রহমতের দশ ১০ দিনের আমল

রহমতের দশ ১০ দিনের আমল

প্রত্যেকটি মুসলমানের জন্য রমজান মাসে জীবনের শ্রেষ্ঠ দিনগুলোর ভেতরে একটি মহিমান্বিত মাস। এই মাসটিতে পবিত্র কুরআন নাযিল করা হয়েছে এবং এই পবিত্র মাসটিতে আমরা সিয়াম সাধনা করার মধ্য দিয়ে সকলের প্রতি যেমন আস্থাভাজন হতে পারে তেমনি ভাবে মহান আল্লাহ পাকের দেখানো দিক নির্দেশন অনুসরণ করে তার ছেলের জন্য যাবতীয় ইবাদত করতে পারি। যেহেতু আল্লাহপাক মানুষ এবং জিনকে তার ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছেন সেহেতু আমরা মানুষ হিসেবে অবশ্যই সেই ইবাদত গুলো পালন করব।

সরাসরি বিভিন্ন ধরনের ইবাদত করার পাশাপাশি আমরা নবী এবং রাসূলের দেখানো সুন্নাহ অনুসরণ করে যদি প্রত্যেকটি কাজ করতে পারে তাহলে একজন মুমিন অথবা আদর্শ মুসলমান হতে পারব। তবে যাই হোক আপনি যদি রমজান মাসের প্রত্যেকটি কাজ সঠিকভাবে করতে চান তাহলে হয়তো রহমতের প্রথম ১০ দিনের জন্য কি কি আমল রয়েছে অথবা কি কাজ করলে আপনাদের ভালো হবে সেটা জেনে নিবেন।

রমজান মাসকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে এবং প্রথম দশ দিন কে বলা হয়ে থাকে রহমতের দিন। দ্বিতীয় দশ দিন হল মাগফিরাতের দিন এবং তৃতীয় দশ দিন হল নাজাতের দিন। রমজান মাসের শুরুর দেখেই আমরা যখন রহমতের রোজাগুলো পালন করে থাকি তখন হয়তো অনেকেই বলে থাকবেন এক্ষেত্রে বিশেষ কোনো আমল দেওয়া আছে কিনা।যেহেতু রমজান মাসে একটি ফজিলত পূর্ণ মাস এবং এই মাসে আমরা ইবাদত করার মধ্য দিয়ে আমাদের জীবনের সময় গুলো কাটাতে থাকি অথবা আমরা নিজেদের ভেতরে আত্মসংযম সৃষ্টি করার চেষ্টা করতে থাকে সেহেতু রহমত আমাদের প্রতি খুবই ভূমিকা পালন করে।

তাই আপনি যখন রহমতের জন্য দোয়া পেতে চাইবেন অথবা আমল পেতে চাইবেন তখন আমরা আপনাদেরকে এ বিষয়ে সাহায্য করব। প্রথমত রমজান মাস পালন করতে হলে আপনাকে যাবতীয় দিক থেকে নিয়ত করতে হবে এবং রমজান মাসের এই শিক্ষা এবং ইবাদত যেন আমরা আমাদের জীবনে সারা জীবন ধরে রাখতে পারি তার প্রতিজ্ঞা করতে হবে। সাধারণত রমজান মাস আসলে আপনার ভেতরে যে পরিবর্তন হয়ে থাকে সেটা যদি পরবর্তীতে ধরে রাখতে না পারেন তাহলে খুবই সমস্যা এবং এটা একজন দুর্বল মুমিনের পরিচয় প্রদান করে থাকে। তাই একজন মুসলমান হিসেবে এবং আপনার আত্মবিশ্বাসের জায়গা থেকে আপনাকে দৃঢ় হতে হবে যাতে করে আপনি সব সময় সঠিক পথে নিজের জীবনকে পরিচালিত করতে পারেন।

রমজান মাস পালন করার জন্য আগে থেকে মনেপ্রাণে নিয়ত করে রাখতে হবে যেন প্রত্যেকটি কাজ আপনি সঠিকভাবে এবং সঠিক সময়ে করতে পারেন। নিয়ম অনুসরণ করে প্রত্যেকটি রোজা রাখার পূর্বে তারাবির নামাজ আপনাদেরকে আদায় করতে হবে। তাই আপনি যখন তারাবির নামাজ আদায় করবেন তখন অবশ্যই সেটা জামাতের সঙ্গে আদায় করবেন এবং পরের দিন সেহরি খেয়ে আল্লাহ পাকের নিয়তে রোজা রাখবেন। রোজা রাখা অবস্থায় অথবা না রাখা অবস্থায় যে সকল বেছে নিষেধ দেওয়া হয়েছে অথবা যে সকল দিক নির্দেশিকা প্রদান করা হয়েছে সেগুলো আপনারা অবশ্যই পালন করে পবিত্র রমজান মাসের পবিত্রতা অর্জন করে চলবেন।

আর আপনার জন্য এই রহমত মাসে যেহেতু রহমত বর্ষিত হবে এবং আপনাকে সম্মান প্রদান করা হবে সেহেতু আপনি অবশ্যই নামাজ রোজা এবং অন্যান্য ইবাদত বন্দেগী করার পাশাপাশি বেশি করে দোয়া করবেন এবং অতীতের পাপের জন্য আস্তাগফিরুল্লাহ পাঠ করতে থাকবেন। তাছাড়া রমজান মাসের রহমত পাওয়ার জন্য অথবা আল্লাহর রহমতে লাভে ধন্য হতে আপনাদেরকে যে দোয়াটি প্রদান করা হবে সেটা অবশ্যই আপনারা পাঠ করবেন। নিচে আপনাদের জন্য এই দোয়াটি তুলে ধরা হলো:-

আল্লাহুম্মাঝ আ’লনি ফিহি মিনাল মুতাওয়াক্কিলিনা আ’লাইকা; ওয়াঝআ’লনি ফিহি মিনাল ফাইযিনা লাদাইকা; ওয়াঝআ’লনি ফিহি মিনাল মুক্বাররাবিনা ইলাইকা; বিইহসানিকা ইয়া গাইয়াতিত ত্বালিবিন।

উপরের উল্লেখিত দোয়াটি আপনারা প্রায় সময় পাঠ করবেন এবং এটা পাঠ করার পাশাপাশি আপনার মনকে পরিষ্কার রাখতে হবে এবং আল্লাহ পাকের ইবাদত বন্দী করার পাশাপাশি একজন সাধারন মুসলমানের প্রতি যে ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি হওয়া উচিত সেগুলো আপনাদেরকে মেনে চলতে হবে। সকলের জন্য দোয়া এবং শুভকামনা জানিয়ে এই পোস্ট এখানেই শেষ করছি।

About শাহরিয়ার হোসেন 4780 Articles
Shahriar1.com ওয়েবসাইটে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যা কিছু দরকার সবকিছুই পাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*