রমজান মাস একটি বরকতময় মাস। এই মাসে মুসলমানগন সিয়াম সাধনার মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের চেষ্টা করে। সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় মুসলমানগণ সকল প্রকার পানাহার ও নিদ্রা থেকে বিরত থাকে এবং আল্লাহর ইবাদতে মশগুল থাকে। রমজান মাসকে সিয়াম সাধনার মাস বলা হয়।
বে সিয়াম সাধনা করার জন্য বা রোজা রাখার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে যে ইফতার ও সেহরীর সময় গুলো সম্পর্কে সচেতন থাকা। কখন সেহরি ও ইফতারের সময় শুরু হয়, কখন ইফতারের সময় শেষ হয় এ বিষয়গুলো আমাদের জানতে হবে। আবার কখন সেহেরী সময় শুরু হয়, কখন সেহরির সময় শেষ হয় এ বিষয়গুলো সম্পর্কে আমাদের সচেতন হওয়া উচিত। কারণ সঠিক সময়ে যদি ইফতার করা না যায় তাহলে সেই সিয়াম সাধনার রোজা পরিপূর্ণ হয় না।
কেননা সঠিক সময় যদি সেহরি ও ইফতার করা না হয় তাহলে সঠিকভাবে রোজা হয় না এবং আল্লাহ এর মাধ্যমে রহমত বর্ষণ নাও করতে পারে। তাই প্রত্যেকটা মুসলমান ব্যক্তির উচিত রমজান মাসের সেহেরী ও ইফতারের সময়সূচি গুলো সংগ্রহ করে রাখা। যেন এই সময়গুলোতে ভুল না হয় এবং সঠিক সময়ে সেহরি খেয়ে ইফতার করে রোজা রাখতে পারে। এজন্য দেখা যায় যে অনেক মুসলমান ব্যাক্তিকে এই রমজান মাসে ইফতার ও সেহরির সময়, ইফতার ও সেহরির শেষ সময় কখন এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে চান, এই বিষয়গুলো সার্চ করতে থাকে। তাই এদের কথা মাথায় রেখে আমরা আজকের আর্টিকেলটিতে মূলত মালয়েশিয়ার সেহরির শেষ সময় নিয়ে আলোচনা করেছি। আপনি এখান থেকে খুব সহজে মালয়েশিয়ার সেহরির শেষ সময় কখন এ বিষয়গুলো জানতে পারবেন ।
রমজান মাসে রোজা রাখা দরকার। প্রত্যেকটা ব্যক্তি আল্লাহর ইবাদতের জন্য রোজা রাখে। প্রত্যেকটা পরিবারে দেখা যায় যে ছোট-বড় সকলেই রমজান মাসে রোজা রাখে। তাছাড়া রমজান মাসের ইবাদতের অন্যান্য মাসের তুলনায় বেড়ে যায়। মানুষের দান এর পরিমাণও রমজান মাসে বেড়ে যায়। মানুষ ভালো ভালো কাজ করতে থাকে। শুধুমাত্র আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি লাভের আশায়। তাছাড়া রমজান মাসে আল্লাহর কাছে যদি মন থেকে ক্ষমা চাওয়া যায় তাহলে আল্লাহ অন্যান্য ভুলগুলো ক্ষমা করে দিতে পারেন। কারণ আল্লাহ অনেক ক্ষমাশীল।
আল্লাহর ক্ষমার কোনো সীমা হয় না। তাই আল্লাহর কাছে যদি পবিত্র মনে রমজান মাসে পূর্ববর্তী ভুলের জন্য ক্ষমা চাওয়া যায় তাহলে আল্লাহ ক্ষমা করে দিবেন নিশ্চয়। আমাদের রমজান মাসে মন থেকে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে আল্লাহর রাস্তায় ফিরে আসা উচিত এবং আল্লাহর ইবাদতের মাধ্যমে সময় গুলো কাটানো উচিত। তাহলে আমাদের উপর আল্লাহ তায়ালার রহমত বর্ষিত হবে এবং আল্লাহ তায়ালা অনেক বেশি খুশি হবেন।
তবে রোজা রাখার ক্ষেত্রে অবশ্যই সেহেরির সময় গুলোর দিকে সচেতন হতে হবে। আর সেহরির শেষ সময়ের দিকে নজর রাখতে হবে। কারণ সেহরির সময় যদি শেষ হয়ে যায় এবং তারপরও যদি কোন ব্যক্তি সেহরি করে তাহলে তা রোজা রাখা হয় না বা সেই রোজাটি দুর্বল হতে পারে। এজন্য সেহরির শেষ সময়ের আগে আমাদের খাওয়া-দাওয়া শেষ করতে হবে। আর রমজানে রোজা রাখার জন্য নিয়ত করে ফেলতে হবে। তবে কোন ব্যক্তি যদি সেহরির আগে ঘুম থেকে জাগ্রত হতে না পারে তাহলে সেহরির সময় শেষ হওয়ার পরেও আল্লাহর নিয়তে রমজান মাসে রোজা রাখতে পারে।
কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবে কোন ব্যক্তি যদি সময় শেষ হওয়ার পরেও কোন খাবার গ্রহণ করে তাহলে তার রোজাটা রাখা হয় না। বরং সেই রোজার কারণে রোজা না হয়ে বরং সারাদিন শুধুমাত্র না খেয়ে থাকাই হবে। তাই এই বিষয়ে অবশ্যই আমাদের যত্নশীল হতে হবে এবং সেহরির সময় কখন শেষ হচ্ছে এই দিকটি মাথায় রেখে সময় শেষ হওয়ার আগে আমাদের সেহেরী করে ফেলতে হবে এবং আল্লাহর জন্য সঠিক নিয়তে রমজান মাসে রোজা রাখতে হবে।
Leave a Reply