সকল কিশোর কিশোরীদের দুশ্চিন্তার প্রধান কারণ হচ্ছে মুখের উপরে ব্রণ উঠা। ব্রণ এমন একটি বিরক্তিকর অভিজ্ঞতা যেটা হয়তো প্রত্যেকটি ছেলে মেয়ে তার বয়সন্ধিকালে অনুভব করেছেন। তবে সত্যি কথা হল এই ব্রণ বয়ঃসন্ধিকালের একটি ভালো লক্ষণ। অতিরিক্ত ব্রণের কারণে চেহারাতে দাগ পড়তে পারে যে দাগের কারণে অনেক সুন্দর মানুষকেও দেখতে অসুন্দর লাগে।
তাই কিশোর কিশোরীরা দুশ্চিন্তায় থাকে কিভাবে এই ব্রণকে কমানো যায় এবং এই ব্রণ কমাতে কোন কোন খাবার খাওয়া যায়। আজকে আমরা সেই বিষয়ে কথা বলব এবং জানানোর চেষ্টা করব কোন কোন খাবার খেলে আপনি এই ধরনের রোগ থেকে দূরে থাকতে পারবেন। বাজারে বহু ক্রিম এবং বহু ফেসওয়াশ বের হয়েছে যার মাধ্যমে আপনি এই রোগ গুলো কমাতে পারেন তবে সবার প্রথমে চেষ্টা করতে হবে যে আজেবাজে জিনিস ব্যবহার না করে বয়ঃসন্ধিকালে পুষ্টিকর খাবার খেয়ে এগুলোকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে।
মেয়েদের ব্রণ দূর করার ঔষধের নাম
মেয়েদের ব্রণ দূর করার ক্ষেত্রে ঔষধের নাম বলতে গেলে এটা একটু বেশি বেশি হয়ে যাবে, তার কারণ হলো কার ব্রণ কেন হচ্ছে সেটা এখান থেকে বলা যায় না। তবে আমি যতটুকু জানি আমার আশেপাশে থাকে এমন অনেক মেয়ে সরাসরি একজন স্কিন স্পেশালিস্ট ডাক্তারের কাছে গিয়ে তিন মাস চিকিৎসার মাধ্যমে নিজের গালে থাকা ব্রণ এবং ব্রণের দাগ সম্পন্ন দূর করতে পেরেছে। তাই আপনি চাইলে এই পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন।
ছেলেদের ব্রণ দূর করার ঔষধের নাম
সাধারণত মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের মুখে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা বেশি তার কারণ হলো ছেলেদের ত্বকের তৈলাক্ত ভাব বেশি থাকে। এছাড়াও ছেলেরা সবসময় বাইরে ঘোরাফেরা করে তার কারণে ত্বকের ওপর অতিরিক্ত ময়লা পরে। বাইরের ধুলাবালি রোদের তাপ এছাড়াও বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেদের মুখে যে দাড়ি গজাতে শুরু করে তার কটনের ব্রণের প্রবণতা বৃদ্ধি পায়।
এই জিনিসগুলো থেকে বাঁচতে হলে অবশ্যই আপনাকে সহজ পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে এবং আজেবাজে ক্রিম ব্যবহার করা যাবে না। নিকটস্থ হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে এখানে থাকায স্কিন স্পেশালিস্ট ডাক্তারকে দিয়ে দেখান অবশ্যই আপনি ভালো একটি সুফল পাবেন।
ব্রণ কমাতে কিশোরীদের খাবার
সাধারণত আমরা শরীরে ক্ষুধা নিবারণের জন্য খাবার খায়। কিন্তু সেই খাবারে থাকা পুষ্টি উপাদান গুলো আমাদের প্রত্যেকটি কাজে অবদান রাখে। কিশোরীদের ব্রণের সমস্যা কমাতে অথবা কিশোরদের ব্রণের সমস্যা কমাতে অবশ্যই কিছু খাদ্য উপাদান আছে যেগুলো নিয়মিত খেলে বয়সন্ধিকালে সে ব্রণগুলো কমাতে পারবে। চলুন সে সম্পর্কে জানি।
আমরা হয়তো ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি ভিটামিন সি আমাদের ত্বকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ভিটামিন। তাই যে ভিটামিন খেলে আমাদের ত্বকে ভালো কিছু হবে সে ভিটামিন কে আমরা কোনভাবে দূরে রাখতে পারি না। সকল কিশোর কিশোরীদের বলব বয়ঃসন্ধিকালে যত বেশি সম্ভব ভিটামিন সি খাওয়ার চেষ্টা কর।
আঁশযুক্ত খাবার সকল বয়সের মানুষদের জন্য আদর্শ খাবার। আঁশযুক্ত খাবারে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যে উপাদান গুলোর মাধ্যমে কমাতে সাহায্য করে। খাবার গুলোর মধ্যে হচ্ছে ওটমিল, গাজর, আপেল, বিন্স ইত্যাদি খাবার ব্যবহৃত হয়। ফ্যাটি অ্যাসিড আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। এই উপাদানের উৎস যদি আমরা খুঁজতে চাই তাহলে সামুদ্রিক মাছ আমাদের কাছে সবথেকে বড় উৎস। সামুদ্রিক মাছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা 3 এবং ফ্যাটি এসিড আছে যেটা কিশোর কিশোরীদের ব্রণের প্রবণতা কমাতে অনেক বেশি ভূমিকা পালন করে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যুক্ত খাবার গুলো আমাদের ত্বকে থাকা বিভিন্ন জীবাণু ধ্বংস করতে সাহায্য করে তাই যতটা সম্ভব আন্টি অক্সিডেন্ট যুক্ত খাবার বেশি বেশি খাবার চেষ্টা করতে হবে কিশোর কিশোরীদের। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যুক্ত খাবার নিয়ে আমাদের এই ওয়েবসাইটে অনেক বেশি পোস্ট দেওয়া আছে তোমরা চাইলে সেগুলো দেখে আসতে পারো। বেশি বেশি জিংক যুক্ত খাবার খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। তার মধ্যে অন্যতম এবং সহজলভ্য খাবার হচ্ছে টক দই। তাই কিশোর কিশোরীদের বলব তোমরা চাইলে নিয়মিত টক দই খেতে পারো ব্রণের প্রবণতা কমানোর জন্য।
Leave a Reply