আমাদের দেশে অনেক হিন্দু ধর্মাবলম্বী ব্যক্তি রয়েছেন। নিজেদের ধর্ম অনুসারে তারা বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান করে থাকেন এবং বিভিন্ন ধরনের ধর্মীয় অনুষ্ঠান মন্দিরে সম্পন্ন হয়ে থাকে। প্রত্যেকটা ধর্মের নিজস্ব ধর্মীয় স্থান রয়েছে এবং হিন্দুদের একটি ধর্মীয় নিজস্ব স্থান হলো মন্দির। এটি তাদের কাছে অনেক পবিত্র একটি স্থান এবং এখানে তারা তাদের দেবদেবীদের আরাধনা এবং পূজা-অর্চনা করে থাকেন। তাই যেই স্থান দেব-দেবীদের অথবা যে স্থানে পূজা করা হয় সেই স্থান সবসময় পাক পবিত্র এবং পরিষ্কার রাখতে হবে।
তাছাড়া সেই স্থানে সকলেই পরিদর্শন করে বলে সেই স্থানটি সুন্দর হতে হবে। তাই দশে মিলে করি কাজ এবং হারি জিতি নাহি লাজ কথাটি যদি আমরা বিশ্বাস করি তাহলে সকলের প্রচেষ্টায় একটি মন্দির নির্মাণ করা অথবা পুনঃনির্মাণ করা কোন বিষয় নয়। কিন্তু একটি দেশের সরকার যেমন বিভিন্ন ধর্মের জন্য আলাদা আলাদা ভাবে বাজেট প্রণয়ন করে এবং বিভিন্ন জায়গায় এগুলো নির্মাণ করার জন্য যেহেতু বাজেট প্রদান করে সেহেতু মন্দির একটি ধর্মীয় স্থান হিসেবে আপনারা চাইলেই সেটির জন্য আবেদন করতে পারেন এবং এক্ষেত্রে যে আর্থিক সহায়তা পাবেন সেটা দিয়ে মন্দিরের যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করতে পারেন।
আপনার এলাকায় যদি একটি মন্দির থাকে এবং সেটি যদি অনেক পুরনো হয়ে যায় তাহলে সেটাকে সংস্করণ করার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় কেউ যদি অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে না আসে তাহলে সেটি হয়তো সেভাবেই পড়ে থাকবে। সেই ক্ষেত্রে আপনারা যদি মন্দির সংস্কার করতে চান অথবা সেখানকার চুনকামের কাজ থেকে শুরু করে নির্মাণের কাজ অথবা বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ কাজ করার ক্ষেত্রে আর্থিক সহায়তা পেতে চান তাহলে সরকারের বিভিন্ন অফিসে বা মন্ত্রণালয় আপনারা এটার জন্য আবেদন করতে পারেন।
যদি আপনাদের সেই মন্দির উপজেলার অন্তর্গত হয়ে থাকে অথবা ইউনিয়নের অন্তর্গত হয়ে থাকে তাহলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর আপনারা একটি আবেদন পত্র লিখে জানিয়ে দিতে পারেন যে আপনাদের মন্দিরের বেহাল দশা এবং সেটি পুনঃনির্মাণ করার জন্য আকুল আবেদন জানাচ্ছেন। তাহলে আপনাদের এই বিষয়টি বিবেচনা করা হবে এবং অতি দ্রুত এ বিষয়টি বিবেচনা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করার জন্য বাজেট তৈরি করা হবে এবং সেটি প্রদান করা হবে।
তবে কার কাছে কিভাবে আবেদন পত্র লিখতে হবে এবং আবেদন পত্রের ভাষা কি হতে পারে সেটি যদি জানতে চান তাহলে আজকে আমাদের ওয়েবসাইটে এসে ভালো করেছেন। কারণ মন্দির পুনঃনির্মাণ করার জন্য বা সংস্কার করার জন্য আপনাদের যে খরচের পরিমাণ প্রয়োজন হবে সেটি যদি আপনারা খুব সুন্দর ভাবে লিখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অথবা উচ্চপদস্থ কোন কর্মকর্তা বরাবর হস্তান্তর করতে পারেন তাহলে দেখা যাবে যে আপনাদের জন্য সরকারিভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
এই আর্থিক সহায়তা পেয়ে আপনারা সংস্কার করে খুব সুন্দর ভাবে পরিবেশ সৃষ্টি করে পূজা অর্চনা এবং আরাধনার ব্যবস্থা করতে পারেন। যেহেতু আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করেছেন সেহেতু আপনারা নিজের দিক থেকে মন্দির সংস্কারের জন্য আবেদন পত্র এবং এর ফরমেট সংগ্রহ করে নিন।
Leave a Reply