
আপনারা যারা ওয়েবসাইটে বাংলা ব্যাকরণ এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ভাব-সম্প্রসারণ নিয়ে তথ্য পেতে চাচ্ছেন, তারা অবশ্যই আমাদের এই ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। এখানে বাংলা ব্যাকরণ এর ভাব সম্প্রসারণ নিয়ে প্রতিনিয়ত আলোচনা করা হয়ে থাকে।
আমরা এই ওয়েবসাইটে চেষ্টা করেছি পাঠকের চাহিদা র সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো প্রকাশ করার। এই জন্য আমরা পাঠক কে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তাদের চাহিদা গুলো প্রথমে খুঁজে বের করি। এরপর তাদের চাহিদা মোতাবেক শিক্ষা বিষয়ক ছাড়াও অন্যান্য বিষয়ের তথ্য গুলো আমরা আমাদের এই ওয়েবসাইটে তুলে ধরার চেষ্টা করি।
বর্তমানে শিক্ষা ব্যবস্থায় অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। শ্রেণী শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীবৃন্দ এখন অনলাইনে পড়াশোনা করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। তাই আমরা অনলাইনের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটে শিক্ষার উপর বিভিন্ন তথ্য প্রচার করে থাকি। আমরা বরাবরের মতো বাংলা দ্বিতীয় পত্রের ব্যাকরণ অংশের ভাব সম্প্রসারণ এর উপর আলোচনা করে থাকছি। আজও আমরা একটি ভাব সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা করব।
আজকে যে ভাব সম্প্রসারণ টি নিয়ে আলোচনা করা হবে সেটি বিশেষ করে দশম, একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের উপযোগী একটি ভাব সম্প্রসারণ। তাহলে চলুন আমরা যে ভাব সম্প্রসারণটি নিয়ে আলোচনা করব সেটি আপনাদের জন্য নিম্নে তুলে ধরা হলো বিস্তারিত ভাবে:
ভাব-সম্প্রসারণ:
পরের অভাব মনে করিলে চিন্তন,
আপন অভাব থাকে কতক্ষণ?
মূলভাব: সীমাহীন অভাবের যন্ত্রণা থেকে মানব জীবনকে মুক্ত করার একটি উপায় হলো অন্যের দুঃখ ও অভাব এর প্রতি দৃষ্টি দেওয়া।
সম্প্রসারিত ভাব: মানুষের জীবনে অভাবের সীমা নেই। চাহিদারও সমাপ্তি নেই। অসীম অভাবের তাড়নায় মানুষ প্রতিমুহূর্ত প্রাণপণে ছুটছে, ছুটছে ঊর্ধ্বশ্বাসে। মানবজীবনে অভাবের অপূর্ণতা জনিত দুঃখ সবচেয়ে তীব্র হাহাকার সৃষ্টি করে। এ অভাব ও দুঃখ বহুমুখী এবং বিচিত্র। অর্থাভাব, নাম- যশ, খ্যাতির অভাব। সুস্বাস্থ্যের অভাব প্রতিপদে মানুষকে কুড়ে কুড়ে খায়। চাওয়া-পাওয়ার যেহেতু শেষ নেই, সেহেতু অভাবজনিত দুঃখবোধের কোনো সমাপ্তি নেই। মূলত মানুষ এক ধরনের অনির্দেশ্য ও অপরিসীম অভাব কে সঙ্গী করে বেদনার্ত জীবনের পথে অগ্রসর হয়।
যার বাড়ি নেই সে প্রথমে আশ্রয়ের অভাব বোধ করে। বাড়ির প্রয়োজন পূরণ হলে অট্টালিকার জন্য হাহুতাশ শুরু হয়। তারপর আছে উন্নত থেকে উন্নত তর জীবনোপকরণ এর চাহিদা। মানুষের প্রবৃত্তিই এমন যে, সে অন্যের সুখের প্রতি লালায়িত হয়। অন্যের সমান কিংবা অন্যের চেয়ে বড় দেখতে চাই নিজেকে। তাই প্রতিবেশীর বহুতল বাড়ি দেখে ছোট্ট ঘরে বসবাসকারী ব্যক্তির ঘুম কখনো কখনো হারাম হয়ে যায়।
ছোট নেতা বড় নেতার প্রভাবে ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়ে। যার গাত্রবর্ণ ময়লা সে ফর্সা সুন্দর মানুষের রূপে নিজের রূপের অভাবকে তীব্রভাবে অনুভব করে এবং বেদনার্ত হয়। কিন্তু যারা বুদ্ধিমান তারা নিজের জীবনকে অভাবের এ ক্ষোভ জ্বালা থেকে মুক্ত রাখেন। তারা উপরের দিকে না তাকিয়ে নিচের দিকে তাকান। অর্থাৎ অন্যের অভাব ও দুঃখকে বড় করে দেখার মানসিকতা গড়ে তোলেন।
কারো একটি হাত কোন কারনে বিকল হলে দুঃখবোধ জন্মানোটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সে যদি খেয়াল করে যে অনেকের দুটো হাতই নেই, তবে তার দুঃখবোধ লাগবো হয়। যার বাড়ি একতলা সে যদি লক্ষ্য করে যে অনেক মানুষ বাস্তুহীন, তাহলে আর কোন দুঃখ থাকার কথা নয়। সেই সাথে অন্যান্য দুঃখী ও অভাবী মানুষের জীবনের সাথে নিজের জীবনকে মিলিয়ে নিয়ে শ্রেয়তর ভাবা হলে নিজেকে দুঃখী নয় বরং সুখীই মনে হবে।
মন্তব্য: জীবনকে অকারণ দুঃখময় না করে সুখময় করে চলায় বুদ্ধিমানের কাজ। সেজন্য আমাদেরকে অন্যের দুঃখের প্রতি নজর দিতে হবে। তাহলেই জীবনে সফলতা নেমে আসবে এবং জীবনকে সুখময় করে গড়ে তোলা যাবে।
প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ উপরে যে ভাব সম্প্রসারণ টি নিয়ে আলোচনা করা হলো আপনাদের কাছে সেটি সহজেই বোধগম্য হবে। আমরা প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছি আমাদের এই ওয়েবসাইটে আপনাদের কাঙ্খিত বিষয়বস্তু টাকে তুলে ধরার। আর এই জন্য আপনাদের সহযোগিতার প্রয়োজন। আপনারা অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান মতামত আমাদের ওয়েবসাইটে দিবেন যাতে করে আমরা আমাদের ভুল ত্রুটিগুলো আগামীতে সংশোধন করে নিতে পারি। আপনারা খুশি হলেই আমাদের কাজের পরিশ্রমটা সার্থক হবে।
Leave a Reply