
আপনি কি কোড মেরেজ এর খরচ সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আজকে এই পোষ্টের মাধ্যমে কোর্ট ম্যারেজের খরচ কত টাকা হবে সে সম্পর্কে জানতে পারবেন। আপনারা যারা করতে গিয়ে বিবাহ সম্পন্ন করতে চান তাদের জন্য আজকের এই পোস্ট করা হয়েছে। তবে কোট মেরেজ করতে গেলে যে আপনাকে কটি উপস্থিত থেকে বিয়ে করতে হবে বিষয়টা এরকম নয়। প্রকৃতপক্ষে কোট মেরেজ তখনই হয় যখন আপনাদের পরিবার মেনে নেয় না এবং আপনার পছন্দের মানুষকে হারাতে চান না। এই ক্ষেত্রে কোর্ট ম্যারেজ করার প্রধান উদ্দেশ্য হলো পরে কোন ধরনের আইনি ঝামেলা হলে তা থেকে মুক্তি পাওয়া।
তাই আপনি যখন আপনার পছন্দের মানুষকে বিয়ে করবেন তখন অবশ্যই কোর্ট ম্যারেজের যে সকল বিষয় রয়েছে সেগুলো আপনারা সমাধান করে নিবেন। কোর্ট মেরেজ করতে গেলে আপনারা হয়তো ভাবছেন যে কোর্টে উপস্থিত থেকে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে বিবাহ সম্পন্ন হয়। কিন্তু কোট মেরেজ বলতে গেলে আপনাদেরকে এখানে একজন আইনজীবীর কাছে উপস্থিত থেকে বরের এবং কনের সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে এটি প্রমাণ করতে হবে যে আপনারা আসলে স্বইচ্ছায় এবং সজ্ঞানে এই বিবাহে আগ্রহী।
অর্থাৎ আপনারা যখন দুশো টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর প্রদান করা সহ একজন আইনজীবির থেকে একটি দলিল তৈরি করে নিবেন এবং এর মাধ্যমে কোর্ট ম্যারেজ এর জন্য একটি হলফনামা তৈরি করে নেবেন তখন দেখা যাবে যে বিয়ের পরে সাধারণত মেয়ের বাপ থেকে যে ধরনের মামলা করা হয়েছে ধরনের মামলা করলেও আপনি এই কোর্ট ম্যারেজ করার কারণে সুযোগ গ্রহণ করতে পারবেন। কারণ সেখানে কন্যার স্বাক্ষর থাকবে এবং তিনি জানিয়ে থাকবেন যে আপনি আসলে এই বিয়েতে মত দিয়েছেন এবং এই মন দেওয়ার ফলে বিবাহের মত যাবতীয় কাজকর্ম সমাধান হয়েছে।
তাই কোট মেরেজ বলতে গেলে যে একেবারে একজন উকিলের সামনে অথবা ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে উপস্থিত থেকে আপনাদের বিবাহ সম্পন্ন হবে বিষয়টি এরকম নয়। কোট মেরেজ এর মাধ্যমে আপনারা শুধু একটি নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে একে অপরের সাক্ষ্য এবং প্রমাণের ভিত্তিতে এটাই প্রমান করবেন যে আপনারা বিবাহে আগ্রহী এবং প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার জন্য আপনারা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন। তারপরে বিবাহ করার জন্য আপনাদেরকে একজন কাজী অথবা বিয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে উপস্থিত হতে হবে।
সেখানে নিয়ম অনুসরণ করে আপনার আসলে বিয়ের জন্য কত টাকা মোহরানা নির্ধারণ করতে চান এ বিষয়গুলো আলোচনা করে মোহনার উপরে নির্ধারণ করে আপনাদেরকে বিবাহের ফি প্রদান করতে হবে। তাছাড়া সেখানে কাজীর খরচ এবং মৌলানার খরচসহ টুকিটাকি বিবাহ সংক্রান্ত যে খরচ রয়েছে সেগুলো করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনাদেরকে আগে থেকে কথা বলে নিতে হবে এবং এই ক্ষেত্রে আপনারা যারা মোহরানার পরিমান কম করতে পারবেন তাদের বিবাহ রেজিস্ট্রেশন ফি কম হবে।
আর যদি মোহরানার পরিমান বৃদ্ধি করেন তাহলে আপনাদেরকে বিবাহের রেজিস্ট্রেশন ফি বেশি পরিমাণে প্রদান করতে হবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন কোট মেরেজ করতে গেলে কত টাকা খরচ হবে। কোর্ট ম্যারেজ এবং পালিয়ে বিয়ে সংক্রান্ত কোন প্রশ্ন থেকে থাকলে আমাদের ওয়েবসাইটের মন্তব্য করার প্রশ্ন করতে পারেন।
Leave a Reply