যারা সেনাবাহিনী সম্পর্কে ধারণা অর্জন করতে চান অথবা পৃথিবীর কোন দেশে সেনাবাহিনী নেই তা জানতে চান তাদের উদ্দেশ্যে আমাদের এখানে আলোচনা করা হলো। সেনাবাহিনী হলো দেশের ভিতরে এবং দেশের বাইরে নিরাপত্তা প্রদান করে থাকে এমন একটি আইনি নিরাপত্তা সংস্থা। দেশের দামাল ছেলেদের শারীরিক মানসিক এবং অন্যান্য যোগ্যতার ভিত্তিতে সেনাবাহিনীতে নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে।
তবে পৃথিবীর কমবেশি প্রত্যেকটা দেশের সেনাবাহিনী থেকে থাকলেও নির্দিষ্ট কিছু দেশে সেনাবাহিনী নেই। তাই আপনার কাছে যদি এটা সাধারণ জ্ঞানের প্রশ্ন হয়ে থাকে এবং আপনি যদি এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চান তাহলে অবশ্যই আমরা আপনাদেরকে সেটা প্রদান করতে পারব। এখানকার আলোচনার ভিত্তিতে আপনারা এটা জেনে নিতে পারেন যে পৃথিবীর কোন দেশে সেনাবাহিনী নেই। তাছাড়া সেনাবাহিনী না থাকার কারণে তারা কিভাবে দেশকে পরিচালনা করে থাকেন।
প্রত্যেকটা দেশের ভেতরে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়ে থাকে এবং দেশের ভেতরে যে সকল ধামাল ছেলেরা রয়েছে তারা পরীক্ষার মাধ্যমে সকল সেনাবাহিনীতে যোগদান করে থাকেন। দেশের অভ্যন্তরে স্থানীয় পর্যায়ে যখন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা যোগদান করে তখন তারা কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা দেখলে অথবা তাদের নিয়মের ভেতরে কোন ধরনের অসামঞ্জস্যতা দেখলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। কিন্তু দেশের জরুরি প্রয়োজনে অথবা জরুরি প্রয়োজনে যখন পুলিশ বাহিনী অথবা অন্য কোন নিরাপত্তা বাহিনী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে না তখন মাঠে নামে সেনাবাহিনী। এছাড়াও দেশের বাইরে থেকে কেউ যদি দেশ দখল করার জন্য আক্রমণ করে তাহলে তাদের সাথে মোকাবেলা করার জন্য সেনাবাহিনীরা যুদ্ধ ঘোষণা করে থাকে।
বাংলাদেশের নিয়ম অনুযায়ী এখানে সেনাবাহিনী যোগদান করার পরে নির্দিষ্ট ক্যান্টনমেন্টে থাকে এবং পাহাড়ি এলাকাগুলোতে সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা প্রদান করে থাকে। তবে যখন দেশের ভেতরে ভোট অনুষ্ঠিত হয় অথবা সাধারণ জনগণ যখন বেপরোয়া আচরণ করতে থাকে তখন পুলিশ বাহিনী এখানে তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ করার মাধ্যমে এটা নিয়ন্ত্রণে আটতে না পারলে সরাসরি সেনাবাহিনী মাঠ পর্যায়ে নেমে যায়।
অর্থাৎ সাধারণ জনগণ যখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় তখন তাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সরকারের আদেশ অনুযায়ী সেনাবাহিনী মাঠে নেমে সকল কিছু নিয়ন্ত্রণে আনে। যেহেতু তারা সকল কিছু নিয়ন্ত্রণের জন্য ডিরেক্ট একশনে চলে যাই অথবা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে সেহেতু সাধারণ জনগণ ভয় পেয়ে নিজেদেরকে গুটিয়ে নিতে পারে।
তবে সেনাবাহিনীতে সকল তথ্যের পাশাপাশি তারা দেশের বাইরে থেকে কেউ যাতে আক্রমণ করে দেশকে দখল না করতে পারে সে বিষয়ে নিরাপত্তা প্রদান করে থাকে। বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর সদস্যরা যারা আছেন তারা দেশের ভেতরে নিরাপত্তা প্রদান করার পাশাপাশি যখন বিদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক স্থাপন হয় এবং তাদের যখন সেনাবাহিনীর প্রয়োজন হয় তখন তারা এখান থেকে নির্দিষ্ট পারিশ্রমিকে মিশনে নিয়ে যাই। অর্থাৎ অন্য কোন দেশের যদি সেনাবাহিনী প্রয়োজন হয়ে অথবা এরকম প্রশিক্ষিত সদস্যদের প্রয়োজন হয় তখন তারা আমাদের দেশের সরকারের কাছে আবেদন করে এই সেনাবাহিনী নিয়ে গিয়ে তাদের দেশে কাজে লাগাই এবং অনেক পারিশ্রমিক প্রদান করে থাকে।
তাই বাংলাদেশের সেনাবাহিনীতে স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং এদেশের অনেক সেনাবাহিনী সদস্যরা দেশের বাইরে গিয়ে মিশনে অংশগ্রহণ করে সেই দেশের সমস্যাগুলো মিটিয়ে দেশে ফিরে চলে আসে। তবে আপনারা যেহেতু এই প্রশ্নের উত্তর জানতে এসেছেন যে পৃথিবীর কোন দেশে সেনাবাহিনী নেই তাদের উদ্দেশ্যে বলবো যে সেনাবাহিনী পৃথিবীর প্রত্যেকটি দেশেই রয়েছে। অর্থাৎ দেশের ভেতরের যোগ্য প্রার্থীদেরকে এই সেনাবাহিনী সদস্যতে যোগদান করানোর সুযোগ প্রদান করা হয়।
তবে মালদ্বীপের নিজস্ব কোন সেনাবাহিনী নেই বলে আমরা জানতে পেরেছি। অর্থাৎ মালদ্বীপ রাষ্ট্রের ভেতরে কোন ছেলেরা সেনাবাহিনীতে যোগদান করে না অথবা তাদের এরকম কোন সিস্টেম চালু নেই। যদি খুব জরুরী প্রয়োজন হয় তাহলে দেশের বাইরে থেকে তারা তাদের বন্ধু দেশের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে সেনাবাহিনী এনে সেটার সমস্যার সমাধান করে থাকে।
Leave a Reply