Arithmetic বা পাটিগণিত শব্দটির অর্থ সংখ্যার কলাকৌশল। ইংরেজিতে বললে বলতে হয় The art of number যা গ্রিক শব্দ arithmetic থেকে এসেছে। বীজগণিত শব্দটি ইংরেজি Algebra এর প্রতিশব্দ। ইংরেজি Algebra শব্দটি আরবি শব্দ আল জাবের থেকে উদ্ভূত। আল-জাবের শব্দের অর্থ ভাঙ্গা হাট জোড়া দেওয়া। তাহলে দেখা যাচ্ছে যে গণিতের যে শাখায় সংখ্যা বিশেষ করে ধনাত্মক সংখ্যার যোগ বিয়োগ গুণ ভাগ ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করা হয় তাকে পাটিগণিত বলা হয়।
আবার বীজগণিত এর অর্থ প্রকাশ করতে গিয়ে গণিতবিদ মোঃ বিন মুসা বলেন বীজগণিত মানে কোন সমীকরণের বিভিন্ন অংক কে একত্রিত করা। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন কারণ আমাদের ওয়েবসাইটে আমরা শিক্ষক চিকিৎসা দৈনন্দিন জীবনে কাজে লাগে এমন যাবতীয় বিষয় সম্পর্কে প্রকাশ করে থাকি। তাই আপনাদের দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে যখন যেখানেই আটকে যাবেন সেখানেই আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে দেখে নিবেন আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যটি।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে চলতে গেলে অনেক অনেক তথ্যই প্রয়োজন হয়ে পড়ে কিন্তু সবারই সেই তথ্যগুলি সবসময় জানা থাকে না। আমাদের ওয়েবসাইট থেকে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলি ডাউনলোড করেও নেওয়া যায়। আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যটি ডাউনলোড করে নিতে এক্সট্রা কোন ধরনের চার্জ প্রযোজ্য হবে না।
তাই কোন তথ্য বা কোন প্রশ্নের উত্তর যদি আপনার ডাউনলোড করে নিতে হয় তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটে এসে ডাউনলোড অপশনে গিয়ে সেখানে দেখানো প্রয়োজনীয় লিংকে ক্লিক করে আপনি নিয়ে নিতে পারবেন আপনার সেই কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তরটি। আজকে আমাদের দেখাতে হবে পাটিগণিত বীজগণিতের জনক কে। জনক একজন ই না ভিন্ন ভিন্ন সেটি এখন আমরা দেখব। পাটিগণিত অংকটিতে মোট দশটি মৌলিক সংখ্যা বা অংক দ্বারা সব সংখ্যায় লেখা যায়। যেগুলো হল ১,২,৩,৪,৫,৬,৭,৮,৯ এবং ০ । এদের মধ্যে প্রথম নয়টি প্রতীককে সার্থক অংক এবং শেষের দিকে শূন্য (সংখ্যার অভাব জ্ঞাপক অংক) বলা হয়। আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে সংখ্যার সাথে সাথে পাটিগণিতের অন্তর্গত বিভিন্ন বিষয় ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে।
আবার বীজগণিতের অর্থ প্রকাশ করতে গিয়ে গণিতবিদ মোঃ বিন মুসা বলেছেন যে বীজগণিত মানে কোন সমীকরণের বিভিন্ন অংশকে একত্রিত করা। মোটকথা বীজগণিত হল এমন একটি গাণিতিক পদ্ধতি যা সংখ্যার পরিবর্তে বর্ণ বা প্রতীক ব্যবহার করে অজানা রাশির মান বের করে অথবা রাশি সমূহের পরস্পরের মধ্যে সম্পর্ক নির্ণয় করা যায়। বীজগণিতের মধ্যে অনেক ধরনের সংখ্যা থাকে এদেরকে বাস্তব সংখ্যা বলা হয়। বাস্তব সংখ্যা মূলত দুই প্রকার একটা হচ্ছে মূলদ সংখ্যা অপরটি অমূলদ সংখ্যা। মূলদ সংখ্যা আবার দুই প্রকার একটা হচ্ছে পূর্ণ সংখ্যা অপরটি ভগ্নাংশ সংখ্যা। অমূলদ সংখ্যা অসীম অনাবৃত্ত দশমিক সংখ্যা হতে পারে। পূর্ণ সংখ্যা তিন ধরনের ধনাত্মক পূর্ণ সংখ্যা ০ এবং ঋণাত্মক পূর্ণ সংখ্যা।
ভগ্নাংশ সংখ্যা দুই ধরনের হতে পারে একটি সাধারণ ভগ্নাংশ আরেকটি দশমিক ভগ্নাংশ। ধনাত্মক সংখ্যা তিন ধরনের মৌলিক ধনাত্মক সংখ্যা যৌগিক ধনাত্মক সংখ্যা এবং 1। সাধারণ ভগ্নাংশ প্রথমত দুই ধরনের প্রকৃত ও অপ্রকৃত ভগ্নাংশ কিন্তু অপ্রকৃত ভগ্নাংশকে আবার মিশ্র ভগ্নাংশ বলা হয়ে থাকে। দশমিক ভগ্নাংশ দুই ধরনের একটি দশমিক ভগ্নাংশ আরেকটি অসীম আবৃত সংখ্যা। বীজগণিত অংকে মান নির্ণয় করতে হয়। এই মান নির্ণয় হলো সমীকরণের কোন অজ্ঞাত বা জ্ঞাতরাশির কোন সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করে যথাযোগ বিয়োগ গুণ এবং ভাগ এবং তাদের সংযোগ বর্জন বিনিময় বন্টন প্রভৃতি গাণিতিক প্রক্রিয়া দ্বারা অজ্ঞাত রাশির মান বের করা হয়ে থাকে। আবার এ কথা বলা যায় যে বীজগণিত আসলে সূত্রর খেলা।
বীজগণিত করতে হলে সূত্র গুলি অবশ্যই মনে রাখতে হয়। সূত্রগুলি দিয়েই আমাদের প্রয়োজনীয় অংকটি করে ফেলতে পারি। তাহলে আমরা দেখি যে পাটিগণিত এবং বীজগণিতের জনক কে
পাটিগণিতের জনক ভারতীয় গণিতবিদ ও জ্যোতির্বিদ আর্য্যভট্ট। আর্য ভট্টের জন্ম ৪৭৬ খ্রিস্টাব্দে এবং মৃত্যু ৫৫০ খ্রিস্টাব্দে।
এবার দেখা যাক বীজগণিতের জনক কোন গণিতবিদ। বীজগণিতের জনক
মুহাম্মদ ইবনে মুসা আল-খারিজমি আল কুতরুবুল্লী।
Leave a Reply