মেয়েদের লম্বা হওয়ার উপায়

মেয়েদের লম্বা হওয়ার উপায়

মেয়েদের ক্ষেত্রে লম্বা হওয়ার সময়টা জন্মের শুরু থেকেই শুরু হয় এবং সেটা ১৮ বছর পর্যন্ত চলে। তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যদি সত্যি কথা বলতে হয় তাহলে বাংলাদেশের মেয়েরা সঠিক লম্বা হওয়ার উপযুক্ত সময় পায় না যার কারণে সে তার শরীরে সঠিক উচ্চতা অর্জন করতে পারে না। একটি পরিসংখ্যান থেকে দেখা গেছে প্রতি তিনটি মেয়ে সন্তানের মধ্যে দুইটি মেয়ে সন্তানি অপুষ্টিতে ভোগে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে।

শরীরে যদি সঠিক পুষ্টি না পায় তাহলে সেই শরীর কিভাবে বৃদ্ধি পাবে এর পাশাপাশি আরো অন্যান্য জটিল সমস্যা আছে যেটা কেবলমাত্র বাংলাদেশের পরিবেশের উপর নির্ভর করে এবং এ বাংলাদেশে এগুলো হয়ে থাকে। চলুন মেয়েদের স্বাভাবিক শরীর বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কোন কোন কাজগুলো একটি মেয়ে করতে পারে বা তার অভিভাবক করতে পারে সে সম্পর্কে জানিয়ে এবং জানার চেষ্টা করি কোন কাজগুলো বর্জন করলে মেয়ে সঠিক উচ্চতা অর্জন করতে পারবে।

মেয়েদের লম্বা হওয়ার প্রাকৃতিক উপায়

মেয়েদের লম্বা হওয়ার প্রাকৃতিক উপায় মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো তার অভিভাবক এর সমর্থন। সাধারণত আমরা জানি যে মেয়েদের ঋতু চক্র শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা একটু অন্যমনস্ক হয়ে যায় এবং তাদের শরীর অতিরিক্ত দুর্বল হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে অভিভাবকদের সবথেকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানোর দিকে এবং তার মেয়ে যাতে সব সময় সুষমা খাদ্য খেতে পারে এবং সব খাবার উপাদান যেন তার খাদ্যে থাকে সেই বিষয় নিশ্চিত করা।

একজন অভিভাবক এই বিষয়গুলো যত বেশি নিশ্চিত করতে পারবে তার সন্তান বা তার মেয়ের গ্রোথ ততটাই সঠিক হবে। আমাদের দেশ কয়েক বছর আগেও গরিব একটি দেশ ছিল এবং অনুন্নত দেশ ছিল কিন্তু সে অবস্থাতে প্রত্যেকটি পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা ছিল অনেক খারাপ। সেই প্রেক্ষাপট থেকে মেয়েরা এমনিতেই সমাজে অবহেলিত তাই বাবা মায়েরা ছেলে সন্তানের উপর যতটুকু নজর দিত মেয়ে সন্তানের উপর ততটুকু দিতো না তার ফলে পুষ্টির অভাবে মেয়েরা সঠিক উচ্চতা অর্জন করতে পারত না এবং শারীরিকভাবে সারা জীবনের দুর্বল থাকতো।

আপনাদের একটি বিষয় পরিষ্কারভাবে বুঝিয়ে দেই আপনার মেয়েকে যদি আপনি সারা জীবন সুস্থ শরীরের অধিকারী হতে দেখতে চান তাহলে অবশ্যই ১৮ বছরের মধ্যে মেয়েকে সঠিক পুষ্টি উপাদান দিয়ে সুস্থ রাখার চেষ্টা করুন তার কারণ হলো তার সারা জীবনের শরীরের মূল বৃদ্ধি এই আঠারো বছরেই হয়ে যাবে। ছোটবেলায় হয়তো অনেকেই মিনার কাটুন দেখেছেন সেই মিনার কারণে খুব সুন্দর ভাবে আমাদের একই শিক্ষা দেওয়া হয়েছে সেখানে ছেলে হোক বা মেয়ে হোক উভয়কে সুষম খাদ্য এবং পুষ্টি কর খাদ্য সমানভাবে দেওয়া উচিত এবং বাবা-মা হিসেবে সকলে এটা দায়িত্ব ও কর্তব্য।

বাল্যবিবাহ থেকে সন্তানকে দূরে রাখা

আমরা সকলে অবগত আছি যে একটি মানুষের শরীরের গঠন ১৮ বছর পর্যন্ত হয় এবং সেই আঠার বছর পর্যন্ত যদি তাকে শুধুমাত্র পুষ্টিকর খাবার এবং শরীরচর্চার মধ্যে রাখা হয় এবং নিয়মিত তাকে রেস্ট প্রদান করা হয় তাহলে অবশ্যই সে সঠিক উচ্চতা অর্জন করবে।

কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বাল্যবিবাহ অত্যন্ত খারাপ একটি জিনিস যেখানে একটি মেয়ের বয়স ১৪ থেকে ১৮ বছরের মধ্যেই তাকে বিয়ে দেওয়া হয়। এখন আপনি বলুন তো একটি মেয়ের যখন শরীরের গ্রোথ হবে ঠিক সেই সময় তাকে যদি বিয়ে দেওয়া হয় তাহলে সে গ্রোথ কি ঠিক ঠাক ভাবে হবে?

অবশ্যই সে বিয়ের পরে পুষ্টিকর খাবার ঠিকঠাক ভাবে পাবে না এর পাশাপাশি তার সাংসারিক চাপ তো আছেই। এছাড়াও বিয়ের পরবর্তী সময়ে মানসিক পরিবর্তন হবে যার ফলে তার শরীরের বৃদ্ধি লোভ পাবে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে বাল্যবিবাহের ফলে খুব তাড়াতাড়ি গর্ভবতী হওয়ার কারণে সে মেয়েরা একেবারে ছোটই থেকে যায় এবং সারা জীবন সেই দুর্বল শরীর বয়ে নিয়ে বেড়ায়।

About শাহরিয়ার হোসেন 4780 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*