
অনুপস্থিতির জন্য ছুটির আবেদন কিভাবে করবেন তা অনেকের কাছে অজানা থাকার কারণে আমাদের ওয়েবসাইটের প্রদান করা নমুনা দেখে নিতে পারেন। যদি শারীরিক অসুস্থতা অথবা অন্য কোন যুক্তিসঙ্গত কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অথবা অন্য কোথাও উপস্থিত হতে না পারেন তাহলে তার জন্য আপনাকে নিয়ম অনুসরণ করে অনুপস্থিতির জন্য ছুটির আবেদন করতে হবে এবং আবেদনের ক্ষেত্রে অনেক সময় কাগজপত্র প্রদর্শন করানো লাগতে পারে।
বিশেষ করে আপনি যদি কোন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত থাকেন এবং সেই প্রতিষ্ঠানের অধীনে চাকরি করে থাকেন তাহলে যুক্তিসঙ্গত কারণে ছুটি কাটিয়ে থাকলে অবশ্যই সেই ছুটির জন্য আপনাদেরকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে হবে। আপনি যদি অসুস্থ থাকেন তাহলে অসুস্থতার জন্য ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন এবং ভর্তির কাগজ প্রদান করার পাশাপাশি অন্যান্য কাগজপত্র প্রদর্শন করতে হবে। জরুরী প্রয়োজনে আপনার পরিবারের কোনো সমস্যা হলে সেখানে উপস্থিত হওয়ার কারণে আপনি যদি প্রতিষ্ঠানটিতে উপস্থিত হতে না পারেন তাহলেও আপনাকে আবেদনপত্র প্রদান করতে হবে।
অর্থাৎ আপনি যে প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত আছেন সেখানকার নিয়ম অনুসরণ করে যদি আবেদনপত্র প্রদান করতে চান তাহলে ছুটির জন্য আবেদন করবেন অথবা অনুপস্থিতির জন্য আপনাদেরকে আবেদন করতে হবে। আবেদন করার জন্য যে নিয়ম গুলো রয়েছে সেগুলো আপনাদেরকে এর আগেও আমাদের ওয়েবসাইটের অন্য পোস্টে জানিয়ে দিয়েছি এবং আজকের এই পোস্টটিও জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। ফলে আপনারা নির্দিষ্টভাবে আবেদন করতে পারবেন এবং আবেদনপত্র লেখার ক্ষেত্রে যাদের হাত কাঁপে অথবা তথ্য ভুল হচ্ছে কিনা বলে সব সময় চিন্তিত থাকেন তারা এখানকার দেখানো নমুনা অনুসরণ করে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে আবেদন পত্র লিখবেন।
আবেদনপত্র লেখার ক্ষেত্রে আগে তারিখ উল্লেখ করতে হবে এবং তারিখ উল্লেখ করার পরে আপনাদেরকে কার বরাবর এটিই প্রদান করবেন তার নাম এবং প্রাতিষ্ঠানিক তথ্য প্রদান করা লাগবে। প্রতিষ্ঠানটির অবস্থান উল্লেখ করার পরে অবশ্যই আপনারা কি কারণে অনুপস্থিত ছিলেন এবং অনুপস্থিতির কারণ যুক্তিসঙ্গত ভাবে উল্লেখ করে বিষয় সম্পন্ন করতে হবে। এরপরে জনাব দিয়ে আপনারা আবেদন পত্রটি লেখা শুরু করে দিবেন এবং আপনি কোন প্রতিষ্ঠানের কোন সেক্টরে আছেন অথবা কোন শ্রেণীতে পড়াশোনা করেন সে বিষয়গুলো উল্লেখ করতে হবে। সঠিকভাবে উল্লেখ করার পরে আপনি কেন অনুপস্থিত ছিলেন এবং অনুপস্থিত থাকার ক্ষেত্রে যুক্তিসংগত কারণ আপনাদেরকে সেখানে উল্লেখ করতে হবে যাতে আপনার ছুটি মঞ্জুর হয়ে যায়।
এরপরে বিনীতভাবে আপনাদেরকে আবেদন করতে হবে যেন আপনার আবেদন পত্রটি গ্রহণ করা হয় এবং আপনাকে ছুটি প্রদানে বাধিত করে। তারপরে নিবেদক অথবা নিবেদিকার জায়গায় আপনার নাম এবং আপনি যে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী অথবা কর্মচারী সেই প্রতিষ্ঠানের তথ্যগুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করবেন। যদি সকলের হয়ে আপনারা এই আবেদন করেন এবং সকলে সুবিধার জন্য কোন আবেদনপত্র জমা দেন তাহলেও আপনাদেরকে সেই ক্ষেত্রে সঠিক তথ্য প্রদান করতে হবে।তবে আবেদন পত্রটি আপনাদেরকে এখানে যেভাবে বুঝিয়ে দিলাম তাতে করে আপনারা না বুঝতে পারলে অনেক সমস্যা হবে এবং এই সমস্যার সমাধানের জন্য আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে নমুনা প্রদান করেছি।
অনুপস্থিতির জন্য জীবনে ছুটি লাগতেই পারে এবং যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অথবা প্রতিষ্ঠান আপনাদেরকে ছুটি প্রদান করবেন না তাদেরকে দরখাস্ত প্রদান করার মাধ্যমে ছুটি চাইতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়াকালীন অবস্থায় যারা ছুটির আবেদন পড়েছেন তারা বর্তমান সময়ে এটা মনে রাখতে পারার কারণে কোথায় কোন নিয়ম হবে অথবা কিভাবে ছুটির আবেদন লিখলে সবচাইতে ভালো হয় তা আপনারা এখানকার নিয়ম অনুসরণ করে জেনে নিবেন। তাই অনুপস্থিতি জনিত কারণে চিন্তিত না হয়ে আপনারা এটার যুক্তিসঙ্গত কারণ উল্লেখ করে যদি আবেদন করে প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছে জমা দেন এবং তিনি যদি মানবিক হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাদের ছুটি মঞ্জুর করবে এবং ছুটি ব্যতীত আপনাকে অন্যান্য সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা পুনরায় প্রদান করতে বাধ্য থাকবে।
Leave a Reply