রচনা: জাতি গঠনে নারী সমাজের ভূমিকা অথবা জাতী ও নারী সমাজ অথবা দেশ ও নারী অথবা দেশ গঠনে নারী সমাজের ভূমিকা

রচনা: জাতি গঠনে নারী সমাজের ভূমিকা অথবা জাতী ও নারী সমাজ অথবা দেশ ও নারী অথবা দেশ গঠনে নারী সমাজের ভূমিকা

বাংলা ব্যাকরণ এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে রচনা। এই রচনা শুধুমাত্র স্কুল কলেজ এর বার্ষিক পরীক্ষা আসে না, মূলত এটি বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক এবং চাকুরীর ক্ষেত্রেও এই রচনা সম্মুখীন হতে হয়। তাই আমরা আপনাদের চাহিদা মোতাবেক প্রয়োজনীয় রচনাগুলো আমাদের এই ওয়েবসাইটে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আজকে আমরা যে রচনা টা নিয়ে আলোচনা করব সেটি এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায় বিভিন্ন বোর্ডে এসে থাকে সেটি হলো জাতি গঠনে নারী সমাজের ভূমিকা অথবা দেশ গঠনে নারী সমাজের ভূমিকা।

জাতি গঠনে নারী সমাজের ভূমিকা
অথবা জাতী ও নারী সমাজ
অথবা দেশ ও নারী
অথবা দেশ গঠনে নারী সমাজের ভূমিকা

প্রবন্ধ সংকেত: ভূমিকা- নারী-পুরুষের তুলনা- সভ্যতা বিকাশে নারী -জাতি গঠনে নারী- ইতিহাসের মহীয়সী নারী -উপসংহার।

ভূমিকা: নারী-পুরুষের যৌথ প্রয়াস এই সভ্যতার বিকাশ সাধিত হয়েছে যে সমাজে নারীর মর্যাদা সমুন্নত সে সমাজতত্ত্ব বেশি উন্নতি সাধনের সক্ষম নারী কে বাদ দিয়ে পুরুষের পক্ষে একা জাতি গঠন করা সম্ভব নয়।

নারী-পুরুষের তুলনা: নারী কোনক্রমেই পুরুষের চেয়ে ছোট নয়। অনেক ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের চেয়েও শ্রেষ্ঠ। হৃদয়ানুভূতি, সেবা ও ত্যাগে নারীর কোন তুলনা খুঁজে পাওয়া যায় না। আমরা যদি আমাদের অস্তিত্বের অনুসন্ধান করি তাহলে দেখব, মাতৃজঠরের অন্ধকার প্রকোষ্ঠ থেকে মাতৃ ঋণের শুরু এবং জীবন প্রতিষ্ঠায় মাতৃঋণ প্রবহমান। জীবন ও সংসার ধর্মে নারীর সাহচর্য এবং প্রেরণা ছাড়া কোন মানুষের পক্ষেই সফলকাম হওয়া সম্ভব নয়।

সভ্যতা বিকাশে নারী: আজকের বিশ্বে সভ্যতার যে আলোকোজ্জ্বল বিকাশ তার পেছনে নারীর অবদান পুরুষের চেয়ে কম নয়। নারী তার স্নেহ-মায়া-মমতা ও নিরন্তর শ্রম দিয়ে বিশ্ব সভ্যতার চাকাকে সচল রেখেছে। নারীর যোগ্য সাহচর্য ছাড়া কোন বিজ্ঞানী কবি সাহিত্যিক পক্ষে আপন কীর্তিগাথা রচনা করা সম্ভব হয়নি। সভ্যতার সূচনায় পুরুষ- নারী উভয়েই অবদান রেখেছে। আজকে আধুনিক বিশ্বে নারী ও পুরুষ নিজেদের পরিপূরক হিসেবে স্বীকার করে নিয়েছে।

জাতি গঠনে নারী: নারীর অবদানকে অস্বীকার করে কোন জাতি কাঙ্খিত অগ্রগতি অর্জন করতে পারে না। আমরা জানি আজকের শিশুরাই আগামী দিনের জাতির কর্ণধার। শিশুর পরিচর্যা ও শিক্ষা যদি যোগ্য মাতার হাতে যথার্থ না হয় তাহলে তার ভবিষ্যৎ জীবনের সাফল্য কামনা করা যায় না। শিশুর চরিত্র গঠনে শিক্ষার ভিত্তি স্থাপিত হয় পরিবারে এবং এখানে প্রকৃত শিক্ষক হলেন শিশুর মা।

মাতৃ দুধের পুষ্টি ছাড়া যেমন একটি সুস্থ শিশুর অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় না, তেমনি মাতার স্নেহসিক্ত শিক্ষা ছাড়া শিশুর মানসিক বিকাশ সাধিত হয় না। মহামতি নেপোলিয়ন যথার্থই বলেছিলেন, তোমরা আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও, আমি তোমাদের একটি শিক্ষিত জাতি উপহার দেব। কাজেই শিক্ষিত তথা উন্নত জাতি গঠনের পূর্বশর্ত হলো শিক্ষিত মাতা। উন্নত বিশ্বে সেজন্যই নারীশিক্ষাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।

ইতিহাসের মহীয়সী নারী: সমাজ প্রগতিতে অসামান্য অবদান রেখে অনেক নারী ইতিহাসের পাতায় অমরত্ব লাভ করেছেন। এঁদের মধ্যে জোয়ান অফ আর্ক, মাদাম কুরি, ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল, পার্ল-এস বাক, খনা, লীলাবতী, সরোজিনী নাইডু, মাদার তেরেসা, বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন, শামসুন্নাহার মাহমুদ, সুলতানা রাজিয়া, নুরজাহান, সুফিয়া কামাল প্রমুখ এর নাম উল্লেখযোগ্য।

উপসংহার: নারী অবলা কিংবা সেবাদাসী নয়। তারাও জাতি গঠনে সমান অংশীদার। তাই বেগম রোকিয়া নারীদের সমাজের ‘অর্ধ অঙ্গ’ বলে উল্লেখ করেছেন। এ ক্ষেত্রে নারীর অবদানকে স্বীকার করে নেয়ায় সকলের কর্তব্য। শুধু নারীর অবদান স্বীকার করাই নয় আমাদের উচিত নারী জাতি জাতি গঠনে অধিকতর ভূমিকা পালন করতে পারে সে সুযোগ করে দেওয়া।

প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ আমরা যে রচনাটি আপনাদের সামনে আলোচনা করলাম তা অবশ্যই আপনাদের উপকারে আসবে। আমরা কাজ করে যাচ্ছি আমাদের এই ওয়েবসাইটে ঠিকই আর আপনাদের উচিত এই ওয়েবসাইট বেশি বেশি করে ভিজিট করা এবং আপনাদের যদি কোন মন্তব্য থাকে সেটা অবশ্যই উল্লেখ করবেন। কারণ কাজ করে গেলাম অথচ আপনারা কোন উপকারী পেলেন না তাহলে আমাদের সার্থকতা থাকলো না। আগামীতে অন্য নতুন কোন একটি রচনা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব।

About শাহরিয়ার হোসেন 4781 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*