
নারী ও শিশু সংক্রান্ত মামলার প্রক্রিয়া এবং শাস্তি সম্পর্কে যদি জানতে চান তাহলে আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনারা এ সংক্রান্ত তথ্য খুব সহজভাবে বুঝে নিন। আপনার আশেপাশের কোন নারী অথবা শিশু যদি বিভিন্ন দিক থেকে নির্ধারিত হয় এবং বিভিন্ন ধারণা অনুযায়ী অর্থাৎ কোনগুলো নারী ও শিশু নির্যাতনের আওতাভুক্ত হবে এ বিষয়গুলো যদি মেনে চলা হয় তাহলে আপনারা থানায় অথবা আদালতে মামলা দায়ের করতে পারবেন।
তাই আপনাদের সুবিধার জন্য আজকে আমাদের ওয়েবসাইটে নারী ও শিশু মামলার প্রক্রিয়া সম্পর্কে যেমন আলোচনা করব তেমনিভাবে এই মামলা-মোকদ্দমার মাধ্যমে আপনি আসামীর কি ধরনের শাস্তি পেতে পারে সে সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন। নারীদের প্রতি খারাপ আচরণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের নির্ধারণ এবং শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের চাপ প্রয়োগ করা হয়ে থাকে।
সেই ক্ষেত্রে একজন নারী যদি এই পর্যায়ে অসহনীয় অবস্থায় চলে যায় এবং তার প্রতি যদি অন্যায় করা হয় তাহলে সংশোধিত আইন অনুযায়ী তিনি মামলা দায়ের করতে পারবেন এবং এর মাধ্যমে তিনি বিচার পেয়ে যাবেন। একই বিষয়গুলো শিশুর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। অর্থাৎ একজন শিশুর স্বাভাবিকভাবে যেভাবে জীবন পরিচালনা করার কথা সেভাবে না করে যদি একটু অন্যরকম ভাবে করে অথবা তাকে দিয়ে যদি জোরপূর্ব কোন কাজ করে নেওয়ার পাশাপাশি তার নির্যাতন করা হয় তাহলে সেই নির্যাতনের প্রতিকার সাপেক্ষে মামলা দায়ের করতে পারেন।
২০০০ সালে নারী ও শিশু বিষয়ক ট্রাইবুনাল গঠিত হয়েছে এবং সেখানে নারীদের এবং শিশুদের বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের অপরাধের শাস্তি এবং কি কি ক্ষেত্রে এই অপরাধগুলো অপরাধ বলে গণ্য হবে সে সংক্রান্ত তথ্য আলোচনা করা হয়েছে। পরবর্তীতে ২০১৩ সালে এই আইন সংশোধন করা হয় এবং এখানে অনেক কিছু সংযুক্ত করা হয়।
তাই কেউ যদি মনে করেন আপনার এলাকার কারো সঙ্গে নারী নির্যাতন অথবা শিশু নির্যাতন করা হচ্ছে অথবা তাদের সঙ্গে কোন ধরনের অপরাধ করা হচ্ছে তাহলে আপনারা যে এলাকায় বসবাস করেন সেই এলাকার সংশ্লিষ্ট থানাতে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করতে পারেন। আপনারা যখন সেখানকার থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর মৌখিক তথ্য প্রদান করবেন তখন তারা এই বিষয়টি সারা জমিনে একটু যাচাই করবেন এবং এই মামলা দায়ের করবেন। কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে অনেকা নারী বিশেষ সুবিধা গ্রহণের জন্য পুরুষদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।
অথবা অধিক সুবিধা গ্রহণ করার জন্য শিশু মামলা করে থাকেন যার ফলে অনেক সময় মিথ্যা মামলার কারণে অনেকে হেনস্থার শিকার হয়ে থাকেন। তাই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এই বিষয়ে যাচাই-বাছাই করে যখন বুঝতে পারবে ঘটনাটি সত্য এবং যখন সাক্ষী স্বাভাবিককে এগুলো সত্যতা যাচাই হয়ে যাবে তখন তিনি অপরাধের কারণগুলো অর্থাৎ বিবরণ তৈরি করে আদালত বরাবর প্রেরণ করবেন। তখন ম্যাজিস্ট্রেট সে বিষয়টি দেখভাল করবেন এবং তিনি নারী ও শিশু বিষয়ক ট্রাইব্যুনালের কাছে এই অপরাধ হস্তান্তর করবেন।
সেখান থেকে অনুমতি আসলে অফিসার ইনচার্জ চার্জশিট তৈরি করে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করবে এবং এর মাধ্যমে আদালতে উপস্থিত থেকে এই বিচার কার্য পরিচালনা করা হবে। আর যদি কোন ক্ষেত্রে স্থানীয় থানা মামলা গ্রহণ করতে রাজি না হয় তাহলে আপনারা আদালত বরাবর এটি আবেদন করতে পারবেন এবং এক্ষেত্রে একজন উকিলের মাধ্যমে আপনারা আদালতের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করতে পারবেন। ঠিক একই নিয়ম অনুসরণ করে আপনারা অপরাধের শাস্তি হিসেবে অপরাধের শাস্তি দেখতে পারবেন।
যারা নারী ও শিশু বিষয়ক মামলার প্রক্রিয়া ও স্বাস্থ্য সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাদের বলতে চাই যে এক্ষেত্রে অপরাধ যদি সংঘটিত হয় এবং তা যদি প্রমাণিত হয় তাহলে যাবজজীবন থেকে শুরু করে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে এবং পরিস্থিতি বিবেচনা করে যথাযথ শাস্তি বিধান করা যেতে পারে। কোন কোন ক্ষেত্রে যদি সম্ভব হয় তাহলে অর্থদণ্ড করা হতে পারে।
তবে কেউ যদি এক্ষেত্রে মিথ্যা মামলা দায়ের করে এবং সেই মামলা যদি মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয় তাহলে জেনে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন তার বিরুদ্ধে যথার্থ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে এবং মিথ্যা মামলার ক্ষেত্রে প্রায় একই সমান শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে। আশা করি এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা এই প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গিয়েছেন।
Leave a Reply