
আজকে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে রচনা আলোচনা করব। ডিজিটাল বিপ্লবের শুরু ১৯৬৯ সালে ইন্টারনেট আবিষ্কারের ফলে। ইন্টারনেটের সঙ্গে ডিভাইসের যুক্ততা মানুষের দৈনন্দিন জীবন, সংস্কৃতি, ব্যবসা-বাণিজ্য, উৎপাদনে প্রভাব ফেলতে শুরু করে। বিজ্ঞান, কারিগরি ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতির ফলে বিশ্বে উন্নয়ন দারুণ গতি পায়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর গুরুত্ব গভীরভাবে উপলব্ধি করেন। কারণ, তিনি গড়তে চেয়েছিলেন সোনার বাংলা। তাঁর এ স্বপ্নের বাস্তবায়নে তিনি ছিলেন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য সময় পান মাত্র সাড়ে তিন বছর। এ সময়ে প্রজ্ঞাবান ও বিচক্ষণ রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিসহ এমন কোনো খাত নেই, যেখানে পরিকল্পিত উদ্যোগ ও কার্যক্রমের বাস্তবায়ন করেননি।
শুধু তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সম্প্রসারণ ও বিকাশে গৃহীত নানা উদ্যোগ ও কার্যক্রমের দিকে তাকালে দেখা যাবে বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই রচিত হয় একটি আধুনিক বিজ্ঞানমনস্ক প্রযুক্তিনির্ভর বাংলাদেশের ভিত্তি, যা বাংলাদেশকে ডিজিটাল বিপ্লবে অংশগ্রহণের পথ দেখায়।
ডিজিটাল বাংলাদেশ
অথবা আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ও বাংলাদেশ
প্রবন্ধ সংকেত: ভূমিকা-ডিজিটাল- বাংলাদেশ কি- ডিজিটাল বাংলাদেশ ও প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি-অফিস-আদালতে ডিজিটাল পদ্ধতি- শিক্ষা ক্ষেত্রে ডিজিটাল পদ্ধতি- চিকিৎসা ক্ষেত্রে ডিজিটাল পদ্ধতি- কৃষিক্ষেত্রে ডিজিটাল পদ্ধতি-যোগাযোগের ক্ষেত্রে ডিজিটাল পদ্ধতি-ব্যাংকিং ক্ষেত্রে ডিজিটাল পদ্ধতি-ডিজিটাল বাংলাদেশ অর্জন ও বাস্তবতা- উপসংহার।
ভূমিকা: পৃথিবীর মানচিত্রে দক্ষিণ এশিয়ায় ছোট্ট সবুজ ভূমি বাংলাদেশ। জন্ম ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ। দীর্ঘ নয় মাসের সশস্ত্র সংগ্রামে ৩০ লক্ষ শহীদের আত্মদানের ফসল এই বাংলাদেশ। বস্তুত হাজার বছর ধরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অধিকার আদায়ে এদেশের মানুষ কঠোর সংগ্রাম করে আসছে। পৃথিবী ধীরে ধীরে ডিজিটাল পৃথিবীতে পরিণত হচ্ছে। ঠিক তেমনিবাংলাদেশের সকল কর্মকান্ডের সাথে ক্রমান্বয়ে প্রযুক্তির ব্যবহার সংযুক্ত হলেই গড়ে উঠবে ডিজিটাল বাংলাদেশ।
ডিজিটাল বাংলাদেশ কি: বাংলাদেশকে 2021 সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বলতে বুঝায় বাংলাদেশের সারাদেশের কর্মকাণ্ডকে আধুনিক কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ইন্টারনেট সিস্টেম এর আওতায় নিয়ে আসা। অর্থাৎ সরকারব্যবস্থা, শাসনব্যবস্থা, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা ও চিকিৎসা, কৃষি প্রভৃতি কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। অর্থাৎ সমগ্র বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ কর্মকাণ্ড এবং বহির্বিশ্বকে কম্পিউটার নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসতে পারলে বাংলাদেশের সর্ব ক্ষেত্রে যে সফলতা অর্জিত হবে তাকেই আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ বলতে পারি।
ডিজিটাল বাংলাদেশ ও প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি: সাধারণভাবে বলতে গেলে একটি ডিজিটাল সমাজ নিশ্চিত করবে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা, যেখানে সরকারি, আধা সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের কর্মকাণ্ডে পর্যাপ্ত অনলাইন প্রযুক্তির প্রয়োগ নিশ্চিত হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ নিশ্চয়তা দেবে দ্রুত কার্যকর ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে একটি সুস্থ সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার। এক্ষেত্রে ডিজিটাল বাংলাদেশ এর সঙ্গে আনুষঙ্গিক কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে বিশেষ নজর দিতে হবে সেগুলো হল: বিদ্যুৎ ঘাটতি মোকাবেলায, নেটওয়ার্ক উন্নয়ন, ইন্টারনেট ব্যবহার সম্প্রসারণ, ইংরেজি শিক্ষার হার, সমুদ্রের তলদেশে সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগ।
ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার: বর্তমানে এমন কোন ক্ষেত্র নাই যেখানে ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় না। এ সম্পর্কে বলতে গেলে বলার কোনো শেষ নেই। তাই যে সকল গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার হয়ে থাকে সেটি শুধুমাত্র পয়েন্ট আউট করে দেওয়া হলো
এখানে:
অফিস-আদালতে ডিজিটাল পদ্ধতি-
শিক্ষা ক্ষেত্রে ডিজিটাল পদ্ধতি-
চিকিৎসা ক্ষেত্রে ডিজিটাল পদ্ধতি-
কৃষিক্ষেত্রে ডিজিটাল পদ্ধতি-
যোগাযোগের ক্ষেত্রে ডিজিটাল পদ্ধতি-
ব্যাংকিং ক্ষেত্রে ডিজিটাল পদ্ধতি-
অনলাইন তথ্য কেন্দ্র স্থাপনের ডিজিটাল পদ্ধতি
প্রকাশনা ও সংবাদপত্রের ক্ষেত্রে ডিজিটাল পদ্ধতি
বিনোদনের ক্ষেত্রে ডিজিটাল পদ্ধতি
ডিজিটাল বাংলাদেশ অর্জন ও বাস্তবতা: বিশ্বায়ন সম্পর্কে আরো ভালোভাবে বলতে গেলে বিশ্বব্যাপী তথ্য প্রযুক্তির দ্রুত প্রসারের ফলে বাংলাদেশে ইতিমধ্যে বহির্বিশ্বের যোগাযোগ স্থাপন করেছে। আজ তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সাফল্য মোবাইল ফোনের ব্যবহার। এটি বাংলাদেশের যোগাযোগ মাধ্যমে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে।
উপসংহার: বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। দেশকে উন্নতির দিকে নিয়ে যেতে হলে সর্বক্ষেত্রে উন্নয়ন ঘটাতে হবে। আর উন্নয়ন ঘটাতে হলে কাজের মধ্য দিয়েই দেশকে ভালবাসতে হবে। পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। প্রশাসনকে করে তুলতে হবে কার্যকর ও গতিশীল। তথ্যপ্রযুক্তিতে আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে অগ্রসর হতে হবে। তবেই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন সাধ পূরণ করা সম্ভব হবে।
Leave a Reply