সাধারণত যখন রমজান মাসের শেষ দিন রাতের বেলা আকাশে ঈদের চাঁদ দেখা যায় তখন সেই চাঁদ দেখার পর আমাদেরকে কি আমল করতে হবে এবং কিভাবে এই আমল গুলো চালিয়ে যেতে হবে তা আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের মাঝে এটা শেয়ার করতে চলেছি। রমজান মাসের যখন চাঁদ দেখা যায় তখন আমরা দীর্ঘ এক মাসের কষ্ট গুলো ভুলে গিয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর পালন করার চেষ্টা করতে থাকে এবং এর জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করতে থাকে। তবে কিছু কিছু মানুষ রয়েছে যারা আকাশে চাঁদ ওঠা দেখে আনন্দে বিভিন্ন ধরনের পাপ কাজ করে থাকেন এবং তার এক মাসের যে ইবাদতে অভ্যস্ত ছিল সেই ইবাদতে আর মশগুল হতে দেখা যায় না।
তবে আকাশে যদি চাঁদ দেখা যায় তাহলে আপনারা অবশ্যই চাঁদ দেখার পর আমল করবেন এবং নিচে আপনাদের এই আমল সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়া হলো। তবে আমল সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়ার পূর্বে আমরা আপনাদেরকে জানাতে চাই যে আপনি যে ধারাবাহিকতা অর্জন করে দীর্ঘ এক মাস রমজান মাস পালন করেছেন এবং যে ইবাদতগুলো করেছেন সেগুলো যদি আপনার পরবর্তী জীবনে প্রতিফলন করতে পারেন তাহলে একজন মুমিন বান্দা হবেন। সাধারণত আপনি রমজান মাসে যে এবাদতের মধ্য দিয়ে গিয়েছেন এবং যে ধরনের সৎ জীবন যাপন করেছেন সেগুলো পালন করতে পারলে একজন শুদ্ধ মানুষ এবং মুমিন বান্দা হওয়ার ক্ষেত্রে আপনার কোন বাধা থাকবে না।
তাই চাঁদ দেখার সাথে সাথে বিভিন্ন ধরনের আতশবাজি ফোটানোর চাইতে আপনারা যদি আল্লাহ পাকের কাছে শুকর গুজার করতে পারেন এবং এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট আমল করতে পারেন তাহলে সবচাইতে সেটা ভালো হবে। তাই ঈদের চাঁদ যদি আকাশে দেখতে পান তাহলে অবশ্যই চাঁদ দেখার দোয়া হিসেবে “আল্লাহুম্মা আহিল্লাহু আলাইনা বিল আমনি ওয়াল ঈমান” আমল করবেন। তাছাড়া রাসূল সাঃ চাঁদ দেখার পরে তাকবির করতেন বলে এটা আমাদের সুন্নত কাজ হিসেবে অবশ্যই তাকবীর পাঠ করতে হবে। আপনি অনবরত পাঠ করতে থাকবেন এবং আপনার অবসর সময় গুলোতে থাকবেন করার মধ্য দিয়েই কাটাতে হবে। এতে করে আপনি যখন তাকবীর প্রদান করবেন এবং একটু জোরে জোরে করবেন তখন দেখা যাবে যে আপনার আশেপাশের মানুষগুলো সেগুলো দেখে তারাও তাকবীর পাঠ করতে শুরু করেছে।
তাই যারা তাকবীর সম্পর্কে জানেন না তাদেরকে বলব যে ঈদের চাঁদ আকাশে দেখার পরেই আপনারা অবশ্যই “আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদ”বারবার আমল করতে থাকবেন। আপনারা যখন চাঁদ দেখার সাথে সাথে এই আমল গুলো করবেন তখন অনবরত করতে থাকবেন এবং নামাজের উদ্দেশ্যে যখন ঈদগাহে যাবেন তখন পর্যন্ত করতে থাকবেন।
তাছাড়া আপনারা যখন খুতবা শুনবেন তখন দেখবেন যে আপনাদের ইমাম এই তাকবীর বারবার পাঠ করছে এবং তাদের সাথে আপনারা অবশ্যই এই তাকবীর পাঠ করবেন। বিশেষ করে আমাদের মুসলমানের জন্য দুইটি বড় অনুষ্ঠান এবং আনন্দের দিন হলো ঈদের দিন। তাই এই বিশেষ দিনে গুরুত্বপূর্ণ আমল হিসেবে উপরের আমল গুলো আপনারা করতে পারেন এবং অবশ্যই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে আপনারা প্রত্যেকটি আমলে শরিক হবেন।
Leave a Reply