নাজাতের ১০ দিনের আমল

নাজাতের ১০ দিনের আমল

রমজান মাসের শেষ দশ দিনকে বলা হয় নাজাতের 10 দিন। আরবি মাস গুলোর মধ্যে রমজান মাস অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ এবং গুরুত্বপূর্ণ মাস। রমজান মাসের ৩০ দিনকে আলাদা আলাদা ভাবে ১০ দিন করে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। শেষের দশ ভাগকে নাজাতের ১০ দিন বলা হয়ে থাকে বলে এখানকার ইবাদত অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনারা যারা নাজাতের ১০ দিনের আমল সম্পর্কে জানতে চান তাদেরকে বলবো যে অবশ্যই আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটের এই পোস্ট পড়ার মাধ্যমে তা জেনে নিবেন এবং সেই আমলগুলো করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন। তাই একজন মুসলিম হিসেবে আপনারা যখন নাজাতের ১০ দিনের ইবাদত বা আমল সম্পর্কে জানতে আসবেন তখন অবশ্যই ওয়েবসাইটের এই পোস্ট আপনাদেরকে পড়তে হবে। এখান থেকে আপনারা প্রত্যেকটি তথ্য সঠিকভাবে জেনে নিতে পারলে তা আপনাদের জন্য আমল করার সুবিধাজনক হবে।

প্রত্যেক মুসলমানের জন্য রমজান মাস হল মহিমান্বিত মাস এবং এই মাসে পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছে বলে এটি অত্যন্ত একটি ফজিলত পূর্ণ মাস। রমজান মাসে সিয়াম সাধনা করার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের এবাদত আমাদের জীবনের বিভিন্ন ধরনের পাপের বিষয়গুলো মুছে দেয় এবং আমরা সদ্য জন্মানো মানুষ শিশুর মত নিষ্পাপ হয়ে যায়। তাই আপনার অতীত জীবনের যাবতীয় পাপ মুছে ফেলার জন্য আপনারা অবশ্যই মহান আল্লাহ পাকের কাছে হাত তুলতে পারেন এবং দুনিয়ার জীবনে কোন কিছু চাওয়া পাওয়ার থাকলে আপনারা এই রমজান মাসে সেগুলো মহান আল্লাহপাকের কাছে দোয়ার মাধ্যমে চেয়ে নিতে পারেন।

রমজান মাসের গুরুত্বপূর্ণ আমলের মধ্যে যেগুলো রয়েছে সেগুলো হলো সিয়াম সাধনা করা এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পাশাপাশি সালাতুল তারাবি নামাজ পড়া। এ সকল ইবাদত করার পাশাপাশি আপনি আপনার অবসর সময় অনুযায়ী সর্বোচ্চ পরিমাণে কোরআন তেলাওয়াত করবেন এবং সম্ভব হলে সেই কোরআন শিক্ষা আপনি অন্যদেরকেও প্রদান করতে পারেন। তবে নাজাতের ১০ দিনের আমল সম্পর্কে যারা জানতে এসেছেন তাদেরকে বলব যে রমজান মাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হল শবে কদরকে খুজে নেওয়া।

যেহেতু আমরা জানিনা কবে শবে কদর অনুষ্ঠিত হবে সেহেতু আমরা হয়তো বিজোড় দিনগুলোতে শবে কদর খুঁজতে থাকে। তবে সবচাইতে ভালো হবে আপনি যদি একুশে রমজানের রাত থেকে শেষ রমজানের রাত পর্যন্ত রাত জেগে ইবাদত-বন্দেগী করতে পারেন এবং লাইলাতুল কদর তালাশ করতে পারেন তাহলে এর মধ্যে নির্দিষ্ট একটি দিন পেয়ে যাবেন এবং আপনার ইবাদতগুলো কবুল হয়ে যাবে।

মহান আল্লাহ পাকের নিকট্য হাসিলের উদ্দেশ্যে আপনারা যদি রমজান মাসের শেষ দশ দিন অর্থাৎ নাজাতের ১০ দিন ইতিকাফ করতে চান তাহলে অবশ্যই তা করতে পারবেন। আপনাদেরকে এই দশ দিন মহান আল্লাহ পাকের নৈকট্য হাসিলের উদ্দেশ্যে অবশ্যই ইবাদত বন্ধই করতে হবে এবং সর্বোচ্চ পরিমাণে ইস্তেগফার পাঠ করার পাশাপাশি লাইলাতুল কদর যেমন তালাশ করতে হবে তেমনি ভাবে অন্যান্য ইবাদত বন্দেগী ঠিকঠাক মতো ভাবে পালন করতে হবে। তাছাড়া আপনাদের রমজান মাসে যে সকল ইবাদত বন্দেগি সাধারণত করতে হয় সেগুলো অবশ্যই করতে হবে।

তাই আপনি যদি না নাজাতের শেষ ১০ দিনের আমল সম্পর্কে জানতে চান তাহলে অবশ্যই আপনারা ইতেকাফ করার পাশাপাশি লাইলাতুল কদর তালাশ করবেন। তাছাড়া আপনারা পবিত্র ঈদুল ফিতর পালন করার জন্য অবশ্যই ফিতরা আদায় করবেন এবং আপনাদের এলাকায় যে পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে তা প্রদান করার পাশাপাশি আপনারা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বেন এবং সালাতুল তারাবি আদায় করবেন।

সেই সাথে কোরআন তেলাওয়াতের পাশাপাশি কোরআন শিক্ষা যদি প্রদান করতে পারেন তাহলে সবচাইতে ভালো হয়। আর রমজান মাসের প্রত্যেকটি ইবাদত সহীহভাবে করার জন্য অবশ্যই সৎ পথে উপার্জন দিয়ে আপনাদেরকে যেমন সেহরি খেতে হবে তেমনিভাবে ইফতার করতে হবে। সকলের মাঝে আপনারা যদি দানের হাত বৃদ্ধি করে দেন তাহলে দেখা যাবে যে প্রত্যেকেই ঈদের আগে হাসিমুখে ঈদের বাজার করতে পারছে এবং সকলের মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলতে পারলে মহান আল্লাহ পাক আপনার এই কাজের জন্য রাজি খুশি হবেন।

About শাহরিয়ার হোসেন 4780 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*