রমজান মাসে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ হচ্ছে রোজার সময়সূচি সম্পর্কে একটি পরিষ্কার ধারণা রাখা। অর্থাৎ সেহরি ও ইফতারের সঠিক সময় জেনে সেই সময়ে সেহরি ও ইফতার করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। কারণ সঠিক সময় যদি সেহরি ও ইফতার করতে না পারা যায় তাহলে সেই রোজা বা সিয়াম পরিপূর্ণ হয় না। তাই আমাদের সবারই উচিত রোজার সময়সূচির দিকে বিশেষভাবে খেয়াল করা দরকার। এজন্য দেখা যায় যে অনেকেই রমজান মাসে রোজার সময়সূচি গুলো সম্পর্কে জানতে চাই বা এই সময়সূচি সম্পর্কে অনেক তথ্য সার্চ করে। আর তাই তারা যেন খুব সহজেই রমজান মাসে রোজার সময়সূচি বা ইফতার ও সেহরীর সময়সূচি গুলো নিজের সংগ্রহে রাখতে পারে এজন্যই মূলত আমাদের আজকের আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে।
আপনি যদি ইফতারের সময়সূচি ও সেহরির সঠিক সময় সঠিক খোঁজ করেন তাহলে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য বিশেষভাবে উপকারী হতে যাচ্ছে। আর এখান থেকে আপনি খুব সহজেই ইফতার ও সেহরির সঠিক সময়সূচি গুলো পেয়ে যাবেন। আর এজন্য আপনাকে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। কেননা আপনি যদি এই আর্টিকেলটি না পড়েন তাহলে আপনি কাতারে রোজার সময়সূচি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন না। তাহলে চলুন আর দেরি না করে শুরু করা যাক। সাথে আপনিও আপনার প্রয়োজনীয় রোজার সময়সূচি গুলো সংগ্রহ করে নিন।
রমজান মাস হচ্ছে রহমতের মাস। অন্যান্য মাসের তুলনায় এই মাসটি একটু বেশি বরকতময়। এই মাসের ইবাদতও অন্যান্য মাসের তুলনায় অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া এই ইবাদতের মাধ্যমে অনেক বেশি নেকি অর্জন করা যায়। আবার রমজান মাসের ইবাদতের পরে আল্লাহ তায়ালাকে খুশি করতে পারলে পূর্ববর্তী সকল গুনাহগুলো আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করে দিতে পারেন। তাই প্রত্যেকটা মুসলিম ব্যক্তির উচিত রমজান মাসে বেশি বেশি করে ইবাদত করা এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য ভালো ভালো কাজ করা। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে রমজান মাসে সব মানুষই ইবাদতে মশগুল থাকে এবং ভালো ভালো কাজ করতে থাকে। দেখা যায় যে রমজান মাসে আসলে দান-খয়রাতের পরিমাণ বেড়ে যায়। আর মানুষ একে অপরকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করতে থাকে। তাই রমজান মাস অনেক বেশি বরকতময় একটি মাস হিসেবে পরিগণিত হয়।
রমজান মাসে আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য মুসলমান ব্যক্তিরা সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার থেকে বিরত থাকে এবং আল্লাহ তায়ালার ইবাদতের মাধ্যমে সময় অতিবাহিত করে। এর থেকে অনেক বেশি শিক্ষা লাভ করা দরকার। সিয়াম পালনের মাধ্যমে যেমন আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব হয়, আল্লাহ তায়ালার রহমত পাওয়া যায় তেমনিভাবে পৃথিবীতে অভাবী বা দুঃখী মানুষের না খেয়ে থাকার কষ্টগুলো অনুভব করা যায়। এর ফলে মানুষ অনেক বেশি বিনয়ী হয় এবং অপরের পক্ষে সাহায্য করার মানসিকতা তৈরি হয়। মানুষ চাইলেই কিন্তু রোজা না রেখে কিছু খেয়ে নিতে পারে কাউকে না জানিয়ে কিন্তু শুধুমাত্র আল্লাহর ভয়ে আল্লাহর তাকওয়ার কারণে মানুষ সকল প্রকার খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকে এবং আল্লাহর ইবাদতের মাধ্যমে সময় অতিবাহিত করে। আর এই ধরনের ব্যক্তিদের কে আল্লাহ অনেক পছন্দ করে এবং তাদের উপর রহমত বর্ষণ করেন।
তবে অবশ্যই সিয়াম পালনের ক্ষেত্রে সেহরি ও ইফতারের সময়ের দিকে মনোযোগী হতে হবে। আর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেহরি ও ইফতার করে নিতে হবে। আর তাই আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে মূলত কাতারের রোজার সময়সূচি দেওয়া হয়েছে। আপনি যদি অন্যান্য দেশের রোজার সময়সূচি সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটটা ভিজিট করতে পারেন। কেননা আমাদের ওয়েবসাইটে বিভিন্ন আর্টিকেলের মাধ্যমে অন্যান্য দেশের ইফতার ও সেহরীর সময় গুলো দেওয়া হয়েছে। আশা করি এখান থেকে আপনি উপকৃত হবেন।
Leave a Reply