
প্রত্যেকটি প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমান ব্যক্তিদের জন্য রমজান মাসে রোজা রাখাটা ফরজ। তাই আপনি যদি রোজা রাখতে চান তাহলে রোজা রাখতে পারেন এবং রোজা রাখতে হলে অবশ্যই মন পরিষ্কার রাখতে হবে এবং শরীর পবিত্র রাখতে হবে। রোজা মানে হলো সূর্যদয়ের পূর্ব থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল ধরনের পানাহার এবং সকল ধরনের পাপ কাজ থেকে বিরত থাকা।
রোজার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের গুনাহের কাছ থেকে নিজেকে রক্ষা করা যায়। তাই আপনি যখন রোজা রাখবেন তখন আপনার ভেতরে কোন ধরনের পাপ পঙ্কিলতার বিষয়গুলো কাজ করবে না। একজন মুসলমান হিসেবে আমাদের রোজা রাখতে হবে এবং আপনি যদি শারীরিকভাবে সুস্থ হয়ে থাকেন ও প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে থাকেন তাহলে এই রোজা আপনার জন্য ফরজ করা হয়েছে। তবে অনেকেই জানতে চান রোজার ফরজ কয়টি এবং কি কি।
তাই আপনাদের উদ্দেশ্যে বলবো যে আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে রমজান মাসে রোজা রাখলে রোজার ফরজ কয়টি পালন করা হয় তা জেনে নিতে পারবেন। একজন মুসলমান হিসেবে এ বিষয়গুলো জেনে নেওয়াটা জরুরী এবং আপনি যখন এই বিষয়গুলো জানতে পারবেন তখন সঠিকভাবে রোজা বা সিয়াম সাধনা করার মাধ্যমে প্রত্যেকটি ফরজ সঠিকভাবে পালন করতে পারবেন।
দৈনন্দিন জীবনে আমাদের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ যেমন ফরজ করা হয়েছে তেমনি রমজান মাসে রোজা রাখাটাও ফরজ একটি বিষয়। তাই আপনারা হয়তো ভেবে থাকেন রমজান মাসে ৩০ টা রোজা রাখার মাধ্যমে ৩০ টি ফরজ পালন করা হয়। কিন্তু এখানে যদি একটি বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করি তাহলে আপনারা তা সঠিকভাবে বুঝতে পারবেন।
ধরেন আগামীকাল থেকে রোজা শুরু হবে এবং এক্ষেত্রে আপনি যদি রোজা রাখবেন বলে মনে মনে নিয়ত করে থাকেন তাহলে এটা একটা ফরজ পালন করা হলো। পরের দিন আপনি যখন সেহরি খেয়ে রোজা রাখলেন এবং সারাদিন যাবতীয় পাপ কাজ থেকে এবং পানাহার থেকে নিজেকে বিরত রাখলেন তখন আপনার একটা ফরজ কাজ পালন করা হলো।
তাই রমজান মাসে আমরা যদি রোজার ফরজ কয়টি ও কি কি জানতে চাই তাহলে বলব যে রমজান মাসে আপনি যখন রোজার নিয়ত করলেন তখন একটি ফরজ পালন করা হচ্ছে বলে ৩০ টি ফরজ পালন করা হলো এবং আপনি যখন রোজা রাখলেন তখন ৩০ টি ফরজ পালন করা হলো। এভাবে রমজান মাসে আপনারা রোজার ফরজ ৬০ টি পালন করতে পারবেন।
Leave a Reply