
নারী নির্যাতন মামলা থেকে আপনি যদি বাঁচতে চান তাহলে যথাযথ নিয়ম আমাদের ওয়েবসাইটের দেখানো অনুসরণ করুন। নারী নির্যাতনের মামলা থেকে বাঁচার জন্য আপনাদেরকে নিচের নিয়ম গুলো অনুসরণ করতে হবে এবং কেউ যদি আপনার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে তাহলে যতক্ষণ না আপনি অপরাধী বলে প্রমাণিত হচ্ছেন ততক্ষণ আপনি বাড়ি ত্যাগ করবেন না অথবা পালিয়ে যাবেন না। কারণ আপনি যখন পালিয়ে যাবেন তখন আপনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হবে এবং অতি তাড়াতাড়ি আপনাকে গ্রেফতার করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
তাই কেউ যদি নারী নির্যাতনের মামলা আপনার বিরুদ্ধে করে থাকে তাহলে যতটা সম্ভব শান্ত থাকুন এবং এক্ষেত্রে সর্ব প্রথমে একজন বিশ্বস্ত আইনজীবির অথবা দক্ষ আইনজীবীর পরামর্শ গ্রহণ করুন। এই পরামর্শগুলো আপনারা তখন কাজে লাগাবেন এবং তারা আপনাকে যে পদ্ধতিতে এগতে বলবে সেই পদ্ধতিতে এগিয়ে চলবেন। প্রথমত আপনি যদি নারী নির্যাতনের মামলা থেকে নিজেকে এড়িয়ে চলতে চান তাহলে থানায় যোগাযোগ করে এবং একজন আইনজীবের সঙ্গে যোগাযোগ করে এজাহারের কপি সংগ্রহ করতে পারেন।
এক্ষেত্রে নিম্ন আদালতে আপনার জামিন চেয়ে আগে থেকে আবেদন করে রাখতে পারেন এবং এই ক্ষেত্রে আপনার জন্য যদি প্রত্যেকটি মামলা অথবা প্রত্যেকটি অপরাধের বিষয়গুলো মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয় তাহলে স্থানীয় যে পুলিশ রয়েছে অথবা যিনি এই কেসের দেখভাল করছেন তিনি থানায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন এবং এর মাধ্যমে আপনি একজন নিরপরাধ ব্যক্তি হিসেবে প্রমাণিত হবেন। এরপরে আপনাকে চার্জশিট বা অভিযোগ পত্র অনুসারে আবেদন করতে হবে যেন আপনি তাড়াতাড়ি জামিন পেয়ে যান।
নিম্ন আদালতে যদি জামিন না পেয়ে থাকেন তাহলে আপনাদেরকে এক্ষেত্রে উচ্চ আদালতে গিয়ে আবেদন করতে হবে এবং এই আদালতে আবেদন করার মাধ্যমে আপনাকে যে গ্রেফতারি পরোয়ানার মাধ্যমে গ্রেফতার করা হবে তা থেকে আপনি মুক্তি পাবেন এবং পরবর্তীতে এটিএম পাস করার জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ। জামিনের আবেদন আপনারা আগে থেকেই করে রাখবেন এবং এই আবেদনের ভিত্তিতে আপনাদেরকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করার মাধ্যমে কোনভাবে গ্রেফতার করা যাবে না এবং পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করার মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করতে হবে।
আপনাকে গ্রেফতারি পরোয়ানের মাধ্যমে যদি গ্রেফতার না করতে পারে এবং পরবর্তীতে আপনি যদি এই ধরনের ঝামেলা এড়িয়ে চলতে চান তাহলে সরাসরি উচ্চ আদালত বরাবর আত্মসমর্পণ করবেন এবং এই ক্ষেত্রে নতুন ভাবে জামিনের জন্য আবেদন করলে আপনার ঝামেলা হবে না এবং পরবর্তীতে আপনি জামিন পেয়ে গেলে আপনাকে আর গ্রেফতার করা হবে না। কেউ যদি আপনার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মিথ্যা মামলা করে থাকে এবং এটি যদি মিথ্যা মামলা বলে প্রতিমান হয় তাহলে অবশ্যই আপনি আগে থেকেই তার বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা দায়ের করতে পারেন।
এতে করে সেই মামলা দায়ের করার মাধ্যমে সেই ব্যক্তি একই সমস্যায় পতিত হবে এবং এক্ষেত্রে আপনি তার বিরুদ্ধে যে পাল্টা মামলা দায়ের করেছেন তার জন্য যথাযথ তথ্য যাচাই-বাছাই করা হবে। এক্ষেত্রে আপনার বিরুদ্ধে যে মামলা করা হলো সেই মামলার জন্য আপনি ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারেন এবং আপনার এই মামলার পেছনে যারা নিজেদের মূল্যবান সময় নষ্ট করেছে তাদের জন্য আপনারা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে ক্ষতি করুন প্রদান করার ক্ষেত্রে নতুনভাবে মামলা দায়ের করতে পারেন।
বর্তমান সময়ে আইনকে নিজেদের সুবিধার জন্য ব্যবহার করার জন্য অনেকে নারী এবং শিশু মিথ্যা মামলা করছেন এবং এক্ষেত্রে একজন ভালো ব্যক্তি হেনস্থার শিকার হওয়ার পাশাপাশি এই মামলায় জড়িয়ে পড়ার কারণে অনেক টাকা এবং সময় নষ্ট হচ্ছে। তাই আপনারা যদি এই ধরনের সমস্যা থেকে অথবা এ ধরনের অপরাধ না সংগঠন করে অপরাধী বলে বিবেচিত হন তাহলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমনানের ১৭ ধারাই মিথ্যা মামলা দায়ের করার ফলে যে নিয়ম রয়েছে তা আপনারা পালন করে অপরাধীর বিরুদ্ধে ৭ বছর পর্যন্ত যে মামলা করার বিধান রয়েছে তা করতে পারেন। তবে সব সময় আমাদেরকে ভালোভাবে চলতে হবে এবং দেশের আইন-টোন মেনে চললে আমরা এ ধরনের ঝামেলা থেকে এড়িয়ে চলতে পারব এবং সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারবো।
Leave a Reply