আমাদের ভেতরে অনেকে আছেন যারা নিজেদের প্রয়োজনে টাকা ধার নিয়ে থাকেন এবং এই ধার নেওয়ার পর টাকা প্রদান করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের গাফিলতি প্রকাশ করে থাকেন। যেহেতু ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা তাতে করে দেখা যায় যে এখানে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সমাধান রয়েছে এবং এই ক্ষেত্রে আপনি যদি কারো থেকে টাকা পেয়ে থাকেন তাহলে সেই পাওনা টাকা আদায়ের আমল আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে জেনে নেবেন। আমরা আপনাদের জন্য বিভিন্ন ধরনের আমল এবং ফজিলতপূর্ণ এবাদত গুলো সম্পর্কে আমাদের ওয়েবসাইটের পোস্টগুলোতে আলোচনা করছে বলে আজকে এ বিষয়ে আলোচনা করতে চলেছি।
মানব জীবনে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে থাকে এবং একজন মানুষের বিপদে আরেকজন মানুষ এগিয়ে আসাটা একজন মানুষের আসল পরিচয় প্রদান করে থাকে। তবে আপনার বিপদে কেউ যদি এগিয়ে আসে অথবা আপনি যদি কাউকে সাহায্য করে থাকেন তাহলে তার প্রতি অবশ্যই কৃতজ্ঞতা থাকা উচিত। কিন্তু আপনার বিপদে অথবা প্রয়োজনীয় মুহূর্তে কেউ যদি আপনাকে সাহায্য করে তাহলে হয়তো আপনি অনেক সময় সেটা ভুলে যান এবং এই ভুলে যাওয়ার কারণে হয়তো বিভিন্ন ধরনের সম্পর্ক খারাপের দিকে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই একজন মানুষ হিসেবে আপনি যখন একজন মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ না করতে পারবেন অথবা তার উপকারের কথাগুলো যদি ভুলে যান এবং বেইমানি করেন তাহলে আপনি কখনোই একজন প্রকৃত মুমিন থাকতে পারবেন না।
যেহেতু আপনি কোন মানুষের বিপদে তাকে টাকা দিয়ে সাহায্য করেছেন সেহেতু আপনি যখন এই টাকা তুলতে চাইবেন অথবা তার থেকে টাকা নিয়ে আপনি কোন জরুরী কাজ করবেন তখন যদি এটা না পেয়ে থাকেন তাহলে আপনার হয়তো অনেক খারাপ লাগবে। অনেক সময় আমরা আমাদের এই মন খারাপ থেকে সেই মানুষের প্রতি যে ধারণা পোষণ করি তাতে করে অনেক সময় দেখা যায় যে মানুষকে টাকা ধার প্রদান করলেই তাদের সম্পর্ক নষ্ট হয় বলে অনেকেই বিশ্বাস করে থাকি। তাই একজন মানুষের মধ্য দিয়ে অন্য সকল মানুষকে বিচার করা ঠিক নয় বলে এবং আমাদের ভেতরে যাদের খারাপ চিন্তা ভাবনা না আসে তার জন্য আমাদের উচিত এই পাওনা টাকা আদায় করার জন্য আমল করা।
আপনি যখন আপনার পাওনা টাকা আমল করতে চাইবেন তখন আপনাকে বলব যে এক্ষেত্রে আপনি হয়তো দোয়া বা আমল সম্পর্কে জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করেছেন। তবে এই ক্ষেত্রে আপনাদেরকে বলবো যে টাকা আদায়ের জন্য নির্দিষ্ট কোন আমল নেই এবং এই আমল নিয়েই বলে আপনারা হয়তো ভাবছেন যে আপনার পাওনা টাকা আর আদায় হবে না। তবে পাওনা টাকা আদায় করার জন্য বিশেষ কিছু কৌশল রয়েছে এবং এই কৌশল গুলো যদি আপনারা রপ্ত করতে পারেন তাহলে দেখা যাবে যে টাকা দেয় হয়ে যাবে। তাই পাওনা টাকা আদারের জন্য আপনারা সালাতুল হাজাত পড়ে পাওনা টাকা আদায়ের জন্য দোয়া করতে পারেন।
যখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম দুশ্চিন্তে পড়তেন তখন নামাজে মগ্ন হবেন এবং তার সমস্যার কথাগুলো মহান আল্লাহ পাকের কাছে পেশ করতেন যাতে তিনি এই সমস্যাগুলোর সমাধান করে দেন। প্রকৃতপক্ষে যে কোন সমস্যার সমাধান যদি আমরা আল্লাহ পাকের কাছে খুলে বলি এবং মনেপ্রাণে সে সমস্যার সমাধান পেতে চাই তাহলে অবশ্যই আমাদের উচিত হবে মহান আল্লাহ পাকের কাছে দোয়া করা।
যেহেতু আল্লাহ পাক আমাদের সকল ধরনের দোয়া কবুল করে থাকেন সেহেতু আমরা সেই দুয়ার মাধ্যমে তার কাছে এ বিষয়ে ফরিয়াদ জানাবো এবং বেশি বেশি করে ইস্তেগফার পাঠ করবো। তাহলে হয়তো পাওনা টাকা তাদের জন্য আমাদের আল্লাহ পাক সাহায্য করবেন এবং আমরা হয়তো পাওনা টাকা পেয়ে গিয়ে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো সম্পাদন করতে পারবো।
তাছাড়া আপনারা যদি প্রতি ওয়াক্ত নামাজের পর আপনারা ৭৫ বার করে পড়বেন এবং টানা 41 যদি পড়েন তাহলে আপনাদের এই টাকা পেয়ে যাবেন। তাই উপরের দেখানো নিয়ম অনুসরণ করে আপনারা ইয়া মুজিলু,ইয়া মুঈজ্জু নিয়মিত আমল করতে থাকুন।
Leave a Reply