আজকে আমরা জানার চেষ্টা করব মানব দেহে কোন কোন ভিটামিন উৎপন্ন হয় সেই সম্পর্কে। সাধারণত ভিটামিন গুলো আমাদের শক্তির উৎস তবে এই ভিটামিন গুলো সরাসরি আমাদের শরীরে উৎপন্ন হয় না সেগুলো আমাদের পরিবেশে সুপ্ত অবস্থায় থাকে। কিছু ভিটামিন আমাদের সরাসরি সেবন করতে হয় কিছু ভিটামিন খাবারের মাধ্যমে আমাদের শরীরে প্রবেশ করে।
কিছু ভিটামিন আছে সূর্যালোক থেকে আমরা পেয়ে থাকি এইভাবে সকল ভিত্তামিন আমাদের সেবায় সবসময় কাজ করছে। তবে মানব শরীরে সরাসরি ভাবে যেই দুইটি ভিটামিন উৎপাদন হয় সে সম্পর্কে আমরা আজকে আপনাদের সঙ্গে কথা বলব এবং এই ভিটামিন গুলো কি কি এবং কোন উপাদানে এই ভিটামিন গুলো আছে সে সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব। মানবদেহে যে দুইটি উপায়ে ভিটামিন তৈরি হয় সেগুলো জানতে অবশ্যই আমাদের আর্টিকেল পড়ুন।
মানব দেহে ভিটামিন তৈরির পদ্ধতি
সাধারণত মানবদেহে ভিটামিন যেভাবে তৈরি হয় তাকে দুইটি ভাগে ভাগ করা হয় এবং এই ভিটামিন গুলো কিভাবে তৈরি হয় সে সম্পর্কে আমরা জানার চেষ্টা করব। ভিটামিন বা খাদ্য প্রাণ হলো জৈব খাদ্য উপাদান বা সাধারণ খাদ্যে অতি অল্প পরিমাণে থেকে দেহের স্বাভাবিক পুষ্টি ও বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং রোগ প্রতিরোধে শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এই ভিটামিন।
এই ভিটামিন গুলোর অভাবে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে এই ভিটামিন গুলোই আমাদের সাহায্য করবে। সাধারণত দুইটি ভিন্ন উপায় মানবদেহে ভিটামিন তৈরি হয় এবং এ ভিটামিন গুলো আমাদের কাজে আসে। তাদের মধ্যে একটি হল ক্যারোটিন থেকে উৎপাদন। গাজর ফুলকপি লাউ পালং শাক ইত্যাদি অথবা মিষ্টি আলু থেকে প্রচুর পরিমাণে ক্যারোটিন আমাদের শরীরে প্রবেশ করে এবং সেই ক্যারোটিন থেকে ভিটামিন এ উৎপাদন হয়। এছাড়াও আরো বেশ কয়েকটি পদ্ধতি মেনে ভিটামিন এ মানব শরীরে উৎপাদন হয়।
কোন ভিটামিনটি মানব দেহে তৈরি হয়
সাধারণত এখন যে ভিটামিনের আমরা কথা বলব সে ভিটামিনটি সরাসরি আমাদের শরীরে প্রবেশ করে না সেটা মানুষ শরীরে উৎপাদন করা হয়। এই ভিটামিনটি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রচুর পরিমাণে সহায়ক একটি ভিটামিন এবং বলতে গেলে যদি ভিটামিন শরীলে পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে তাহলে আমরা সবসময় সুস্থ থাকব।
এখন যে ভিটামিনের কথা আমরা আপনাদের বলতে চাচ্ছি সেই ভিটামিনের অভাবে আমাদের শরীরে যেকোনো ধরনের অসুখ-বিসুখ বাসা বাঁধতে পারে এর পাশাপাশি এই ভিটামিনের অভাব হলে আমাদের শরীরের হারগুলো দুর্বল হয়ে যাবে। এছাড়া মাতৃগর্ভে থাকাকালীন মায়েদের যদি এই ভিটামিন এর অভাব থাকে তাহলে সেই ছেলের সেই সন্তানের হাড়ের বৃদ্ধি ভালোভাবে হবে না এবং যেকোনো সময় সে অপুষ্টিতে ভুগতে পারে।
আপনারা হয়তো বুঝতে পেরেছেন আমরা কোন ভিটামিনের কথা বলছি হ্যাঁ অবশ্যই ভিটামিন ডি মানবদেহে তৈরি হয়। যে ভিটামিন গুলো মানব দেহে তৈরি হয় তার মধ্যে একটি হল ভিটামিন ডি যেটা অন্যান্য ভাবে আমাদের শরীরে প্রবেশ করার পরে শরীরে উৎপাদন হয়। আমরা যদি সূর্যালোক থেকে এই ভিটামিন ডি সংগ্রহ করতে চায় তাহলে অবশ্যই আমাদের সূর্যের তাপ গ্রহণ করতে হবে এবং সূর্যের তাপ থেকে কিছু উপাদান আমাদের শরীরের কোষে প্রবেশ করে এবং সেখান থেকে আস্তে আস্তে এটা ভিটামিন ডি তে রূপান্তর হয় বা ভিটামিন ডি উৎপাদন করে।
আশা করছি যাদের এই তথ্যটি জানা ছিল না তারা আজকে আমাদের এই আর্টিকেল থেকে খুব সুন্দর ভাবে বুঝতে পারলেন মানবদের জন্য অতি প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি ভিটামিন মানবদেহেই উৎপাদন হয়। তাই অবশ্যই নিয়মিতভাবে ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার খাবার চেষ্টা করুন এবং সময় মত নিয়ম মেনে সূর্যের তাপের নিচে ১৫ থেকে ৩০ মিনিট থাকুন তাহলেই অবশ্যই উপযুক্ত ভিটামিন আপনার শরীরে থাকবে।
Leave a Reply