেষ দিন এবং এই দিনটিকে জুমার দিন হিসেবে পরিগণিত করা হবে। তাই আপনি যখন জুমার নামাজের জন্য ছয়টি আমল সম্পর্কে জানতে চাইবেন তখন আপনাদেরকে এই আমল গুলো জানানোর পাশাপাশি যে সকল আমল করলে আমাদের অনেক সওয়াব হবে অথবা প্রত্যেকটি কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন করা হবে সেগুলো জানিয়ে দেয়ার চেষ্টা করব।

আপনি যখন জুমার নামাজের জন্য যে সকল আমলগুলো রয়েছে সেগুলো পালন করতে চাইবেন তখন বলব যে আপনাকে সেই দিন অবশ্যই ঘুম থেকে আগে আগে উঠতে হবে এবং ফজরের নামাজ আদায় করতে হবে। যেহেতু দরুদে ইব্রাহিম আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ সেহেতু আপনারা যদি এটা বারবার পাঠ করেন অথবা অন্য কোন দরুদ শরীফ পাঠ করে তাহলে করতে পারেন এবং এক্ষেত্রে কাজের ফাঁকে অথবা বিভিন্ন ইবাদতের শেষে এটা পাঠ করলে সবচেয়ে ভালো হয়। অনেকে দেখা যায় যে জুমার নামাজের শেষের দিকে মসজিদে থেকে উপস্থিত হতে এবং এক্ষেত্রে আপনারা অবশ্যই জুমার নামাজের জন্য আগে আগে মসজিদে গিয়ে উপস্থিত হবেন এবং নামাজ শেষ হওয়ার পরে সবার শেষে বের হবেন।

যেহেতু জুমার নামাজের দিন হল দোয়া কবুলের দিন এবং এই দিন আল্লাহ পাক আমাদের দোয়া গুলো কবুল করে থাকেন সেহেতু আপনারা অবশ্যই বেশি বেশি করে দোয়া করবেন যাতে করে আপনাদের মনের আশা গুলো পূরণ হয়ে যায়। জুমার নামাজ আদায় করতে গিয়ে আপনারা অধিক পরিমাণে তাড়াহুড়া না করে কাতার ভেঙে সামনে যাবেন না এবং এক্ষেত্রে সকলেই কাতারবদ্ধ হয়ে এবং শৃঙ্খলার সাথে প্রত্যেকটি কাজ মসজিদে উপস্থিত হয়ে সম্পন্ন করবেন।

তবে না আমাদের পূর্বে অবশ্যই আপনাদের গোসল করতে হবে এবং গোসল করার পরে সুগন্ধি ব্যবহার করে পরিষ্কার জামা কাপড় পরে মসজিদে উপস্থিত হতে হবে। আপনাদের ভেতরে কেউ যদি চান তাহলে সূরা কাহাফ তেলাওয়াত করতে পারেন এবং এটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি সূরা হওয়ার কারণে এই বিশেষ দিনে আপনারা এটার আমল হিসেবে করতে পারেন।

আপনারা যখন মসজিদে যাবেন তখন অবশ্যই পায়ে হেটে যাবেন এবং পায়ে হেটে গেলে আপনাদের সব বৃদ্ধি পেয়ে যাবে। যখন ইমাম সাহেব আমাদের সামনে খুতবা প্রদান করবেন তখন স্থির মনে এবং চুপচাপ থেকে সেই খুতবা অবশ্যই মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে। তাছাড়া জুমার দিন উপলক্ষে অবশ্যই তাহিয়্যাতুল মসজিদের নামাজ আদায় করতে হবে এবং এই সকল নিয়ম যদি আমরা মেনে চলতে পারি তাহলেই জুমার নামাজের যে বিশেষ আমলগুলো রয়েছে সেগুলো সম্পূর্ণভাবে আমাদের দ্বারা সম্পন্ন করা হবে। তাছাড়া এই বিশেষ দিনটির মাধ্যমে আমরা প্রত্যেকের সঙ্গে প্রত্যেকের দেখাশোনা করার সুযোগ পেয়ে বলে সকলেই সকলের মাঝে ভাব বিনিময়ে এবং কুশলাদি বিনিময় করতে পারি।

About শাহরিয়ার হোসেন 4780 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*