অনেকে আছেন যারা পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন এবং আবেদন করার পর হাতে এটা পেয়ে গিয়েছেন। তবে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট হাতে পাওয়ার পূর্বেই যদি আপনাদের এটা দেখতে ইচ্ছা করে যে কেমন ধরনের হতে পারে তাহলে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট নমুনা আমাদের এখান থেকে দেখে নিতে পারেন। অর্থাৎ এখানে কি ধরনের তথ্য উল্লেখ থাকবে অথবা এই সার্টিফিকেট এ কোন কোন বিষয়গুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হবে সেগুলো অত্যন্ত জেনে নেওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। তাই আপনাদের জন্য পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এর নমুনা এখানে নিচে ছবি আকারে প্রদান করা হলো।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট হলো এমন এক ধরনের ডকুমেন্টস যেটা আপনি স্থানীয় থানা থেকে পাবেন এমন এক ধরনের প্রত্যয়ন পত্র যেখানে উল্লেখ থাকবে আপনার বিরুদ্ধে কোন ধরনের মামলা অথবা কেস নেই। স্বাভাবিকভাবে অনেকের নামে বিভিন্ন ধরনের কেস থাকে এবং সেই জন্য তারা দেশ থেকে পালানোর জন্য এই পাসপোর্ট এবং ভিসা তৈরি করে থাকেন। কিন্তু আপনি যখন পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পাবেন তখন দেখা যাবে যে আপনার বিরুদ্ধে থানায় কোন এর আগে মামলা হয়নি এবং আপনি নিঃসন্দেহে একজন ভালো মানুষ।
তাই সরকারিভাবে আপনাদেরকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে এবং নিয়ম অনুযায়ী 7 থেকে 15 দিনের ভিতরে স্থানীয় থানা থেকে এ বিষয়গুলো ভালোমতো খতিয়ে দেখার পর প্রদান করবেন। তবে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট কেমন হতে পারে সে প্রসঙ্গে যেহেতু জানতে এসেছেন সেহেতু আমরা এখানে ছবির মাধ্যমে তা প্রদান করলাম এবং এটা আপনারা দেখতে পেলেই বুঝতে পারবেন এখানে কি কি ধরনের তথ্য উল্লেখ থাকে।
তাই আপনার কাছে যে সকল নমুনা প্রদান করা হলো সেখানে দেখা যাবে যে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটে উল্লেখিত ব্যক্তির নাম থাকবে। অর্থাৎ যিনি আবেদন করেছেন তার নাম এবং পিতা ও মাতার নাম উল্লেখ থাকার পাশাপাশি বর্তমান ঠিকানা উল্লেখ থাকবে। সেই ঠিকানার ভিত্তিতে স্থানীয় থানা থেকে এটা প্রত্যয়ন করবে যে আপনি কোন ধরনের মামলার সঙ্গে জড়িত নয় এবং আপনি একজন ভালো মানুষ। স্থানীয় থানা এ বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার পাশাপাশি সুপারিনটেনডেন্ট পুলিশ কমিশনারের স্বাক্ষর থাকবে এবং অফিসার ইনচার্জ এর স্বাক্ষর উল্লেখিত থাকবে। অর্থাৎ পুলিশ ক্লিয়ার এন্ড সার্টিফিকেটের তথ্যগুলো উল্লেখ থাকার পাশাপাশি পুলিশ বিভাগের যারা উপর পদে রয়েছে তাদের স্বাক্ষরের মাধ্যমে এ বিষয়গুলো নিশ্চিত করা হবে।
তারপরও এটা নমুনা যখন দেখবেন তখন আপনাদের কাছে প্রত্যেকটা বিষয়ে স্পষ্ট হয়ে যাবে এবং আপনারা নিশ্চিতভাবে বিষয়গুলো সম্পর্কে ধারণা অর্জন করে ফেলতে পারবেন। তাই পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এর ব্যাপারে আপনারা এখান থেকে এটা বুঝতে পারলেন এবং কারো যদি পাসপোর্ট তৈরি করা হয়ে থাকে তাহলে পাসপোর্টের সাথে সাথে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট তৈরি করে রাখবেন। কারণ পাসপোর্ট ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট তৈরি করা থাকলে পরবর্তী সময়ে আপনারা যে কোন দেশের ভিসার জন্য আবেদন করে সেটা অনুযায়ী সেই দেশে চলে যেতে পারেন।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর কাজ ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় সাত দিনের মতো লেগে থাকলেও উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন স্থানে 15 দিন অথবা এর চাইতে বেশি সময় লাগতে পারে। তবে অনলাইনে আবেদনপত্র সাবমিট করার পর যে ঠিকানার ভিত্তিতে আবেদন করেছেন অথবা যে ঠিকানার ভিত্তিতে আপনার তথ্যগুলো যাচাই করে দেখা হবে সেই ঠিকানার পুলিশেরা এ বিষয়গুলো দেখে আপনাদেরকে সার্টিফিকেট প্রদান করবে। অর্থাৎ অনলাইন থেকে তারা সার্টিফিকেট ডাউনলোড করে পুলিশ সুপারের এবং অফিসার ইনচার্জ এর স্বাক্ষর প্রদান করে আপনাদেরকে তা প্রদান করবে।
এই পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এর জন্য আপনাদেরকে ৫০০ টাকা ফি প্রদান করার পাশাপাশি আবেদনের জন্য অনলাইন সার্ভিসের দোকানে কিছু টাকা প্রদান করতে হবে। আর যদি কেউ ঘরে বসে আবেদন করতে চান তাহলে সঠিকভাবে প্রত্যেকটি তথ্য ইনপুট করার পর আশা করি যে আপনাদের প্রত্যেকটি তথ্য সাবমিট হয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে রিভাইস দিয়ে দেখার সুযোগ রয়েছে। তাই কারো যদি ডিভাইস থাকে তাহলে ঘরে বসেই প্রত্যেকটি তথ্য ধাপে ধাপে পড়ুন এবং সেগুলো পূরণ করে এটার আবেদন সম্পন্ন করুন।
Leave a Reply