
বিশ্বের সব কিছুই আজ আমাদের হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। এর কারণ আপনারা সবাই জানেন। সেটি হলো ইন্টারনেট। ইন্টারনেটের মাধ্যমেই আমরা পৃথিবীর এ প্রান্ত থেকে ওপ্রান্তের খবরা-খবর খুব সহজেই পেয়ে যাচ্ছি। হাতের মুঠোয় চলে এসেছে বিশ্বের আনাচে-কানাচে প্রতিটা খবর।
আমাদের ওয়েবসাইট অনলাইন ভিত্তিক একটি ওয়েবসাইট। এই ওয়েবসাইট মূলত বেশিরভাগ সময় শিক্ষার উপরে কাজ করে থাকে। শিক্ষামূলক বিভিন্ন বিষয়ের উপর তথ্য বহুল তথ্যগুলো এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়। শিক্ষার সর্বশেষ আপডেট খবর আপনারা আমাদের এই ওয়েবসাইটে পেয়ে যাবেন। আমরা চেষ্টা করি সবার আগে সর্ব প্রথমে আপনাদের কাছে শিক্ষার প্রতিটি খবর পৌঁছে দেয়ার। আজকে আমরা আপনাদের সামনে যে রচনাটি নিয়ে আলোচনা করব সেটি হচ্ছে
খেলাধুলার প্রয়োজনীয়তা
প্রবন্ধ সংকেত: ভূমিকা-জাতীয় জীবনে খেলাধুলার প্রয়োজনীয়তা-খেলাধুলা ও শৃঙ্খলা-খেলাধুলা ও আনুগত্য-নানা রকম খেলা-উপসংহার।
ভূমিকা: খেলাধুলা শুধু দেহের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে না, মনের স্বাস্থ্যকেও রাখে সুস্থ। খেলা মনকে করে প্রফুল্ল দেয় মুক্তির আনন্দ। সংসারের দুঃখ-কষ্ট, হতাশা, বঞ্চনা যখন আমাদের আশা ও উৎসাহ কমতে থাকে, তখন খেলাধুলার প্রয়োজন হয়।
জাতীয় জীবনে খেলাধুলার প্রয়োজনীয়তা: জাতির জীবন গঠনের দিক দিয়েও দেখতে গেলে খেলাধুলার অত্যন্ত প্রয়োজনীয় অবদান রয়েছে। উন্নত দেশ সমূহের জীবন-মান আর আয়ুর ক্ষেত্রে খেলাধুলা ফেলেছে এক গভীর প্রভাব। সেখানে খেলাধূলা অকাল বার্ধক্যের হাত থেকে রক্ষা করে জাতিকে যৌবন আবেগে চঞ্চল করে তুলেছেন। অন্যদিকে আমাদের জীবনে খেলাধুলার অভাব আমাদের করেছে তবে বার্ধক্যের জীর্ণাবরণে স্তিমিত। যারা মাদকে আসক্ত তাদের বিশেষ করে খেলাধুলা করলে অনেকটাই মাদকাসক্ত কেটে যায়। তাই মাদক ছেড়ে খেলাধুলা করো এটাই শ্লোগান হওয়া উচিত।
খেলাধুলা ও শৃঙ্খলা: আজকের খেলাধুলা একটি নিয়ম-নীতি রক্ষা করে চলছে। সুনির্দিষ্ট নীতিমালা খেলোয়াড়রা মেনে চলছে দ্বিধাহীন চিত্তে। অন্যায় ভাবে যা হওয়ার সুযোগ থাকলেও তা সে ব্যবহার করতে পারছে না, সেই সুযোগ তাকে দেওয়া হচ্ছে না। ফলে খেলাধুলার মাধ্যমে সে সৎ ও ন্যায়নিষ্ঠ হয়ে গড়ে উঠেছে। যে শৃংখলার শিখছে, সে দর্শকরাও শিখছে শৃঙ্খলা।
খেলাধুলা ও আনুগত্য: শুধু জয়লাভ করে ফলাফলের মধ্যেই জীবনের যথার্থ পরিচয় নেই, খেলা আর কাজ অংশগ্রহণের মধ্যে আনন্দ — এ সত্য খুব চমৎকারভাবে খেলাধুলাকে তুলে ধরেছে মানুষের সামনে। পরাজিত প্রতিদ্বন্দ্বী কে জড়িয়ে ধরেছে বিজয়ী খেলোয়াড়, বিজয়ী প্রতিদ্বন্দ্বী কে অভিনন্দন জানাচ্ছে পরাজিত প্রতিদ্বন্দ্বী। একটা চমৎকার মিলনমেলা।
বাংলাদেশ নানা রকম খেলা: বাংলাদেশ নানা রকম খেলা রয়েছে। কোন কোন খেলায় দৌড়-ঝাঁপ বেশি। এতে শরীর বেশি সঞ্চালন করতে হয়। যেমন: ফুটবল, ক্রিকেট, টেনিস, ব্যাডমিন্টন, ভলিবল , মোটর চালানো প্রভৃতি। আমাদের দেশীয় খেলার মধ্যে রয়েছে গোল্লাছুট, হাডুডু খেলা, দৌড়-ঝাঁপ ইত্যাদি। এ ধরনের খেলায় শরীর পুষ্ট হয়। সব খেলাতেই চোখ কানের সর্তকতা দ্রুত বিচার ও বুদ্ধির কুশলতা প্রয়োজন। ঘরে বসেও কোন কোন খেলা চলে, যেমন: তাস, পাশা, দাবা, লুডু, টেবিল টেনিস,ক্যারম। এতে পরিশ্রম হয় না কিন্তু বিপুল আনন্দ পাওয়া যায়।
উপসংহার: মাত্রাতিরিক্ত খেলাধুলা জীবনের ক্ষতি করে। বিস্তর সময় ব্যয়, জীবনকে করে বিফল। খেলাধুলায় অতিরিক্ত পরিশ্রম স্বাস্থ্যকে করে বিনষ্ট। হয়ে পড়ে ক্লান্ত তাই। আমাদের নিয়ম অনুযায়ী খেলাধুলা করা উচিত, কারণ পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা একজন ছাত্রের অপরিহার্য অংশ তার জীবনের। খেলাধুলা মনকে প্রফুল্ল রাখে, শরীরকে ঠিক রাখে। স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। তাই খেলাধুলার কোন বিকল্প নেই। খেলাধুলা করলে সাস্থ্য ভালো থাকবে, মন সুন্দর এবং ফ্রেশ থাকবে।
আজকে আমরা যে উপরের রচনাটি নিয়ে আলোচনা করলাম তো অবশ্যই আপনাদের ভালো লাগবে। আমরা চেষ্টা করেছি প্রতিটি রচনায় সুন্দর এবং সহজ ভাবে আপনাদের সামনে তুলে ধরার। ভাই আপনারা আমাদের সাথেই থাকুন এবং বেশি বেশি করে আমাদের এই ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। আগামীতে আরও একটি নতুন ভাব সম্প্রসারণ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব।
Leave a Reply